শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
নাগপুর দক্ষিণ-পশ্চিম, নাগপুর দক্ষিণ, নাগপুর পূর্ব, নাগপুর মধ্য, নাগপুর পশ্চিম ও নাগপুর উত্তর— এই ছ’টি বিধানসভা ক্ষেত্র নিয়ে নাগপুর লোকসভা কেন্দ্র। এর মধ্যে নাগপুর উত্তর কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। আগামী ১১ এপ্রিল, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট দেবেন নাগপুরের ২১ লক্ষ ২৬ হাজার ৫৭৪ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯৩৪ জন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের লোকসভা নির্বাচনে দলিতরা, বিশেষ করে নব্য বৌদ্ধদের ভোটব্যাঙ্ক ছিল বিজেপির পক্ষে। কিন্ত এবার সেই ভোটব্যাঙ্কের মধ্যে উল্টো পথে হাঁটার সম্ভাবনা প্রবল। ইউজিসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শুকদাদেও থোরাট সংবাদসংস্থার মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘এবছর দলিতদের মধ্যে বিজেপি বিরোধী হাওয়া প্রবল। যদিও এই ভোট কংগ্রেস-এনসিপি জোট, প্রকাশ আম্বেদকরের বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি এবং মায়াবতীর বসপার মধ্যে ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বিরোধী সমস্ত দল একজোট হয়, তবেই এই ভোট ভাগের সম্ভাবনা কমবে।’ যদিও তাঁর এই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন নাগপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক মিলিন্দ মানে। এই বিজেপি নেতার দাবি, গতবারের লোকসভা নির্বাচনে দলিত বৌদ্ধদের ৩-৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন নীতিন গাদকারি। এবছর এই জনগোষ্ঠীর ভোটের ২৭ শতাংশ আসতে পারে নীতিন গাদকারির ঝুলিতে। তিনি আরও জানান, শুধু উন্নয়ন নয়, আম্বেদকরের অনুগামীদের মধ্যে বিজেপির প্রভাবও বেড়েছে অনেকটাই। দলিত, মুসলিম ও সংখ্যালঘুদের কাছে গাদকারির গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে।
জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রের ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোটার ওবিসি ক্যাটাগরির, কুনবি ও তেলি সম্প্রদায়ভুক্ত। বাকি ভোটারদের মধ্যে ১৫-২০ শতাংশ দলিত এবং মুসলিম ভোটার প্রায় ১২ শতাংশ। কংগ্রেসের তফসিলি দপ্তরের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নীতিন রাউত জানিয়েছেন, বিজেপি আরএসএস মতাদর্শ মেনে চলে। যা সংবিধানবিরোধী। পাশাপাশি, বিজেপির বিভিন্ন নীতি নিয়েও দলিতদের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। গাদকারি নিজেকে দলিতপ্রেমী হিসেবে তুলে ধরতে চাইলেও তাঁর কাজ নিয়ে অনেকের মনে প্রচুর প্রশ্ন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘নীতিন গাদকারির ইমেজ স্বচ্ছ হলেও বৌদ্ধরা প্রার্থী দেখে ভোট দেন না। তাঁরা কোনওমতেই বিজেপিকে চায় না।’ এদিকে, এখনও পর্যন্ত বসপা এবং বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি এই কেন্দ্রে তাঁদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।
রাজনৈতিক সমীক্ষকদের মতে, নাগপুরের মোট ভোটারের মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ভোটদাতা দলিত। এই দলিত এবং ওবিসি ভোটব্যাঙ্ক হাতে এলেই এবারের ভোট বৈতরণী পার হতে আর কোনও বাধা থাকবে না, তা বুঝেই প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীরা।