শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
অন্যদিকে, বিজেপি দল সাংগঠনিকভাবে ছোট ছোট আকারে বুথ, কর্মিসভা, মণ্ডল সভা সুসম্পন্ন করলেও প্রার্থী কে হবে তা জানাতে অনেকে দেরি করে ফেলেছে। সবে মঙ্গলবার বিকেলে প্রার্থী হিসেবে নীলাঞ্জন রায়ের নাম ঘোষণা হয়েছে। ফলে আমজনতার মধ্যে উদ্দীপনা তৈরির বিষয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে গিয়েছে। ভোটারদের মতামত তাই। জনসমক্ষে মুখে মুখে এও শোনা যাচ্ছে, বিগত ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অনেক আগে থেকে পদ্মফুল দম দেওয়া লাট্টুর মতো প্রার্থী নিয়ে পুরো ডায়মন্ডহাররার কেন্দ্রে ঘুরে চক্কর দিয়েছে। তাতে তৃণমূলের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল। কংগ্রেসের সংগঠনের অধিকাংশ তৃণমূল গ্রাস করে নিয়েছে। তাও যা অবশিষ্ট রয়েছে, তা দিয়ে এককভাবে কতটা লড়াই দিতে পারবে-তা নিয়ে কংগ্রেসের পুরাতন কর্মী থেকে অনুগত ভোটারদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। তারমধ্যে সিপিএমের সঙ্গে জোট না হওয়া এবং এই কেন্দ্র থেকে আদৌ প্রার্থী দেওয়া হবে কি না-তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলার পর শেষে সোমবার সৌম্য আইচের নাম ঘোষণা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে কংগ্রেস প্রার্থী সৌম্য আইচ বিষ্ণুপুরের বাখরাহাটের কাছারিবাবার মন্দিরে পুজো দিয়ে সবে প্রচারে নেমেছেন। সৌম্যবাবুর কথায়, এখনও অনেকটা সময় হাতে রয়েছে। তাছাড়া কংগ্রেসের প্রার্থী বাছাই থেকে ঘোষণা দিল্লিতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হয়। তাই সময় লেগেছে। তবে তিনি প্রতিটি মানুষের কাছে যাবেন। যাতে ভোটারদের সমর্থন পাওয়া যায়।
বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পশ্চিমের সভাপতি অভিজিৎ দাস বলেন, শক্ত সংগঠন না হলে প্রার্থীকে জেতানো যায় না। সেদিক থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রার্থীকে টক্কর দেওয়ার মতো বিজেপি নিস্তব্ধভাবে বুথ থেকে জেলা পর্যন্ত সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়েছে। এসব ঢাক পিটিয়ে বলতে চায় না বিজেপি। আসলে আমাদের দল সারা বছর ধরে এই সংসদ এলাকায় নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। অভিজিতের কথায়, বিজেপিতে একজনই প্রার্থী, তিনি মোদিজি। তাঁর নামেই সব জায়গাতে ভোট হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের ডায়মন্ডহারবার সংসদ এলাকায় কার্যকরী সভাপতি দিলীপ মণ্ডল বলেন, এখানে দলের সংগঠন, প্রচার থেকে শুরু করে সামগ্রিক এলাকায় উন্নয়নের খতিয়ানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারেকাছে বিরোধী দলের কোনও প্রার্থী দাঁড়াতে পারবেন না। স্বাভাবিকভাবে ভোটের সময় কয়েকদিন এখানে এসে প্রচারে ঝড় তুলে লাভ হবে না। মানুষ জানে সারা বছর কোন দল পাশে থাকে। সিপিএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম বলেন, মুখে উন্নয়নের যতটা ফানুস ওড়ানো হচ্ছে, ততটা বাস্তবে হয়নি। মহেশতলার ১, ২, ৩, ৯ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে তেমনটাই শোনা গেল ভোটারদের কাছে। নজরে পড়ল নিকাশি নেই, জল জমে রাস্তায় হাঁটা যাচ্ছে না। ওস্তাগারদের ব্যবসায় মন্দা। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের জনস্বার্থ বিরোধী নীতির জন্য মানুষ ভুগছে। স্বাভাবিকভাবে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে ভোটের সময় মানুষই শেষ কথা বলবে।