আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
গত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে কুপার্স পুরসভায় শাসকদল প্রায় ২৬০০ ভোটে পিছিয়ে ছিল। এরপর ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ৯৯৭ ভোটে পুরসভায় বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিল জোড়াফুল শিবির। কিন্তু এবছর বিধানসভা নির্বাচনে ৫৬৯ ভোটে বিরোধীদলের থেকে এগিয়ে তৃণমূল। বিধানসভা জুড়ে যখন গেরুয়া শিবির মাথা তুলেছে। সেই সময়ে এই পুরসভায় নিজেদের জমি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। যা আগামী ২০২২ কুপার্স পুরসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে শাসকদলকে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এনিয়ে কুপার্স পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের দিলীপ দাস বলেন, ফলাফল আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল। আগামী দিনে আমরা মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছব। নিশ্চয়ই আমাদের কোনও ঘাটতি রয়েছে। তাই ভোটের মার্জিন আশানুরূপ হয়নি। সাংগঠনিকভাবে আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নকে কীভাবে আরও বেশি সংখ্যক কুপার্সবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।
জানা গিয়েছে, উদ্বাস্তু মানুষের উন্নয়নে ১৯৯৭ সালে ১২ ওয়ার্ড নিয়ে গড়ে ওঠে কুপার্স ক্যাম্প নোটিফাইড পুরসভা। এলাকায় বাংলাদেশ থেকে ছিন্নমূল হয়ে আসা মানুষের বসবাস। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ আবার মতুয়া সম্প্রদায়ের। বিগত দিনে লোকসভা, বিধানসভা ও পুরসভা ভোটের অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রবীণ বাসিন্দাদের। কিন্তু এবার বিধানসভা ভোটে আগে বিজেপির নির্বাচনী পথসভায় নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে বক্তব্য শোনার পর ঘুম ছুটেছিল অনেক উদ্বাস্তু মতুয়াদের। শেষ বয়সে ডিটেনশন ক্যাম্পে ঠাঁই হওয়ার আতঙ্কেই তাঁরা এবার ভোট দিয়েছেন। প্রবীণ বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন, আমরা নতুন করে উদ্বাস্তু হতে চাই না। মমতার সরকার জমির দলিল দিয়েছে, মাথার উপর ছাদ হয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট, আলো, নিকাশি ইত্যাদির সমস্যাও বেশি নেই। তাই এবারের ভোটে আমারা পরিবর্তনের পক্ষে ছিলাম না।
উল্লেখ্য, ভোটের কয়েকদিন আগে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতারা কপ্টারের চেপে কুপার্সে এসেছিলেন। তাঁরা রোড-শোও করেন। কিন্তু তারপরেও উদ্বাস্তু মানুষের মন জয়ে ব্যর্থ বিজেপি। যদিও, রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক বিজেপির মুকুটমণি অধিকারী বলেন, কুপার্সের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। এখানে দীর্ঘদিনের হাসপাতালের সমস্যা আছে। আগামী দিনে যাতে তার সমাধান করা যায়। সেই চেষ্টাই করব।