পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
ভুক্তভোগীরা বলেন, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে নয়ানজুলি ভড়াটের সময় রাস্তার মধ্যে মাটি জমে ছিল। সেগুলি রাস্তা থেকে আর সরানো হয়নি। এরমধ্যে শুরুবার ও শনিবার পরপর দু’দিন বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় জমে থাকা মাটি ভিজে কাদায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে খানপুর থেকে ত্রিমোহিনী পর্যন্ত পুরো রাস্তা কাদায় ভরে গিয়েছে। মোটর বাইক, স্কুটি, স্কুটার চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এমন সমস্যা তৈরি হলেও তারা এনিয়ে কিছু করছে না।
হিলির ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি তথা তিওরের বাসিন্দা সুদীপ মহন্ত বলেন, রাস্তায় জমে থাকা মাটি কাজের সময় তৎক্ষণাৎ সরানো হলে এই সমস্যা হতো না। মোটর বাইক চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। দুর্ঘটনা লেগেই আছে। চাকা স্লিপ করে যাচ্ছে। পুরা রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে আছে। সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে পাথরের কুচি রাস্তায় ফেলা উচিত জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। কামারপাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎ সরেন, রাকেশ দেবনাথরা বলেন, রাস্তায় মাটি জমে থাকার সময় একাধিকবার আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে মাটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তারা তখন গা করেনি। কোনও কাজও করেনি। এর ফলে এতো বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার, শনিবারের মধ্যে ২০-২২টি বাইক, স্কুটি দুর্ঘটনায় পড়ল। ভাগ্য ভালো কারও হাত-পা ভাঙেনি। তবে চোট পেয়েছেন অনেকেই।
বাসিন্দারা জানান, হিলি বালুরঘাট ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ না হবার কারণে এখন শুধুমাত্র নয়ানজুলি ভরাটের কাজ শুরু করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। ডাম্পার ও ট্রাক্টর করে মাটি এনে নয়ানজুলি ভরাট করা হয়। সেসময় জাতীয় সড়কের উপর মাটি পরে স্তূপাকার হয়ে যায়। এরমধ্যে শুক্রবার ও শনিবার ভালো বৃষ্টি হওয়ার জন্য ওই রাস্তা জলকাদায় ভরে গিয়েছে। মোটর বাইক, স্কুটি যেতে গিয়ে চাকা সরে যাচ্ছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টি এলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সেখানে পাথরে কুচি বা ইটের গুঁড়ো দেওয়ার জন্য সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তাদের কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। প্রচণ্ড সমস্যা তৈরি হয়েছে। আবার বৃষ্টি হলে ওই সড়কের অবস্থা আরও ভয়ানক হবে।