Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দক্ষ ম‌্যানেজারদের চাই, নিছক চৌকিদারদের নয় 
পি চিদম্বরম

পি চিদম্বরম: চৌকিদার হওয়াটা সম্মানের কাজ যেটা অনেক শতাব্দী ধরে চলে আসছে। চৌকিদার বা ওয়াচম‌্যানদের পাওয়া গিয়েছে সমস্ত গোষ্ঠী-সম্প্রদায় এবং পরিবেশ-পটভূমি থেকে। তাঁরা ছিলেন কিছু ব‌্যক্তি এবং তাঁদের কাজটি ছিল নিয়মমাফিক। আবাসন থেকে বাণিজ‌্য কেন্দ্র প্রভৃতি নানা স্থানে বেসরকারি উদ‌্যোগে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের একটি সংগঠিত ব‌্যবসার জন্ম দিয়েছে উদারীকরণ নীতি। এই ধরনের গার্ডদের কাছে সাধারণভাবে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র থাকে না; ব‌্যতিক্রম সামান‌্য কিছু লোক যাঁরা ব‌্যাঙ্কে গার্ড দিয়ে থাকেন, তাঁদেরকে ‘সাইড-আর্ম’ রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। মোটকথা, দিন কী রাত—সবই সাদামাঠা।
সেটাই হতে পারত যদি না নরেন্দ্র মোদি উদ্ধত ভঙ্গিতে তাঁর দলের লোকদের নামের পূর্বে ‘চৌকিদার’ নামক একটি ‘উপসর্গ’ ব‌্যবহার করার নির্দেশ দিতেন। ঘণ্টা কয়েকের মধ‌্যে, বিজেপির দম্ভের আরও একটি দৃষ্টান্ত আমরা পেলাম: ২৫ লক্ষ মানুষ চৌকিদার হয়েছেন। ঘোষণা করে দেওয়া হল যে মোদিজি তাঁদের সঙ্গে আলাপ করবেন। পরবর্তী গন্তব‌্য: গিনেস বুক অফ রেকর্ডস। আমি কল্পনা করছি।  
সার্কাসই চলছে
গভর্ন‌্যান্স বা শাসন-পরিচালনা, বিজেপি জমানায়, একটা সার্কাসে পরিণত হয়েছে। একজন ‘রিংমাস্টার’ আছেন, কিন্তু কোনও বাঘ সিংহ নেই। বাঘ সিংহের পিঠে যে চাবুক পড়ার কথা সেটা কশাঘাত করছে নিরীহ ভেড়া বা খরগোশদেরকে। অবশ‌্য এমনও বহু ক্লাউন আছে যারা বলবে যে ২০১৯-এর পর কোনও ভোট হবে না।  
যখন কিছু মানুষ এই প্রদর্শনী উপভোগ করছেন, তখন বিশাল সংখ‌্যক মানুষ প্রাসঙ্গিক প্রশ্নগুলি তুলছেন। সমীক্ষার পর সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে যে মানুষের প্রধান দুটি উদ্বেগ হল: (১) বেকারত্ব এবং (২) কৃষকের দুর্দশা, তাঁদের ঋণজর্জর অবস্থা।
যে দিনটি পেরচ্ছে বেকারত্বের তীব্র জ্বালার প্রমাণ রেখে যাচ্ছে। সংবাদ মাধ‌্যম চেপে গেলেও ন‌্যাশনাল স‌্যাম্পেল সার্ভে অর্গানাইজেশনের (এনএসএসও) করুণ কাহিনী দেশসুদ্ধ জানাজানি হয়ে গিয়েছে। এনএসএসও শ্রমিকদের কাজের বিষয়ে একটি সময়ভিত্তিক সমীক্ষা (পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে বা পিএলএফএস) করে থাকে। একটি সমীক্ষা তারা করেছিল ২০১১-১২ সালে এবং সর্বশেষটি করেছে ২০১৭-১৮-তে। শেষ রিপোর্টটি ন‌্যাশনাল স্ট‌্যাটিস্টিকস কমিশন গত ডিসেম্বরে অনুমোদন করেছিল, কিন্তু বিজেপি সরকার সেটির প্রকাশ আটকে দিয়েছিল। রিপোর্ট চেপে দেওয়ার প্রতিবাদে কমিশনের অবশিষ্ট দুই সদস‌্য পি সি মোহানান এবং জে ভি মীনাক্ষি গত জানুয়ারিতে পদত‌্যাগ করেন। এই ঘটনার কোনও ব‌্যাখ‌্যা সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
রিপোর্টের বেরিয়ে আসা কিছু অংশ এই রকম:
 বেকারত্বের হার—শহুরে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৭.১ শতাংশ এবং গ্রাম-ভারতের ক্ষেত্রে ৫.৮ শতাংশ।
 পুরুষ, নারী, শহর, গ্রাম সবটা ধরে যে ওয়ার্কফোর্স (শ্রমজীবী মানুষের আয়তন) সেটি ৪.৭ কোটি সংকুচিত বা ছোট হয়ে গিয়েছে—৪২ কোটির ওয়ার্কফোর্স ৩৭.৩ কোটিতে নেমে এসেছে।
 গ্রামাঞ্চলে ৪ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন এবং সংখ‌্যাটি শহর-নগরের ক্ষেত্রে ৪০ লক্ষ।
 গ্রামাঞ্চলের মহিলারাই সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছেন এবং এই প্রশ্নে পুরুষদের দুর্দশা বেশি হয়েছে শহরাঞ্চলে।
এই তথ‌্য থেকে এটি স্পষ্ট যে—ঊর্ধ্বগতি নিয়েছে বেকাত্ব  এবং গ্রামাঞ্চলের দুর্দশাও ক্রমবর্ধমান। সরকার দুটিই অস্বীকার করে, এবং অতঃপর পিএলএফএস-এর অস্বস্তিকর সত‌্যটাও চেপে যায়।
অভূতপূর্ব বেকারত্ব
পিএলএফএস-এর বক্তব‌্যের সারাৎসার যে যথার্থ অন‌্যসকল তথ‌্য তা বুঝিয়ে দেয়। দ‌্য সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি’র (সিএমআইই) রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, টোটাল ওয়ার্কফোর্স বা যত মানুষ কাজেকর্মে নিযুক্ত তার সংখ‌্যাটি কমে গিয়েছে—২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে ৪০ কোটি ৭৫ লক্ষ থেকে ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে ৪০ কোটিতে নেমে এসেছে। ওই রিপোর্টে সিএমআইই আরও বলেছে যে, ২০১৮ সালে ১ কোটি ১০ লক্ষ চাকরি নষ্ট হয়েছে। তামিলনাড়ু রাজ‌্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেখানকার শিল্পমন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন যে, বিমুদ্রাকরণ এবং জিএসটির কারণে ওই রাজ‌্যের ৫ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়েছেন।
আপনি যে-কোনও নগরে যান—আমেদাবাদের আকবরনগর সার্কেল, জয়পুরের থড়ী চক অথবা ইন্দোরের খাজরানা চক—আপনি দেখতে পাবেন যে অস্থায়ী শ্রমিকদের রোজগার আগের তুলনায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে এবং তাঁরা নিদারুণ দারিদ্রের মধ‌্যে পড়ে গিয়েছেন। এবার শুরু হয়েছে ৬২,৯০৭টি শূন‌্য পদে খালাসি বা হেল্পার নিয়োগের প্রক্রিয়া। তার জন‌্য ৮২ লাখের বেশি মানুষ আবেদন করেছেন। প্রাপ্ত তথ‌্য এইরকম—খালাসির পদে চাকরিতে আবেদনকারীদের মধ‌্যে ৪ লক্ষ ১৯ হাজার ১৩৭ জন হলেন বি. টেক. পাশ এবং ৪০ হাজার ৭৫১ জনের রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার ডিগ্রি!
শাসনক্ষমতায় আসীন চৌকিদাররা হয়তো মনে করেন যে তাঁদের কাজটা হল বাড়িঘরদোর পাহারা দেওয়া; ওই সমস্ত বাড়িঘরে যদি বেকার কিংবা কাজ হারানো মানুষজনই বসবাস করেন তবে সেসব পাহারা দেওয়ার জন‌্য ক্ষমতাসীন চৌকিদারদের ব‌্যস্তসমস্ত হওয়ার প্রয়োজনটা কোথায়!
কৃষকদের উপর পাপ
কৃষিক্ষেত্রের ক্রমবর্ধমান দুর্দশা হল আর একটি অনুরূপ কাহিনী। ড. অরবিন্দ সুব্রামনিয়মের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত শেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষায় (২০১৭-১৮) বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ানক অভিযোগ আনা হয়েছে: ‘‘বিগত চার বছরে, কৃষিক্ষেত্রের প্রকৃত জিডিপির লেভেল এবং কৃষিক্ষেত্র থেকে প্রকৃত আয় (রেভিনিউ) অপরিবর্তিত রয়ে গিয়েছে।’’ এই পরিস্থিতির কারণ—
 কৃষিপণ‌্যের ন‌্যূনতম সহায়ক মূল‌্যের (এমএসপি) ন‌্যায‌্য বৃদ্ধি নস‌্যাৎ এবং এইভাবে, কৃষকরা ঘাম ঝরিয়ে যে ফসল ফলিয়ে থাকেন তার দামটিও কমিয়ে রাখা;
 ন‌্যূনতম সহায়ক মূল‌্যে ফসল ক্রয় ব‌্যবস্থার (প্রোকিয়োরমেন্ট মেশিনারি) প্রতি নজর না-দেওয়া: শান্তা কুমার কমিটির রিপোর্ট অনুসারে, প্রোকিয়োরমেন্ট সিস্টেম মারফত উপকৃত কৃষকের সংখ‌্যা মাত্রই ৬ শতাংশ;
 আমদানি-রপ্তানি নীতি দিয়ে কোনোরকমে মেরামত: ভারত থেকে কৃষিপণ‌্য রপ্তানি বন্ধ করে অথবা নিয়ন্ত্রণ করে (যেমন পেঁয়াজ ও আলু) এবং যে-সমস্ত কৃষিপণ‌্য কৃষকদের দামের উপর প্রভাব ফেলছিল সেগুলি ভারতে আমদানি করে (যেমন ডাল);
 বীজ, সার, ডিজেল, বিদ‌্যুৎ, জল, ভাড়ায়-নেওয়া যন্ত্রপাতি প্রভৃতির দামের লাগামছাড়া বৃদ্ধি ঠেকাতে সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেই;
 কৃষকের আয় দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে ফাঁকা আওয়াজ কিন্তু নন-ক্রপ এগ্রিকালচার (আগাছা থেকে মানুষ ও পশুর খাদ‌্য উৎপাদনের যে চাষ-আবাদ) মারফত কৃষকের আয়বৃদ্ধির ব‌্যাপারে কোনও সহায়তা দেওয়া নেই;
যে সমস্ত অতি ক্ষুদ্র ও ছোট চাষি ঋণের ভারে তলিয়ে যাচ্ছিলেন ডিমনিটাইজেশন বস্তুত তাঁদের শেষ করে ছেড়েছে;
তবু, কৃষিঋণের মকুব নেই।
কৃষকদের উপর এই পাপ করার কারণে, কৃষকদের মন ভেজাতে ভোটের মুখে সান্ত্বনা হিসেবে হাজির করা হয়েছে পরিবার পিছু ২০০০ টাকা বা দৈনিক ১৭ টাকার প্রকল্প! ঋণভারের বহরের (নাবার্ড-এর হিসেবে, কৃষক প্রতি গড়ে ১ লক্ষ ৪ হাজার টাকা) কথা বিবেচনার মধ‌্যে থাকলে কৃষিঋণ মকুব করাটাই ছিল অর্থনৈতিক এবং নৈতিক—দুই দিক থেকে জরুরি পদক্ষেপ। কৃষিঋণ মকুবের দাবি বিজেপি সরকার সোজাসুজি খারিজ করে দিয়েছে এবং সেটি যে কত বড় মূর্খামি হয়েছে তা তারা টের পেয়েছে ছত্তিশগড়, মধ‌্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে।
বিজেপি সরকারের অভিজ্ঞতাটি আমাদেরকে এটাই জানাচ্ছে যে—সময়ের একটিই দাবি—অর্থনীতিটা ঠিকঠাক সামলাতে পারেন এইরকম দক্ষ পরিচালকদের (কমপিটেন্ট ইকনমিক ম‌্যানেজার) চাই, শুধু স্বনিযুক্ত ‘ওয়াচম‌্যানদের’ দিয়ে কাজের কাজটি হবে না।  
25th  March, 2019
মহারণ ২০১৯: রণক্ষেত্রে রণহুংকার থাকবে না!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

থাকবে। অবশ্যই থাকবে। অতীতে ছিল, এখন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। রণহুংকার না থাকলে রণক্ষেত্র কীসের! রণহুংকার রণদামামাই তো রণক্ষেত্রের গৌরব গুরুত্বের আসল মাপকাঠি, যুযুধান পক্ষগুলির শক্তি সামর্থ্যের পরিচায়ক।
বিশদ

ভোট চাই, ভোট
মোশারফ হোসেন

দেশজুড়ে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা ভোট একটি জাতীয় উৎসবই বলা চলে। কারণ, নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, হরেকরকম বৈচিত্র্যের মধ্যে অদ্ভুত ঐক্যের আসমুদ্র হিমাচল বিস্তৃত এই দেশে যে কোনও সামাজিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনওরকমের উৎসবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে।
বিশদ

26th  March, 2019
 লোকসভা ২০১৯: প্রার্থী বাছতেই
হিমশিম, মমতাকে রুখবেন কীভাবে!
শুভা দত্ত

 দোল শেষ। তবে, রাজ্যজুড়ে রঙের উৎসবের আমেজ এখনও যথেষ্টই রয়েছে। পথেঘাটে মানুষের শরীরে মনে তার ছাপ এখনও স্পষ্ট। এবার দোলে গরম তেমন অসহনীয় ছিল না। বৃষ্টিও হয়নি। বরং, শুক্রবার হোলির বিকেলে কালবৈশাখী এসে যেটুকু ভ্যাপসা গরম জমে ছিল তাও ধুয়েমুছে নিয়ে গেছে।
বিশদ

24th  March, 2019
কংগ্রেস-সিপিএম জোট যেন
সান্ধ্য মেগা সিরিয়াল!
মৃণালকান্তি দাস

শত্রু চিহ্নিত হয়েছিল বছরখানেক আগেই। কেন্দ্রে বিজেপি, রাজ্যে তৃণমূল। সেই শত্রুকে বধ করতে কংগ্রেসের সঙ্গে হাতে হাত ধরে লড়াইয়ের ময়দানে থাকতে হবে, সেই বার্তাও দেওয়া হচ্ছিল বহুদিন ধরে। সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরি থেকে আব্দুল মান্নান—যাঁদের জোট চর্চার সঙ্গে শত্রু-বিরোধী গরম গরম ভাষণও শোনা গিয়েছিল অনেক। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগেই অশ্বডিম্ব প্রসব করে চূড়ান্ত হাস্যস্পদে পরিণত হয়েছে দুই দল।
বিশদ

24th  March, 2019
ধর্মের বেশে ভোটব্যাঙ্ক!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

দুপুর গড়িয়ে বিকেলের পথে। তারিখটা ২৭ মে, ১৯৬৪। দিল্লির রাজপথে কালো মাথার ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। আর ভিড়ের বেশিরভাগেরই গতিমুখ তিনমূর্তি ভবনের দিকে। সেখানে শায়িত জওহরলাল নেহরু। শেষযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির গ্র্যানভিল অস্টিনও। মার্কিন ছাত্র। থিসিস লিখছেন ভারতের সংবিধানের উপর। তাই আগ্রহটা বাকিদের থেকে একটু বেশিই।  
বিশদ

23rd  March, 2019
পরিবেশ নিরুদ্দেশ 
রঞ্জন সেন

খবরের কাগজে দেখলাম, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, সন্ত্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন মানব সভ্যতার সামনে বড় বিপদ। বাতাসে কার্বন নিঃসরণ বাড়ে এমন কোনও কাজ তিনি করেন না। কার্বন নিঃসরণের বিপদ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর এমন সতর্কতা খুব ভালো লাগল।  
বিশদ

23rd  March, 2019
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার
বামফ্রন্ট এবং তার প্রার্থীতালিকা
শুভময় মৈত্র

এ দেশে বামপন্থার ইতিহাস আজকের নয়। প্রায় একশো বছর আগে ১৯২৫ সালের বড়দিনের ঠিক পরের তারিখেই কানপুরে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (সিপিআই) প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে শোনা যায়। সিপিএমের আবার অন্য তত্ত্বও আছে। তাদের একাংশের মতে ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তাসখন্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির পথ চলা শুরু।
বিশদ

21st  March, 2019
গত বিধানসভার ফল রাজ্যে এবারের লোকসভার ভোটে কী ইঙ্গিত রাখছে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী
 

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ কয়েক মাস ধরে চলছে জনমত সমীক্ষার কাজ। ভারতের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে যেখানে ৯০ কোটি ভোটার রয়েছেন সেখানে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মনের খোঁজ পাওয়া সমীক্ষকদের পক্ষে কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে—বিশেষ করে ৯০ কোটি ভোটার যেখানে জাত, ধর্ম, অঞ্চলে বিভক্ত।  
বিশদ

19th  March, 2019
মোদিজির বালাকোট স্বপ্ন 

পি চিদম্বরম: গত ১০ মার্চ, রবিবার নির্বাচন কমিশন রণতূর্য বাজিয়ে দিল। সরকারকে শেষবারের মতো ‘ফেভার’ও করল তারা। নির্বাচন ঘোষণাটিকে সাধারণ মানুষ মুক্তির শ্বাসের মতো গ্রহণ করল: আর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘটা নেই, আর অর্ডিন‌্যান্স নেই এবং নেই কিছু নড়বড়ে সরকারি স্কিমের বেপরোয়া সূচনা।  বিশদ

18th  March, 2019
আধাসেনা নামিয়ে কি ভোটযুদ্ধে
মমতাকে ঘায়েল করা যাবে?

শুভা দত্ত 

রাজ্যে ভোটের হাওয়া গরম হচ্ছে। জেলায় জেলায় শাসক এবং বিরোধী—দুই শিবিরের প্রচারও একটু একটু করে গতি পাচ্ছে। মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রার্থীদের অনেকেই নেমে পড়েছেন জনসংযোগে। দেওয়াল লেখাও চলছে জোরকদমে। ভোটপ্রার্থীদের সমর্থনে পোস্টার ব্যানার দলীয় পতাকাও দেখা দিতে শুরু করেছে চারপাশে।  
বিশদ

17th  March, 2019
তীব্র জলসঙ্কট হয় মানুষের কারণে
খেসারত দিতে হবে মানুষকেই 
মৃন্ময় চন্দ

নদী বিক্রি? আজব কথা, তাও কি হয় সত্যি? ছত্তিশগড় তখনও নয় স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজ্য, কুলকুল করে বয়ে চলেছে ‘শেওনাথ’ নদী। ১৯৯৮ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকার ২৩ কিমি দীর্ঘ ‘শেওনাথ’ নদীটিকে ৩০ বছরের লিজে হস্তান্তর করল স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে।  বিশদ

16th  March, 2019
সংরক্ষণের রাজনীতি, রাজনীতির সংরক্ষণ 
রঞ্জন সেন

আগে ব্যাপারটা বেশ সহজ ছিল, সিপিএম, সিপিআই মানেই শ্রমিক-কৃষক- মধ্যবিত্তদের দল, কংগ্রেস উচ্চবিত্তদের দল, বিজেপি অবাঙালি ব্যবসায়ী শ্রেণীর দল। এই সরল শ্রেণীবিভাগ এখন অচল। বাম আমলে আমরা দেখেছি, টাটাদের মতো শিল্পপতিরাও বামেদের বেশ বন্ধু হয়ে গেছেন।   বিশদ

16th  March, 2019
একনজরে
  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বুধবার আরও দু’টি শাখা খুলল বন্ধন ব্যাঙ্ক। একটি গুরুগ্রামে,অন্যটি বর্ধমানে। চলতি মাসের মধ্যেই আরও ছ’টি নতুন শাখার উদ্বোধন করতে চলেছে তারা। সেই তালিকায় আছে লখনউ, রাইপুর এবং কলকাতাও। এরফলে বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট শাখার সংখ্যা দাঁড়াবে ৯৮৬। ...

এবি ডি’ভিলিয়ার্স : বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম শুধু আমাদের হোম গ্রাউন্ডই নয়, এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেট মাঠও বটে। অত্যন্ত প্রিয় সেই মাঠেই বৃহস্পতিবার মরশুমের প্রথম হোম ম্যাচ খেলতে নামছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রতিপক্ষ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই ম্যাচে বাড়তি চাপ ...

কোপেনহেগেন, ২৭ মার্চ (এপি): সুইডেনে বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হলেন পাঁচজন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্টকহোম শহরের উত্তরপশ্চিম প্রান্তের একটি শিল্পতালুকে। সুইডেন পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। ...

বিএনএ, রায়গঞ্জ: গত পাঁচ বছরে জেলার উন্নয়নে কী কী কাজ করেছেন তার ফিরিস্তি নিয়ে দোরে দোরে ঘুরছেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বাম সংসদ সদস্য মহম্মদ সেলিম। এদিকে বিরোধীরা আওয়াজ তুলেছে, সংসদ সদস্য তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য কাজই করেননি। সৎসাহস থাকলে সেনিয়ে শ্বেতপত্র ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২৬: ক্রিকেটার পলি উমরিগড়ের জন্ম
১৯৫৪: অভিনেত্রী মুনমুন সেনের জন্ম
১৯৭৫: অভিনেতা অক্ষয় খান্নার জন্ম
১৯৪১: কলকাতা থেকে মহানিষ্ক্রমণের পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বার্লিন পৌঁছালেন 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.১৮ টাকা ৬৯.৮৭ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৩২ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
ইউরো ৭৬.১৯ টাকা ৭৯.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৬২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৪১৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ চৈত্র ১৪২৫, ২৮ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার, অষ্টমী ৪২/২২ রাত্রি ১০/৩৪। মূলা ১১/২২ দিবা ১০/১০। সূ উ ৫/৩৭/৩৩, অ ৫/৪৬/৩১, অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫২ গতে ৩/১৩ মধ্যে, বারবেলা ২/৪৪ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১১ মধ্যে।
১৩ চৈত্র ১৪২৫, ২৮ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার, অষ্টমী রাত্রি ১/২৭/৫৯। মূলানক্ষত্র ১/২৩/৩০, সূ উ ৫/৩৭/৪৬, অ ৫/৪৫/৪৬, অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫২/৫৮ থেকে ৩/১৫/২২ মধ্যে, বারবেলা ৪/১৪/৪৬ থেকে ৫/৪৫/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ২/৪৩/৪৬ থেকে ৪/১৪/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৪১/৪৬ থেকে ১/১০/৪৬ মধ্যে। 
২০ রজব
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। বৃষ: গুরুজনের স্বাস্থ্যোন্নতি। মিথুন: কর্মক্ষেত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

১৯২৬: ক্রিকেটার পলি উমরিগড়ের জন্ম১৯৫৪: অভিনেত্রী মুনমুন সেনের জন্ম১৯৭৫: অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

জয়ের জন্য কোহলিদের ১৮৮ রানের টার্গেট দিল মুম্বই

09:52:00 PM

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ৮২/১ (১০ ওভার) 

08:51:11 PM

বাবুল সুপ্রিয়কে তাঁর গানের কথা বদল করতে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের 

06:17:18 PM

বিতর্কের জেরে এ রাজ্য থেকে সরানো হল কেকেশর্মাকে
বিতর্কের জেরে এ রাজ্য থেকে সরানো হল কেকে শর্মাকে। পশ্চিমবঙ্গ ...বিশদ

06:14:00 PM