হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
সরকারি এজেন্সিকে ভর্ৎসনা করা যে আদালতের কাছে শোভনীয় নয়, সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি। বলেন, ‘আমরা এইসব এজেন্সির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে চাই না। কারণ তাতে এজেন্সিগুলিকে ছোট করা হয়। কিন্তু এই ধরনের বহু মামলাই সেটা করতে বাধ্য করছে।’
এদিন অভিজ্ঞ আইনজীবী বিজয় হনসরিয়া বিভিন্ন এজেন্সির গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এক মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল যে, এর তদন্ত সম্পূর্ণ হতে ২০৩০ সাল হয়ে যেতে পারে। হানসরিয়ার এই মন্তব্য শুনেই বিষ্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। প্রসঙ্গত, সাংসদ, বিধায়কদের মামলার তদন্তে কেন দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা কোনও কারণ দেখাতে পারেনি। অবশ্য বিচারপতি বেঞ্চ একটু হলেও এজেন্সিগুলিকে সহানুভূতির নজরেও দেখেছে। এব্যাপারে আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, ‘আমাদের মতোই বিভিন্ন এজেন্সি কর্মী সঙ্কটে ভুগছে। যেকোনও বড় বা ছোট মামলায় মানুষ সিবিআই তদন্ত চায়। আমরা বুঝি যে ওই সব এজেন্সিরও আদালতের মতোই সমস্যা রয়েছে। বেশকিছু ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ পদ্ধতি এবং মানবসম্পদ প্রয়োজন।’
তবে সাংসদ বা বিধায়কদের মতো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলাগুলির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তরা ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন। তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। এক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে উল্লেখ করেন তিন বিচারপতি। বেঞ্চের আশঙ্কা, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলার প্রত্যাহারের জন্য রাজ্য সরকার চাপ দিতে পারে। আর এহেন ঘটনা ঘটলেও সরকারের উচিত, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে হাইকোর্টের কমিটির মাধ্যমে তা খতিয়ে দেখা। তবেই মামলার তদন্ত সঠিকভাবে এগবে বলে বিচারপতি বেঞ্চের অভিমত।
তদন্ত দীর্ঘায়িত হওয়ার বিষয়টি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মেনে নেন। বলেন, ‘এক একটি করে মামলার তদন্ত না করে, একসঙ্গে সব তদন্ত দ্রুত শেষ করা উচিত।’ যদিও সলিসিটর জেনারেলের এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আদালত প্রশ্ন তোলে, ‘এটা বলা সোজা। কিন্তু সেটাই বা কোথায় হচ্ছে?’
সাংসদ ও বিধায়কদের তদন্তে দেরির প্রশ্নে আগামী দিনেও ফের শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। পরবর্তী শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল মেহতাকে জবাব পেশের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।