শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
মঙ্গলবার রাজস্থানে ভাষণ দিতে গিয়ে ন্যায় প্রকল্প নিয়ে ফের সরব হন রাহুল। ভাষণে তিনি বলেন, ধামাকা হ্যায় ইয়ে। বোম ফাটেগা। গরিবির বিরুদ্ধে এটা কংগ্রেসের সার্জিকাল স্ট্রাইক। বিজেপি দেশ থেকে দরিদ্রদের দূর করতে চেয়েছে। আর আমরা দারিদ্র। প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ভাবছিলাম কীভাবে গরিবদের সহায়তা করা যায়। প্রচুর আলোচনার পর আমরা ঠিক করি, গরিবদের ন্যূনতম মাসিক আয় ১২ হাজার টাকা হওয়া উচিত। ২০১৯ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে ভারতের ন্যূনতম আয় হবে ১২ হাজার টাকাই। তিনি বলেন, একবিংশ শতকে ভারতে কোনও গরিব থাকবে না।
এদিকে দিল্লিতে সুরজেওয়ালা বলেন, গতকাল থেকে ন্যায় প্রকল্প নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন। ঠিক কত টাকা গরিবদের দেওয়া হবে, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। তাই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয়েছে জানিয়ে সুরজেওয়ালা বলেন, ন্যায় প্রকল্পে দেশের পাঁচ কোটি গরিব পরিবারকে মাসে ছ’ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কোনও টপ-আপ নয়। গরিব পরিবারের প্রত্যেককেই মাসে ছ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আমরা চাই গরিব পরিবারের মাসিক আয় অন্তত ১২ হাজার টাকা হোক। তাই কোনও পরিবারের আয় সাত হাজার টাকা হলেও, অন্যদের মতো মাসে ছ’ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বছরে ৭২ হাজার টাকা। সুরজেওয়ালা বলেন, পরিবারের কোনও মহিলা সদস্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ওই টাকা পৌঁছে যাবে। কেবল গরিবি হটানোই নয়। মহিলাদের আরও বেশি করে শক্তিশালী করতেই এই ন্যায় প্রকল্প।
উল্লেখ্য, গতকাল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, আমরা চাই মানুষের ন্যূনতম উপার্জন হোক মাসে ১২ হাজার টাকা। আর ওই উপার্জনের গ্যারান্টির কথা ভেবেই যারা ১২ হাজার টাকার কম আয় করেন তাদের বাকি টাকাটা সরকার দেবে। টপ-আপ করে দেওয়া হবে।
রাহুল গান্ধী এও বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ন্যায় প্রকল্প কার্যকর করার ব্যাপারে আমরা অনেক গবেষণা করেছি। দেখেছি প্রকল্পটি কার্যকর করা সম্ভব। গরিবদের হিসেবও রয়েছে। রাহুল এও বলেছিলেন, কোনও গরিব পরিবারের মাসিক আয় ১২ হাজার টাকার বেশি হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় তাদের অ্যাকাউন্টে বাড়তি টাকা যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু আজ সুরজেওয়ালা জানান, গরিবদের বিস্তারিত হিসেব তো আমাদের কাছে নেই। তাই কে কত আয় করে তা না দেখে দেশের ২০ শতাংশ গরিব পরিবারকেই বছরে ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। গরিবদের হিসেবের ব্যাপারে মোদি সরকারের আমলে ২০১৬-১৭ সালের ইকোনমিক সার্ভেকে হাতিয়ার করেছে কংগ্রেস। যেখানে তেণ্ডুলকার কমিটি ২০১১-১২ আর্থিক বর্ষে দেশে ২২ শতাংশ গরিব রয়েছে বলে জানায়।