মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ করা হলে ঘটনার তদন্ত শুরু করবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গণেশবাবু কিশোর বয়স থেকেই মধ্যপ্রদেশে সোনার কাজ করতেন। প্রায় ১৪ বছর আগে দাসপুর থানার মজলিসপুরে তিনি বিয়ে করেন। গণেশের বাবা অশীতিপর বৃদ্ধ সত্যচরণ দোলই বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেজো ছেলে গণেশ স্ত্রীকে নিয়ে মধ্যপ্রদেশে কর্মস্থলে চলে যায়। সেখানেই সুখের সংসার চলছিল। বিয়ের বছর দেড়েক পরে একটি নাতি ও পরে নাতনি হয়। ওদের বয়স এখন ১৩ ও ৯ বছর। আমার বউমার মাথায় কেন যে এমন ভূত চাপল! আমার সব শেষ হয়ে গেল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে থাকার সময় গণেশবাবু পরিবারের জন্য একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানেই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যান। মধ্যপ্রদেশে থাকার সময়ই অন্য এক স্বর্ণশিল্পীর প্রেমে পড়ে যান গণেশের স্ত্রী। প্রেমের সম্পর্ক ছেদ করার জন্য মধ্যপ্রদেশে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েও কোনও কাজ হয়নি।
ফলে হতাশ হয়ে মাস ছয়েক আগে গণেশবাবু তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মজলিসপুরে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসেন। সেখানে গণেশবাবুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন সংসার করার জন্য তাঁর স্ত্রীকে অনেকভাবে বোঝান। দাসপুর থানাতেও বিষয়টি যায়। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। সত্যচরণবাবু বলেন, আমার ছেলে তার শ্বশুরবাড়িতে থাকাকালীনই বউমা তার প্রেমিককে নিয়ে পাঁশকুড়ায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করে। এর ফলে গণেশ নিজের প্রতি লজ্জা, ঘৃণা ও ধিক্কারে দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি চলে আসে। বাড়ি চলে আসার পরও স্ত্রীর কাছ থেকে রেহাই পায়নি সে। সন্তান নিয়ে ধসাচাঁদপুরে চলে আসার জন্য স্ত্রী তাঁকে ফোনে বারবার হুমকিও দেয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দুই আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরে গণেশ ক্রমশ মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা, দুই সন্তান, স্ত্রী পালিয়ে গিয়েছে এই চিন্তায় ক্রমশ মুষড়ে পড়তে শুরু করেন। এদিন সকালে তাঁর শোবার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।