শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
লালকৃষ্ণ আদবানিকে টিকিট না দেওয়ার বিজেপির সিদ্ধান্ত নিয়েও এদিন প্রতিক্রিয়া দেন মমতা। তবে তা যে নিতান্তই তাঁর ব্যক্তিগত, তাও জানিয়ে দেন তিনি। মমতা বলেন, আদবানিজি’র মতো প্রবীণ নেতাকে এভাবে সরিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি। আদবানিজি আর বাজপেয়িজি মিলেই তো দলটা তৈরি করেছিলেন। আদবানিজির জন্য আমার খারাপ লাগছে। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, বয়স হয়েছে তো কী হয়েছে! আমরা সবসময় সিনিয়রদের সম্মান করি। ফারুক আবদুল্লা আর দেবগৌড়াজিও তো ভোটে লড়ছেন। যাই হোক, ওটা ওদের দলের ব্যাপার। তবুও বলব, আদবানিজির জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে।
লোকসভা নির্বাচনের মুখে মুক্তি পেতে চলা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক নিয়েও এদিন মুখ খোলেন মমতা। বলেন, নির্বাচনের সময় এই ধরনের সিনেমা বের না হলেই ভালো হতো। যে কাউকে নিয়ে যে কোনও সময়ে সিনেমা করা যেতেই পারে, তাতে আমাদের আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু এই সময়ে এটা না হলেই ভালো হতো। এদিন বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন কেকেআর টিমের মালিক শাহরুখ খান। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতার পর তাঁর সঙ্গেই লিফটে নীচে নামেন শাহরুখ। তাঁকে দেখিয়ে সাংবাদিকদের মমতা বলেন, এবার জিতবে ওরাই। ‘ভিক্ট্রি’ চিহ্ন দেখান কিং খান। বলেন, উই উইল অল উইন দিস টাইম। লোকসভা নির্বাচন পর্বে শাহরুখের এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গিয়েছে নানা জল্পনাও।
এদিকে, আজ, বুধবার বিকেলে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করার পরই টিম মমতা পুরোদমে ঝাঁপিয়ে পড়বে নির্বাচনী প্রচারে। যদিও উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় প্রার্থীদের প্রচারের সঙ্গেই দলের তরফে আসরে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের তারকা বক্তারা। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এবার তিনটি হেলিকপ্টার ভাড়া নিয়েছে জোড়াফুল শিবির। মেগাস্টার ক্যাম্পেনার মমতার জন্য বরাদ্দ থাকছে একটি, অপর দু’টি ব্যবহার করবেন স্টার ক্যাম্পেনার এবং টলিউডের নানা তারকারা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দলের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে ৪০ জন বক্তার নাম ‘স্টার ক্যাম্পেনার’ হিসেবে জমা দেওয়া হয়েছে। তালিকায় তৃণমূল সুপ্রিমো ছাড়া যেমন রয়েছেন অমিত মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, শিশির অধিকারী, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার হাঁসদার মতো দলের প্রবীণরা, তেমনই আবার রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শুভেন্দু অধিকারী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস রায় ও অসীমা পাত্রের মতো মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তালিকায় নাম রয়েছে নাদিমূল হক ও সিদ্দিকুলা চৌধুরীর মতো দুই সংখ্যালঘু নেতার। দলের তরুণ তুর্কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও রয়েছেন তালিকায়। রয়েছেন মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর, সুজিত বসু, কাকলি ঘোষদস্তিদার, শান্তনু সেন, সৌরভ চক্রবর্তী ও গৌতম দেব। স্টার ক্যাম্পেনারের তালিকায় দলের চার টলিউড তারকা প্রার্থী দীপক অধিকারী (দেব), মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান ও শতাব্দী রায় রয়েছেন। এঁদের বাইরে ইন্দ্রাণী হালদার, অরিন্দম শীল ও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে নানা বয়ানে কমিশনের নজরে চলে আসা দলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (কেষ্ট) নাম এই তালিকায় রাখেনি তৃণমূল।