পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
মদনমোহন মন্দিরের রাজপুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, সরস্বতী পুজো উপলক্ষে পায়রা বলি দিয়ে তা ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয়েছে। দেবীর পাশাপাশি একই সঙ্গে শীত ও বসন্তের পুজো হয়েছে। শীত চলে যাচ্ছে। বসন্ত আসছে। সেই বসন্তকেই এদিন আহ্বান করা হয়েছে। নব মনোনীত দুয়ারবক্সি অজয়কুমার দেববক্সি বলেন, পলাশ তোলার অনুষ্ঠান পালন করেছি। দাদার কথা বার বার মনে পড়ছিল। তবু রাজ আমলের ধারা মেনে এই কর্তব্য পালন করেছি।
শনিবার থেকেই কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে সরস্বতীর পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। মন্দির চত্বরে থাকা কাঠামিয়া মন্দিরে এদিন সকাল থেকেই দেবীর আরাধনা শুরু হয়ে যায়। ভক্তরাও দেবীর বিশেষ পুজো দেখতে ভিড় জমান। রাজ আমল থেকেই সরস্বতীর পুজোর প্রথা চলে আসছে। এখানে দেবী চতুর্ভুজা। দেবীর হাতে বীণা রয়েছে। পাশাপাশি দেবীর হাত বরাভয় মুদ্রাতেও রয়েছে। পুজো উপলক্ষে মন্দির চত্বরে একজোড়া পায়রা বলি দেওয়া হয়েছে। সেই বলির মাংসও দেবীকে ভোগ হিসাবে দেওয়া হয়। অন্নভোগের সঙ্গে সবজি, পাঁচরকম ভাজা, মিষ্টান্ন ও লুচি দেওয়া হয়েছে। মন্দির চত্বরে বিশেষ হোমযজ্ঞও হয়েছে। সন্ধ্যায় দেবীর বিশেষ আরতি হয়েছে। আজ, সোমবার বিশেষ পুজোর পর দেবীর নিরঞ্জন হবে। এদিন কাঠামিয়া মন্দিরে ঋতু পুজো হয়েছে। পৃথক মূর্তি গড়েই এদিন তাঁদের পুজো করা হয়েছে। শীতকালকে বিদায় জানিয়ে বসন্ত ঋতুকে আহ্বান করা হয়েছে। অমিয়কুমার দেববক্সির প্রয়াণের পর বর্তমানে তাঁর ভাই অজয় কুমার দেববক্সিকে দুয়ারবক্সি হিসাবে মনোনীত হয়েছেন। সন্ধ্যায় তিনিই মন্দিরে পলাশ তোলার অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, আনন্দময়ী ধর্মাশালা চত্বরে একটি পলাশ গাছ রয়েছে। সেখানেই দুয়ারবক্সি পলাশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওই গাছ থেকে সংগ্রহ করা পলাশ ফুল মন্দিরে আনা হয়েছে। সেই পলাশ ফুল আগামী দোল উৎসব পর্যন্ত মন্দিরে থাকবে। এই অনুষ্ঠান পলাশ তোলার অনুষ্ঠান বলেই পরিচিত। অনেকেই মন্দির চত্বরে পলাশ তোলার অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমান।