ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
বোলপুর পুরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের কালীমোহনপল্লিতে অবস্থিত অর্জুনলাল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে গত বুধবার চুরি গিয়েছে মিডডে মিল তৈরির সমস্ত সরঞ্জাম ও খাদ্যদ্রব্য। যার জেরে বৃহস্পতিবার মিডডে মিল পেল না বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এদিন তাদের শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার স্বাভাবিকভাবে মিডডে মিল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, গত বুধবার জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি ছিল। তারপর এদিন সকালে বিদ্যালয় খোলার পর দেখা যায় বিদ্যালয় চত্বরের মধ্যে অবস্থিত রান্নাঘরের দরজা ভাঙা। চুরি গিয়েছে সমস্ত বাসনপত্র সহ রান্নার জন্য মজুত ডালশস্য। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন, বুধবার ছুটির সুযোগ নিয়ে এই কাজ করেছে চোরের দল। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বোলপুর থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, এই বিদ্যালয়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দু’বার চুরির ঘটনা ঘটে। প্রথমবার চুরির ঘটনায় প্রজেক্টর, কম্পিউটার, ফ্যান সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী খোয়া গিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কয়েকদিন পরেই ফের চুরি হয় বিদ্যালয়ে। সেবারও মিডডে মিলের সমস্ত সামগ্রী চুরি হয়েছিল। পুলিস দু’বারই তদন্ত করলেও চোর বা চোরের দল ধরা পড়েনি। ছ’মাসের মধ্যে একই বিদ্যালয়ে তিনবার চুরির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অর্জুনলাল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কেয়া মিত্র বলেন, বারবার আমাদের বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটছে। প্রথমে প্রায় লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী খোয়া গিয়েছিল। তারপর মিডডে মিলের সমস্ত বাসনপত্র খোয়া যাওয়ায় রান্নার সমস্যা হয়েছিল। সেবার অনেক কষ্ট করে সেই সমস্ত কিছু জোগাড় করা হয়েছিল। কিন্তু, ফের চুরি হওয়ায় মিডডে মিল কীভাবে রান্না হবে সেনিয়ে চিন্তায় রয়েছি।