Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোট চাই, ভোট
মোশারফ হোসেন

দেশজুড়ে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা ভোট একটি জাতীয় উৎসবই বলা চলে। কারণ, নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, হরেকরকম বৈচিত্র্যের মধ্যে অদ্ভুত ঐক্যের আসমুদ্র হিমাচল বিস্তৃত এই দেশে যে কোনও সামাজিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনওরকমের উৎসবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। মুখে যাই বলা হোক না কেন, কার্যক্ষেত্রে তা সীমায়িত থাকে একটি সুনির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী বা নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবস, গান্ধী জয়ন্তীর মতো জাতীয় উৎসবগুলিতে তেমন কোনও গণ্ডি থাকে না। গোটা দেশজুড়েই এগুলির ব্যাপ্তি। ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, সম্প্রদায়, আঞ্চলিকতার বেড়া ডিঙিয়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত তা গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়। লোকসভা ভোট বা সাধারণ নির্বাচনপর্বও সেরকমই।
আর ক’দিন বাদেই এবারের সাত দফার ভোটগ্রহণপর্বের প্রথম দফা শুরু হয়ে যাবে। ভোটকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল মাঠে নেমে পড়েছে। ভোটারদের মন টানতে দৃশ্য ও আপাত অদৃশ্য হরেকরকম কৌশলের তরবারিতে শান দেওয়া ও ব্যবহারের কাজ এখন পুরোমাত্রায় চলছে। ভোটের জন্য প্রচারের প্রসঙ্গ এলে আগ্রার ভঁপু চক্রবর্তীর কথা মনে পড়ে যায়। ভঁপুবাবুর সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। সেবার উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোট কভার করতে গিয়ে তখন ওই রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত চষে বেড়াচ্ছি। এভাবেই একদিন আগ্রায় পৌঁছেছিলাম। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এক হোটেল মালিকই বললেন, ভঁপু চক্রবর্তীর সঙ্গে আলাপ করুন। এখানকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যান্ডিডেট। ভালো ফাইট দেবেন। জেতার সম্ভাবনাও রয়েছে।
নামটি শুনে বিস্মিত হয়েছিলাম। ভঁপু চক্রবর্তী! চক্রবর্তী পদবি শুনে মনে হল বাঙালি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু ভঁপু? কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে ঠিকানা খুঁজে হাজির হলাম তাঁর ডেরায়। আলাপ হল। হ্যাঁ, বাঙালিই বটে। পেশায় আইনজীবী। নেশায় ভোট-লড়িয়ে। প্রায় প্রতিটি ভোটেই প্রার্থী হন। তাঁর প্রচারের ধরনটি অদ্ভুত। সম্ভবত ওই কারণটিই তাঁকে বিশেষ পরিচিতি দিয়েছে। বললেন, অন্য নেতারা বলেন—নিজের ভোট নিজে দিন। আমার মন্ত্র— নিজের প্রচার নিজে করুন। বলা যায় ওয়ান ম্যান পার্টি। নিজেই প্রার্থী, নিজেই কর্মী, নিজেই প্রচারক। অনেকটা বাংলা সাংবাদিকতার কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব দাদাঠাকুর ওরফে শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের মতো। যিনি নিজেই সংবাদ সংগ্রহ করতেন, নিজের হাতেই তা প্রেসে ছাপাতেন। আবার, নিজেই ঘুরে ঘুরে সেই পত্রিকা বিক্রি করতেন। আগ্রার ভঁপুবাবুও একটা ফোল্ডিং মই কাঁধে নিজের জন্য ভোটপ্রচারে বেরিয়ে পড়েন। হাতে থাকে বিরাট একটা বিউগল। হিন্দিতে যা ভঁপু বলে পরিচিত। রাস্তার মোড়ে বা বাজারের মাঝে কাঁধের মই নামিয়ে তার উপর চড়ে খানিকক্ষণ তারস্বরে ভঁপুটি বাজাতে থাকেন। লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তখন বক্তৃতা শুরু করেন। কেন তাঁকেই ভোট দেওয়া জরুরি তা ব্যাখ্যা করে তবেই মই থেকে নামেন। জড়ো হওয়া লোকজনের হাতে লিফলেট ধরিয়ে ফের কাঁধে তুলে নেন মইটি। হনহন করে হাঁটা দেন পরবর্তী গন্তব্যের দিকে। পিতৃপ্রদত্ত নাম ভবতোষ হলেও প্রচারসঙ্গী ভঁপুর কারণেই গোটা আগ্রা শহর ও আশপাশের মানুষ তাঁকে ভঁপু চক্রবর্তী বলেই চিনতেন। আগের পুরভোটে জিতেছিলেন। তখন আগ্রা মিউনিসিপ্যালিটির কাউন্সিলার।
ভোটপ্রচারের কথা বলতে গিয়ে ওই রাজ্যেরই আরও কয়েকটি ঘটনা মনে পড়ছে। একবার একদিন সকালে আলিগড়ের রাস্তায় একটা হাতি দেখলাম। আপন মনে ঘুরে বেড়ানো ধূসররঙা ঐরাবতের বিস্তৃত পেটজুড়ে সাদা অক্ষরে এক ভোটপ্রার্থীর নাম লেখা। সঙ্গে আবেদন ‘এই চিহ্নে ভোট দিন’। বলা বাহুল্য, প্রার্থীর দলের নাম বহুজন সমাজ পার্টি। নির্বাচনী প্রতীক হাতি। সেবার এটাওয়া কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন মুলায়ন সিং যাদব। তাঁর এলাকায় গিয়ে চোখে পড়ল সবুজ-লাল প্যাকেটে গুটখার ছড়াছড়ি। চা বা পানের দোকানগুলিতে তো বটেই, ছোটখাটো মাঝারি প্রায় সমস্ত মনোহারি, মুদিখানা দোকানেই মাত্র এক টাকায় ওই হঠাৎ আমদানি গুটখার রাশি রাশি প্যাকেট ঝুলছে। খালি হওয়ার পর ফেলে দেওয়া হাজার হাজার প্যাকেট রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। যেদিকেই তাকাই সবুজ-লালের ছড়াছড়ি। বাজারের অন্য গুটখার দাম তখন দু’টাকা। অর্ধেক দামে নতুন আমদানি গুটখায় প্রচুর মানুষ মজেছেন। তাও শুনলাম, দোকানদারদের নাকি আগাম দামও মেটাতে হয়নি। কে বা কারা অযাচিতভাবেই হাজার হাজার ‘হর-লাল’ সাপ্লাই করে যাচ্ছে। বিক্রি করার পরও দাম মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও আদায় করা হয়নি। ফলে দোকানদার মনের আনন্দে অন্য সব ব্রান্ডের গুটখা সরিয়ে রেখে কেবল ‘হর-লাল’ বেচাতেই জোর দিয়েছেন।
স্থানীয় এক প্রবীণ সাংবাদিকই ব্যাপারটা খোলসা করে দিলেন। বললেন, জানেন তো মুলায়মের দলের ঝান্ডার রং সবুজ-লাল! ভোটারদের মনে সুকৌশলে সমাজবাদী পার্টির বিষয়টি গেঁথে দেওয়া আর কী! একবার ভোটের মুখে আগ্রা ফোর্টের সামনে এক ভাগ্যগণককে দেখেছিলাম। টিকিধারী গণক। সামনে খাঁচায় একটা টিয়াপাখি। ভোটের ফলও নাকি আগাম বলে দিচ্ছিলেন ওই ভবিষ্যৎবক্তা। না না। ভুল হল। বলছিল সেই টিয়াপাখিটা। সামনে রাখা কাগজের একগুচ্ছ খাম। খামের মধ্যে ভাগ্যফল লেখা। খাঁচার দরজা খুলে দিলে পাখি ঠোঁটে একটা করে খাম তুলে আনছে। তাতেই নাকি লেখা ভোটের আগাম ফলাফল। বিভিন্ন দলের উৎসাহী নেতা-কর্মীদের অনেকেই মাত্র এক টাকায় দলের ভাগ্য জানতে ওখানে ভিড় করছিলেন। ব্যাপারটা দেখে আমি খুব মজা পেয়েছিলাম।
একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশন অবসরগ্রহণের পর ১৯৯৯ সালে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। গুজরাতের গান্ধীনগর কেন্দ্রে। কংগ্রেসের টিকিটে। বিপরীতে বিজেপি’র লালকৃষ্ণ আদবানি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আগের ক’টা বছর সেশন দেশজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। তাঁর নিত্যনূতন হুঙ্কারে, হরেকরকম ফরমানে ভোটের মুখে রাজনৈতিক দলগুলির থরহরিকম্প অবস্থা। বিরক্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু তো একবার বলেই ফেললেন, লোকটা ‘মেগালোম্যানিয়াক’। তা সেই টি এন সেশনকে একদিন দেখলাম নিজের জন্য ভোটপ্রার্থনায় বেরিয়ে গান্ধীনগরের একটি হরিজনপল্লিতে খালি পায়ে হাঁটছেন। পরনে দুধসাদা পাজামা-পাঞ্জাবি, কপালে সিঁদুরের টিপ। খালি পা। খালি পায়ে কেন? কারণ কী? শুনলাম, ওই মহল্লার লোকজন নাকি কোন এক সংস্কারের বশে জুতো পরেন না। তাই তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে রাশভারী সেশন সাহেবও ওই এলাকায় খালি পায়েই দরজায় দরজায় দাঁড়াচ্ছেন। এটাও তো ভোটারদের প্রভাবিত করারই চেষ্টা। কারণ, প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিজেও যে তখন নেহাতই একজন ভোটপ্রার্থী! বিহারের লালুপ্রসাদ যাদবকে আবার দেখতাম একেকটি ভোটে একেকরকমের প্রচারকৌশলের সাহায্য নিতে। বক্ততায় নানান চটকদার বুলি আওড়ানোয় একসময় দেশে লালুপ্রসাদের জুড়ি মেলা ভার ছিল। প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় যেমন বর্ণময়, বক্তৃতাতেও তাই। একবার পাটনার একটি প্রধান সড়কের নাম করে বললেন, এই সড়কটির অবস্থা এখন অমুক অভিনেতার গালের মতো এবড়ো খেবড়ো। আমাদের ভোট দিয়ে জেতান। দেখবেন, এই সড়ক অমুক অভিনেত্রীর গালের মতো মসৃণ হয়ে যাবে।
যে দুই অভিনেতা অভিনেত্রীর নাম উল্লেখ করেছিলেন লালু, তাঁরা দুজনেই হিন্দি সিনেমায় একসময় দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। একজন তো এখন বিদায়ী সাংসদ। এবারও ভোটপ্রার্থী। একবার ভোটের প্রচারে লালুপ্রসাদের দল একঝাঁক সুন্দরী যুবতীকে একই ধরনের পোশাক পরিয়ে একটি নৌকার সওয়ারি করে দিয়েছিল। নৌকায় ভরে দেওয়া হয়েছিল কলসি কলসি সরবত। নৌকার বিভিন্ন অংশে নানা আকারের হ্যারিকেন টাঙানো। হ্যারিকেন হল লালুপ্রসাদের দলের নির্বাচনী প্রতীক। নৌকা ভিড়ছিল গঙ্গার তীরবর্তী বিভিন্ন গঞ্জের ঘাটে ঘাটে। উপস্থিত জনতার মধ্যে বিলি করা হচ্ছিল সেই সরবত। সুন্দরীদের হাত থেকে সরবতের গ্লাস নিতে সে কী হুড়োহুড়ি! কে সরবত খাওয়াচ্ছে? লালুজির দল। ব্যাস। দারুণ কায়দায় ভোটের প্রচার হয়ে গেল। আর একবার লোকসভা ভোটের মুখে লালুপ্রসাদের নির্বাচনী প্রচারসভার খবর করতে আরায় গিয়েছিলাম। পাটনা থেকে ওই এলাকাটা ঘণ্টা দুয়েকের পথ। সভায় বিপুল ভিড়। আকাশে লালুপ্রসাদের হেলিকপ্টার দেখা যেতেই নীচে জনতার উন্মাদনা। আ গয়া। আ গয়া। সভাস্থলের পাশেই হেলিপ্যাড। রুপোলি চুলের নেতা হেলিকপ্টার থেকে নামলেন। চোখে সানগ্লাস, হাতে হ্যারিকেন। জনতা উচ্ছ্বসিত।
ওড়িশার জননায়ক তথা জনতা দল নেতা মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়ক ১৯৯৫-র বিধানসভা ভোটে ক্ষমতা হারিয়েছেন। বছর দুই বাদে মারাও গিয়েছেন। বাবার শূন্যস্থান পূরণ করতে রাজনীতির ময়দানে পা ফেলেছেন পুত্র নবীন পট্টনায়ক। বাবার নামে গড়েছেন নতুন পার্টি—বিজু জনতা দল। ২০০০ সালের বিধানসভা ভোটে ওই দল লড়ছে ‘শঙ্খ’ প্রতীক নিয়ে। ভোটের মুখে একদিন দলের এক নেতাকে পুরীর মন্দির থেকে বেরিয়ে আসতে দেখলাম। কয়েকদিন আগেই আলাপ হয়েছিল। বললাম জগন্নাথদেব দর্শন করলেন, কী চাইলেন? ভদ্রলোক স্মিত হেসে বললেন, এখন চাওয়ার তো শুধু একটাই। দেবতাকে বললাম, শঙ্খ চেনাও প্রভু। সেটা কী? আমার প্রশ্নে ফের হাসলেন নেতা। বললেন, খুব সমস্যা হচ্ছে আমাদের। বিজুবাবুকে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ শ্রদ্ধা করেন। তাঁর নামেই আমরা নতুন দলের জন্য ভোট চাইছি। কিন্তু মুশকিল কী জানেন, বিজুবাবু জনতা দলের নেতা ছিলেন। তাঁর প্রতীক ছিল চক্র। নবীনবাবু নতুন দলের প্রতীক নিয়েছেন শঙ্খ। বিজুবাবুর দলকে সমর্থন করতে চাইলে যে এবার চক্র নয়, শঙ্খ চিহ্নে ছাপ মারতে হবে বহু ভোটারকে তা বোঝানোই মুশকিল হচ্ছে। তাই প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে বললাম, ওদের শঙ্খ চেনাও প্রভু।
বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন দু’বার কভার করেছিলাম। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে। ২০০১ এর ভোটের মুখে ঢাকার রাস্তায় আওয়ামি লিগের একটি প্রচার শোভাযাত্রায় চোখ আটকে গেল। শোভাযাত্রার বিভিন্ন অংশে গণ্ডা গণ্ডা ‘হাসিনা’। সাত আট দশ বছরের বালিকাদের নেত্রী শেখ হাসিনার স্টাইলে শাড়ি আর চশমা পরিয়ে শোভাযাত্রায় শামিল করা হয়েছে। ভোটপ্রচারের চমৎকার আইডিয়া। তখনও আমাদের দেশে মিছিলে নেতানেত্রীর মুখোশপরা সমর্থক দেখা যেত না। ইদানীং দেখা যায়। সবকিছুর পিছনেই ভোট টানার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। পরস্পরকে টেক্কা দেওয়ার কৌশল। এখন তো আবার সোশ্যাল মিডিয়া সবার উপরে নিজের স্থান করে নিয়েছে। এবার ভোটের প্রচারে অন্যান্য প্রচলিত মাধ্যমের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
গুরুত্বের বিচারের তুলসীপাতার ছোটবড় হয় না। আকারে বড় বা ছোট সব তুলসীপাতারই সমান মূল্য। ভোটের বেলায়ও তাই। ধনী-দরিদ্র, অট্টালিকার বাসিন্দা থেকে কুঁড়েঘরের বান্দা, নিরক্ষর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী অথবা চাপরাশি থেকে চেয়ারম্যান—সবারই একটি করেই ভোট। জিততে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে সংখ্যায় বেশি ভোট টানতে হবে। আর জিততে পারলেই সিকান্দার। তাই ভোট টানতে এতরকমের ছলাকলা, কায়দা কৌশল। নাটুকেপনা। হাতজোড় থেকে পদস্পর্শের ধূম। শাস্ত্রে বলেছে, প্রেমে আর রণে কোনও কৌশলই ফ্যালনা নেই। সবই যথার্থ। কৌশলের ভাবনায় ভোটের আগের ক’দিন নেতা-নেত্রী, প্রার্থী- শুভার্থীদের চোখে ঘুম নেই। দিনরাত একটাই ভাবনা। একটাই চাওয়া। ভোট চাই। ভোট।
26th  March, 2019
মহারণ ২০১৯: রণক্ষেত্রে রণহুংকার থাকবে না!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

থাকবে। অবশ্যই থাকবে। অতীতে ছিল, এখন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। রণহুংকার না থাকলে রণক্ষেত্র কীসের! রণহুংকার রণদামামাই তো রণক্ষেত্রের গৌরব গুরুত্বের আসল মাপকাঠি, যুযুধান পক্ষগুলির শক্তি সামর্থ্যের পরিচায়ক।
বিশদ

দক্ষ ম‌্যানেজারদের চাই, নিছক চৌকিদারদের নয় 
পি চিদম্বরম

পি চিদম্বরম: চৌকিদার হওয়াটা সম্মানের কাজ যেটা অনেক শতাব্দী ধরে চলে আসছে। চৌকিদার বা ওয়াচম‌্যানদের পাওয়া গিয়েছে সমস্ত গোষ্ঠী-সম্প্রদায় এবং পরিবেশ-পটভূমি থেকে। তাঁরা ছিলেন কিছু ব‌্যক্তি এবং তাঁদের কাজটি ছিল নিয়মমাফিক। আবাসন থেকে বাণিজ‌্য কেন্দ্র প্রভৃতি নানা স্থানে বেসরকারি উদ‌্যোগে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের একটি সংগঠিত ব‌্যবসার জন্ম দিয়েছে উদারীকরণ নীতি।  বিশদ

25th  March, 2019
 লোকসভা ২০১৯: প্রার্থী বাছতেই
হিমশিম, মমতাকে রুখবেন কীভাবে!
শুভা দত্ত

 দোল শেষ। তবে, রাজ্যজুড়ে রঙের উৎসবের আমেজ এখনও যথেষ্টই রয়েছে। পথেঘাটে মানুষের শরীরে মনে তার ছাপ এখনও স্পষ্ট। এবার দোলে গরম তেমন অসহনীয় ছিল না। বৃষ্টিও হয়নি। বরং, শুক্রবার হোলির বিকেলে কালবৈশাখী এসে যেটুকু ভ্যাপসা গরম জমে ছিল তাও ধুয়েমুছে নিয়ে গেছে।
বিশদ

24th  March, 2019
কংগ্রেস-সিপিএম জোট যেন
সান্ধ্য মেগা সিরিয়াল!
মৃণালকান্তি দাস

শত্রু চিহ্নিত হয়েছিল বছরখানেক আগেই। কেন্দ্রে বিজেপি, রাজ্যে তৃণমূল। সেই শত্রুকে বধ করতে কংগ্রেসের সঙ্গে হাতে হাত ধরে লড়াইয়ের ময়দানে থাকতে হবে, সেই বার্তাও দেওয়া হচ্ছিল বহুদিন ধরে। সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরি থেকে আব্দুল মান্নান—যাঁদের জোট চর্চার সঙ্গে শত্রু-বিরোধী গরম গরম ভাষণও শোনা গিয়েছিল অনেক। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগেই অশ্বডিম্ব প্রসব করে চূড়ান্ত হাস্যস্পদে পরিণত হয়েছে দুই দল।
বিশদ

24th  March, 2019
ধর্মের বেশে ভোটব্যাঙ্ক!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

দুপুর গড়িয়ে বিকেলের পথে। তারিখটা ২৭ মে, ১৯৬৪। দিল্লির রাজপথে কালো মাথার ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। আর ভিড়ের বেশিরভাগেরই গতিমুখ তিনমূর্তি ভবনের দিকে। সেখানে শায়িত জওহরলাল নেহরু। শেষযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির গ্র্যানভিল অস্টিনও। মার্কিন ছাত্র। থিসিস লিখছেন ভারতের সংবিধানের উপর। তাই আগ্রহটা বাকিদের থেকে একটু বেশিই।  
বিশদ

23rd  March, 2019
পরিবেশ নিরুদ্দেশ 
রঞ্জন সেন

খবরের কাগজে দেখলাম, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, সন্ত্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন মানব সভ্যতার সামনে বড় বিপদ। বাতাসে কার্বন নিঃসরণ বাড়ে এমন কোনও কাজ তিনি করেন না। কার্বন নিঃসরণের বিপদ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর এমন সতর্কতা খুব ভালো লাগল।  
বিশদ

23rd  March, 2019
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার
বামফ্রন্ট এবং তার প্রার্থীতালিকা
শুভময় মৈত্র

এ দেশে বামপন্থার ইতিহাস আজকের নয়। প্রায় একশো বছর আগে ১৯২৫ সালের বড়দিনের ঠিক পরের তারিখেই কানপুরে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (সিপিআই) প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে শোনা যায়। সিপিএমের আবার অন্য তত্ত্বও আছে। তাদের একাংশের মতে ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তাসখন্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির পথ চলা শুরু।
বিশদ

21st  March, 2019
গত বিধানসভার ফল রাজ্যে এবারের লোকসভার ভোটে কী ইঙ্গিত রাখছে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী
 

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ কয়েক মাস ধরে চলছে জনমত সমীক্ষার কাজ। ভারতের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে যেখানে ৯০ কোটি ভোটার রয়েছেন সেখানে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মনের খোঁজ পাওয়া সমীক্ষকদের পক্ষে কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে—বিশেষ করে ৯০ কোটি ভোটার যেখানে জাত, ধর্ম, অঞ্চলে বিভক্ত।  
বিশদ

19th  March, 2019
মোদিজির বালাকোট স্বপ্ন 

পি চিদম্বরম: গত ১০ মার্চ, রবিবার নির্বাচন কমিশন রণতূর্য বাজিয়ে দিল। সরকারকে শেষবারের মতো ‘ফেভার’ও করল তারা। নির্বাচন ঘোষণাটিকে সাধারণ মানুষ মুক্তির শ্বাসের মতো গ্রহণ করল: আর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘটা নেই, আর অর্ডিন‌্যান্স নেই এবং নেই কিছু নড়বড়ে সরকারি স্কিমের বেপরোয়া সূচনা।  বিশদ

18th  March, 2019
আধাসেনা নামিয়ে কি ভোটযুদ্ধে
মমতাকে ঘায়েল করা যাবে?

শুভা দত্ত 

রাজ্যে ভোটের হাওয়া গরম হচ্ছে। জেলায় জেলায় শাসক এবং বিরোধী—দুই শিবিরের প্রচারও একটু একটু করে গতি পাচ্ছে। মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রার্থীদের অনেকেই নেমে পড়েছেন জনসংযোগে। দেওয়াল লেখাও চলছে জোরকদমে। ভোটপ্রার্থীদের সমর্থনে পোস্টার ব্যানার দলীয় পতাকাও দেখা দিতে শুরু করেছে চারপাশে।  
বিশদ

17th  March, 2019
তীব্র জলসঙ্কট হয় মানুষের কারণে
খেসারত দিতে হবে মানুষকেই 
মৃন্ময় চন্দ

নদী বিক্রি? আজব কথা, তাও কি হয় সত্যি? ছত্তিশগড় তখনও নয় স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজ্য, কুলকুল করে বয়ে চলেছে ‘শেওনাথ’ নদী। ১৯৯৮ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকার ২৩ কিমি দীর্ঘ ‘শেওনাথ’ নদীটিকে ৩০ বছরের লিজে হস্তান্তর করল স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে।  বিশদ

16th  March, 2019
সংরক্ষণের রাজনীতি, রাজনীতির সংরক্ষণ 
রঞ্জন সেন

আগে ব্যাপারটা বেশ সহজ ছিল, সিপিএম, সিপিআই মানেই শ্রমিক-কৃষক- মধ্যবিত্তদের দল, কংগ্রেস উচ্চবিত্তদের দল, বিজেপি অবাঙালি ব্যবসায়ী শ্রেণীর দল। এই সরল শ্রেণীবিভাগ এখন অচল। বাম আমলে আমরা দেখেছি, টাটাদের মতো শিল্পপতিরাও বামেদের বেশ বন্ধু হয়ে গেছেন।   বিশদ

16th  March, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ২৭ মার্চ (পিটিআই): পলাতক হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির প্রত্যর্পণ মামলায় সহযোগিতা করার জন্য বুধবারই লন্ডন উড়ে গেল সিবিআই-ইডির একটি যৌথ দল। এই দলে রয়েছেন দু’টি সংস্থারই যুগ্ম-অধিকর্তা পর্যায়ের অফিসার। শুক্রবারই লন্ডনের আদালতে নীরব মোদির প্রত্যর্পণ মামলার শুনানি রয়েছে।  ...

কোপেনহেগেন, ২৭ মার্চ (এপি): সুইডেনে বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হলেন পাঁচজন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্টকহোম শহরের উত্তরপশ্চিম প্রান্তের একটি শিল্পতালুকে। সুইডেন পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বুধবার আরও দু’টি শাখা খুলল বন্ধন ব্যাঙ্ক। একটি গুরুগ্রামে,অন্যটি বর্ধমানে। চলতি মাসের মধ্যেই আরও ছ’টি নতুন শাখার উদ্বোধন করতে চলেছে তারা। সেই তালিকায় আছে লখনউ, রাইপুর এবং কলকাতাও। এরফলে বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট শাখার সংখ্যা দাঁড়াবে ৯৮৬। ...

সংবাদদাতা, সিউড়ি: বুধবার সকালে সদাইপুর থানার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে কচুজোড়ের কাছে ষাঁড়মারা জঙ্গল এলাকায় দু’টি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন লরি চালকের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় একজন জখম হয়েছেন। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২৬: ক্রিকেটার পলি উমরিগড়ের জন্ম
১৯৫৪: অভিনেত্রী মুনমুন সেনের জন্ম
১৯৭৫: অভিনেতা অক্ষয় খান্নার জন্ম
১৯৪১: কলকাতা থেকে মহানিষ্ক্রমণের পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বার্লিন পৌঁছালেন 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.১৮ টাকা ৬৯.৮৭ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৩২ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
ইউরো ৭৬.১৯ টাকা ৭৯.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৬২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৪১৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ চৈত্র ১৪২৫, ২৮ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার, অষ্টমী ৪২/২২ রাত্রি ১০/৩৪। মূলা ১১/২২ দিবা ১০/১০। সূ উ ৫/৩৭/৩৩, অ ৫/৪৬/৩১, অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫২ গতে ৩/১৩ মধ্যে, বারবেলা ২/৪৪ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১১ মধ্যে।
১৩ চৈত্র ১৪২৫, ২৮ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার, অষ্টমী রাত্রি ১/২৭/৫৯। মূলানক্ষত্র ১/২৩/৩০, সূ উ ৫/৩৭/৪৬, অ ৫/৪৫/৪৬, অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫২/৫৮ থেকে ৩/১৫/২২ মধ্যে, বারবেলা ৪/১৪/৪৬ থেকে ৫/৪৫/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ২/৪৩/৪৬ থেকে ৪/১৪/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৪১/৪৬ থেকে ১/১০/৪৬ মধ্যে। 
২০ রজব
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। বৃষ: গুরুজনের স্বাস্থ্যোন্নতি। মিথুন: কর্মক্ষেত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

১৯২৬: ক্রিকেটার পলি উমরিগড়ের জন্ম১৯৫৪: অভিনেত্রী মুনমুন সেনের জন্ম১৯৭৫: অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

জয়ের জন্য কোহলিদের ১৮৮ রানের টার্গেট দিল মুম্বই

09:52:00 PM

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ৮২/১ (১০ ওভার) 

08:51:11 PM

বাবুল সুপ্রিয়কে তাঁর গানের কথা বদল করতে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের 

06:17:18 PM

বিতর্কের জেরে এ রাজ্য থেকে সরানো হল কেকেশর্মাকে
বিতর্কের জেরে এ রাজ্য থেকে সরানো হল কেকে শর্মাকে। পশ্চিমবঙ্গ ...বিশদ

06:14:00 PM