Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহারণ ২০১৯: রণক্ষেত্রে রণহুংকার থাকবে না!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

থাকবে। অবশ্যই থাকবে। অতীতে ছিল, এখন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। রণহুংকার না থাকলে রণক্ষেত্র কীসের! রণহুংকার রণদামামাই তো রণক্ষেত্রের গৌরব গুরুত্বের আসল মাপকাঠি, যুযুধান পক্ষগুলির শক্তি সামর্থ্যের পরিচায়ক। গগনভেদী রণহুংকার আর দশদিক কাঁপানো দামামা শুনেই তো সাধারণের বুকে কৌতূহলের পারদ চড়ে, কী ভয়ানক লড়াই হবে ভেবে তাঁদের দিনরাতের চিন্তা-চৈতন্য সব তোলপাড় হয়, ঘনঘোর যুদ্ধ শেষে জয়ের মহামুকুট কার শিরে উঠবে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা বিবাদ বিতর্কে সরগরম হয়ে ওঠে পাড়া মহল্লা থেকে পথঘাট অফিসকাছারি। যুদ্ধ, সে দেশ রক্ষার লড়াইই হোক কি খেলার মাঠে সেরার শিরোপা জয়ের সংগ্রাম—দেশজনতার মহলে আবেগ কৌতূহল আশঙ্কা উত্তেজনার পারদের ওঠানামাটা প্রায় একই থাকে। কার্গিল থেকে কাশ্মীর সার্জিকাল স্ট্রাইক, ফুটবল ক্রিকেট বিশ্বকাপ থেকে ইস্ট-মোহন মেরি কম, দীপা—আমাদের অভিজ্ঞতা কি তাই বলে না? তো, ভোটের বেলায় অন্যথা হয় কী করে? ভোট তো আজ আর নিছক ফুল-বেলপাতা দিয়ে চাল-কলার নৈবেদ্য সাজিয়ে জনগণেশ বন্দনা মাত্র নয়। জনগণেশের প্রসন্নতার আশায় কেবল করজোড়ে দোরে দোরে ঘোরা, হাসিমুখে ভিক্ষার ঝুলি এগিয়ে দিয়ে কী করা গেছে কী করা যায়নি, কেন যায়নি সবিনয়ে তার হিসেব দাখিলও নয়। ভোট এখন রীতিমতো যুদ্ধ মহারণ। নিজ দলের ভোটবাক্সে জনগণেশের আশীর্বাদ টেনে এনে জমা করার এক প্রাণান্তকর সংগ্রাম। এবং যুদ্ধ বলেই সেখানে অনিবার্য আক্রমণ। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সর্ববিধ আক্রমণ, আক্রমণ এবং আক্রমণ। এহেন মহারণক্ষেত্রে রণহুংকার থাকবে না—তাই কখনও হয়!
কিন্তু, কথা হল—দেশ বাঁচানোর লড়াই খেলার মাঠে মান রক্ষার লড়াই আর ভোট জয়ের লড়াইতে আক্রমণের তরিকা কি এক হতে পারে? দেশ রক্ষার লড়াইতে গোলাগুলি সেনা আধাসেনা অপরিহার্য। বাংলাদেশ কার্গিল যুদ্ধ বা সাম্প্রতিক সার্জিকাল স্ট্রাইকের সময় বাহিনী বা সরকারের তরফে ভারতীয় সেনার শক্তিক্ষমতা বাহাদুরির বিশেষ প্রচার করা হয়েছে এবং তাতে বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসীর মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বাড়তি দৃঢ়তা পেয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু, ভাবুন, ক্রিকেট বিশ্বযুদ্ধের মহামঞ্চ থেকে বিরাট কোহলির মতো কেউ যদি ঘোষণা করে বসেন, এবার কাউকে মাঠে দাঁত ফোটাতে দেওয়া হবে না। সারা মাঠ ঘিরে রাখবে আমাদের মহাশক্তিমান সেনা আধাসেনা! আর বোলারদের বলব সব বল যেন ব্যাটসম্যানের মাথা লক্ষ্য করে যায়, উইকেট লক্ষ্য করে নয়। আমাদের জয়ের পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের সবাইকে খাটিয়ায় করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে... ইত্যাদি ইত্যাদি—তাহলে কি কেউ স্বাভাবিক বলবেন!? না এমন একটি অবাস্তব অসম্ভবের কল্পনায় প্রাণখোলা হাসিতে লুটোপুটি খাবেন!? বলা বাহুল্য হেসে লুটোবেন। কারণ, কে না জানেন, খেলাযুদ্ধের মাঠে কোহলিরা তাঁদের অসামান্য দক্ষতা ও ক্রীড়া কৌশলের গুণেই সেরার শিরোপা, জনমন জিতে নেন। এবং পরবর্তী জয়ের লক্ষ্যে অপরিসীম অধ্যবসায়বলে সেই দক্ষতা ও কৌশলশক্তিকে তাঁরা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেন। তাই মাঠের খেলাযুদ্ধে জয়ের জন্য তাঁদের অন্য কোনও শক্তির সহায়তা লাগে না।
ভোটযুদ্ধ কি ওই খেলাযুদ্ধের চেয়ে খুব দূরবর্তী? তাই কি? অনেকে হয়তো বলবেন, রাজনীতি খেলার চেয়ে হয়তো অনেক কঠিন জটিল এবং কৌশলী। অনেক সিরিয়াস। এই রাজনীতির মধ্য দিয়েই উঠে আসেন দেশ রাজ্যের পরিচালকেরা। ভোটযুদ্ধ সেই পরিচালকদের নির্বাচনের মাধ্যম। দেশজনতা এক্ষেত্রে শুধু দর্শক নয়—নির্বাচক। তাঁদের সমর্থন আনুকূল্য পাওয়ার লড়াই ভোটযুদ্ধ। সুতরাং, মাঠের এগারো জনের লড়াইয়ের চেয়ে তাঁদের যুদ্ধের গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু, যাঁরা এ কথা বলেন তাঁরা কি অস্বীকার করতে পারেন—মাঠের ওই এগারো জন এবং মাঠের বাইরে বসে থাকা তাঁদের আরও তিন সতীর্থ অর্থাৎ চোদ্দো জনও কোনও নির্বাচক মণ্ডলীর দ্বারা নির্বাচিত এবং দেশের কোটি কোটি মানুষের মধ্যে প্রথম এগারোয় নির্বাচিত হওয়াটাও কম বড় যুদ্ধ নয়! শুধু তাই নয়, এই নির্বাচনের পরও রেহাই নেই—পারফর্মেন্স ধরে রাখতে কঠোর অনুশাসনে বছরের পর বছর যে লড়াই—তাও কি সাধনার চেয়ে কম কিছু? রাজনীতির ভোটযুদ্ধে জিতলে তো পাঁচ বছর নিশ্চিন্ত—চাইলে নির্বিকল্প সমাধিতেও চলে যাওয়া যায়! কতজনই তো এমন সুনামে নামী হয়েছেন অতীত বর্তমানে। ভবিষ্যতেও হবেন। সেদিক থেকে কি প্রকৃত যুদ্ধক্ষেত্র বা খেলার মাঠেই লড়াইটাকে অপেক্ষাকৃত কঠিন লাগে না? কিন্তু, এত কঠিন লড়াইয়ের ক্ষেত্র থেকেও তো এমন কুবচন প্রতিপক্ষের প্রতি এমন কুবচন শোনা যায় না! গোটাটাই ব্যক্তিগত বা দলগত দক্ষতা যোগ্যতার ভিত্তিতে চলে, লড়াই দেয়।
তাহলে রাজনীতির যুদ্ধে কেন এত আকথা কুকথা, কেন এত হুমকি বিষোদ্গার! তাহলে কি এই লড়াইয়ের ময়দানে কি আজ দক্ষতা যোগ্যতায় টান পড়িয়াছে? সেই ফাঁক ভরাতে কাদা-পাঁক জঞ্জালের ব্যবহার বাড়ছে! জানি না, তবে মঙ্গলবার বসিরহাটের নির্বাচনী জনসভায় বিজেপি প্রার্থীর ধারালো মন্তব্যগুলো শোনার পর একাধিকের মুখে শোনা গেল—এখনও তো ক্ষমতায় আসেনি, তাতেই এই! বলছেন কী! নির্বাচনের দিন বুথ দখল করতে এলে তাদের পা নয় বুক লক্ষ্য করে গুলি করতে বলবেন সিআরপিকে! ...যাবে দৌড়ে আর ফিরবে খাটিয়াতে!... রাস্তা দিয়ে মহিলারা ডাব কাটার দা নিয়ে বের হবেন আর দু-চারটেকে একদম সাবাড় করে দিয়ে আসবেন। পুলিসকে থানার বাইরে বের করতে দেবেন না!... সারা নির্বাচন ক্ষেত্র জুড়ে বিএসএফ সিআরপি থাকবে... কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে বেচালদের চাল ঠান্ডা করে দেবে!—এর মধ্যে কোনটা পলিটিকাল কথা! সবই তো হুমকি! কেন? এসব দেখার জন্য নির্বাচন কমিশন আছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিস সরকার প্রশাসন আছে। একজন প্রার্থীকে এসব বলতে হবে কেন? বলবেনই বা কেন? তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল চড়াম চড়াম, গুড়বাতাসা, নকুলদানা বলেছেন বলে? সে তো কলকাতার এক গেরুয়া প্রার্থীও বলেছেন, মিহিদানা। কিন্তু, এমন সরাসরি গুলি করে মারার হুমকি তো তাতে নেই! ভোট ময়দানে উত্তেজনা ছড়াতে আরও কত কিছুই তো বলা যেত—এমন উলঙ্গ চোখরাঙানির দরকারটা কী ছিল?
জনতার এই জিজ্ঞাসা অস্বাভাবিক নয়। সাময়িক উত্তেজনার বশেই হোক কি অন্য কোনও কারণে— জেপি প্রার্থীর ওই মন্তব্যগুলিকে কিছুতেই সমীচীন বলা যাবে না। তৃণমূলের ক্ষুব্ধ মহাসচিব ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এভাবে রাজ্যের রাজনৈতিক সংস্কৃতিই বদল করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আধা সামরিক বাহিনীকে উস্কে দিয়ে নির্বাচন দখল করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওইসব মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর শাস্তির দাবি জানাতে যাবেন তাঁরা। সেটাই স্বাভাবিক। কারণ, এমন কুকথার জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব তো তাদের অত বড় সেলিব্রিটি সংসদ সদস্যকেও রেয়াত করেনি, তাঁরা অন্যের অনুরূপ কাণ্ড মানবেন কেন?
কিন্তু, সে না হয় হল! সিপিএমের প্রবীণ নেতাও কী বললেন—পশ্চিমবঙ্গ অতীতে কখনও এ ধরনের ভাষা শোনেনি! সে কী! তাহলে অনিল বসু, রেজ্জাক মোল্লা, বৃন্দা কারাত থেকে বিমান বসুর মতো বর্ষীয়ানরা বাম জমানার শেষলগ্নে যা সব বলেছিলেন সে সব কিছুই কি চিরতরে ‘ডিলিট’ হয়ে গেল!! আজকের মুখ্যমন্ত্রী সেদিনের বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চুলের মুঠি ধরে হিড়হিড় করে টানতে টানতে’ কোথায় যেন নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন এক সিপিএম নেতা, মমতার অমন অনন্য জননেত্রী ভাবমূর্তিকে উপেক্ষা করে তাঁর সম্পর্কে ‘ভাতার’ ইত্যাদি অতি নীচ নোংরা মন্তব্য কে যেন করেছিলেন—সব সব ‘ডিলিট’! ও হরি! জনমন বিস্মৃতিপ্রবণ ঠিকই—তবে কি সাহেব ওতে এখনও অ্যালঝাইমার্স ধরেনি! প্লিজ, খোঁড়াখুঁড়ি করতে সাবধান—কঙ্কাল সব না বেরিয়ে পড়ে! একটা দুটো তো নয়—অজস্র অনেক। সব না হলেও এখনও অনেক কিছুই মনে আছে রাজ্যবাসী মানুষজনের। সুতরাং সবিস্ময়ে পশ্চিমবঙ্গ এমন ভাষা আগে শোনেনি বলার আগে একটু ঘাড় ঘুরিয়ে দেখা আবশ্যক—বলছেন রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞরা।
বলছেন এই কারণেই যে, আজ বিজেপি’র প্রার্থী সায়ন্তন বসুর মুখ দিয়ে যা বেরিয়েছে তা নতুন নয়। বাম জমানায় সিপিএম নেতা-নেত্রীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করতে যে কদর্য কুকথার রাজনীতি আমদানি করেছিলেন অনুব্রত, সায়ন্তনের মুখে তারই অনুবর্তন চলছে। তবে, আশার কথা একটাই, সিপিএম জমানার চেয়ে এই রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক ও প্রবক্তার সংখ্যা পরবর্তীতে অনেকটাই কমে গেছে। কারণ, এই কুকথার রাজনীতি যে সাধারণ মানুষ পছন্দ করেন না এবং এসবের শেষ ফল শেষ পর্যন্ত যে বিশেষ ভালো হয় না সেটা সিপিএমের মহাপতনের পর মোটের ওপর বঙ্গের সব রাজনৈতিক শক্তিই বুঝে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা তো এমন কুকথার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তবু কুকথার মুখে পুরোপুরি আগল টানা যাচ্ছে না—আকার ইঙ্গিত ব্যঞ্জনা ছেড়ে একেবারে সরাসরি রাজনৈতিক ভোটযুদ্ধের ময়দানে ঢুকে পড়ছে প্রাণঘাতী হুমকি! বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতির পক্ষে এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
মনোবিদেরা কী বলবেন জানি না, তবে আমাদের মনে হয়—এইসব কুকথার মধ্যে কেবল প্রতিপক্ষকে আক্রমণের বাসনাই কাজ করে না, করে মৌখিক আস্ফালনে দুর্বলতা ঢাকার একটা প্রচ্ছন্ন প্রবণতাও। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মহাশক্তিমান ও প্রায় অজেয় হন তাহলে এই প্রবণতা চাগাড় দেয় বেশি। কিন্তু তাতে কি পাশে পাওয়া যায় মানুষকে! নাকি মানুষ সেই মাত্রাজ্ঞানহীন বহ্বাড়ম্বরকে অশনি সংকেত ভেবে আরও বেশি করে সরে যায় দায়বদ্ধ রাজনীতি এবং সর্বাত্মক উন্নয়নের দিকে? একটু ভাবুন।

 
ভোট চাই, ভোট
মোশারফ হোসেন

দেশজুড়ে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা ভোট একটি জাতীয় উৎসবই বলা চলে। কারণ, নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, হরেকরকম বৈচিত্র্যের মধ্যে অদ্ভুত ঐক্যের আসমুদ্র হিমাচল বিস্তৃত এই দেশে যে কোনও সামাজিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনওরকমের উৎসবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে।
বিশদ

26th  March, 2019
দক্ষ ম‌্যানেজারদের চাই, নিছক চৌকিদারদের নয় 
পি চিদম্বরম

পি চিদম্বরম: চৌকিদার হওয়াটা সম্মানের কাজ যেটা অনেক শতাব্দী ধরে চলে আসছে। চৌকিদার বা ওয়াচম‌্যানদের পাওয়া গিয়েছে সমস্ত গোষ্ঠী-সম্প্রদায় এবং পরিবেশ-পটভূমি থেকে। তাঁরা ছিলেন কিছু ব‌্যক্তি এবং তাঁদের কাজটি ছিল নিয়মমাফিক। আবাসন থেকে বাণিজ‌্য কেন্দ্র প্রভৃতি নানা স্থানে বেসরকারি উদ‌্যোগে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের একটি সংগঠিত ব‌্যবসার জন্ম দিয়েছে উদারীকরণ নীতি।  বিশদ

25th  March, 2019
 লোকসভা ২০১৯: প্রার্থী বাছতেই
হিমশিম, মমতাকে রুখবেন কীভাবে!
শুভা দত্ত

 দোল শেষ। তবে, রাজ্যজুড়ে রঙের উৎসবের আমেজ এখনও যথেষ্টই রয়েছে। পথেঘাটে মানুষের শরীরে মনে তার ছাপ এখনও স্পষ্ট। এবার দোলে গরম তেমন অসহনীয় ছিল না। বৃষ্টিও হয়নি। বরং, শুক্রবার হোলির বিকেলে কালবৈশাখী এসে যেটুকু ভ্যাপসা গরম জমে ছিল তাও ধুয়েমুছে নিয়ে গেছে।
বিশদ

24th  March, 2019
কংগ্রেস-সিপিএম জোট যেন
সান্ধ্য মেগা সিরিয়াল!
মৃণালকান্তি দাস

শত্রু চিহ্নিত হয়েছিল বছরখানেক আগেই। কেন্দ্রে বিজেপি, রাজ্যে তৃণমূল। সেই শত্রুকে বধ করতে কংগ্রেসের সঙ্গে হাতে হাত ধরে লড়াইয়ের ময়দানে থাকতে হবে, সেই বার্তাও দেওয়া হচ্ছিল বহুদিন ধরে। সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরি থেকে আব্দুল মান্নান—যাঁদের জোট চর্চার সঙ্গে শত্রু-বিরোধী গরম গরম ভাষণও শোনা গিয়েছিল অনেক। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগেই অশ্বডিম্ব প্রসব করে চূড়ান্ত হাস্যস্পদে পরিণত হয়েছে দুই দল।
বিশদ

24th  March, 2019
ধর্মের বেশে ভোটব্যাঙ্ক!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

দুপুর গড়িয়ে বিকেলের পথে। তারিখটা ২৭ মে, ১৯৬৪। দিল্লির রাজপথে কালো মাথার ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। আর ভিড়ের বেশিরভাগেরই গতিমুখ তিনমূর্তি ভবনের দিকে। সেখানে শায়িত জওহরলাল নেহরু। শেষযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির গ্র্যানভিল অস্টিনও। মার্কিন ছাত্র। থিসিস লিখছেন ভারতের সংবিধানের উপর। তাই আগ্রহটা বাকিদের থেকে একটু বেশিই।  
বিশদ

23rd  March, 2019
পরিবেশ নিরুদ্দেশ 
রঞ্জন সেন

খবরের কাগজে দেখলাম, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, সন্ত্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন মানব সভ্যতার সামনে বড় বিপদ। বাতাসে কার্বন নিঃসরণ বাড়ে এমন কোনও কাজ তিনি করেন না। কার্বন নিঃসরণের বিপদ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর এমন সতর্কতা খুব ভালো লাগল।  
বিশদ

23rd  March, 2019
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার
বামফ্রন্ট এবং তার প্রার্থীতালিকা
শুভময় মৈত্র

এ দেশে বামপন্থার ইতিহাস আজকের নয়। প্রায় একশো বছর আগে ১৯২৫ সালের বড়দিনের ঠিক পরের তারিখেই কানপুরে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (সিপিআই) প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে শোনা যায়। সিপিএমের আবার অন্য তত্ত্বও আছে। তাদের একাংশের মতে ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তাসখন্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির পথ চলা শুরু।
বিশদ

21st  March, 2019
গত বিধানসভার ফল রাজ্যে এবারের লোকসভার ভোটে কী ইঙ্গিত রাখছে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী
 

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ কয়েক মাস ধরে চলছে জনমত সমীক্ষার কাজ। ভারতের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে যেখানে ৯০ কোটি ভোটার রয়েছেন সেখানে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মনের খোঁজ পাওয়া সমীক্ষকদের পক্ষে কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে—বিশেষ করে ৯০ কোটি ভোটার যেখানে জাত, ধর্ম, অঞ্চলে বিভক্ত।  
বিশদ

19th  March, 2019
মোদিজির বালাকোট স্বপ্ন 

পি চিদম্বরম: গত ১০ মার্চ, রবিবার নির্বাচন কমিশন রণতূর্য বাজিয়ে দিল। সরকারকে শেষবারের মতো ‘ফেভার’ও করল তারা। নির্বাচন ঘোষণাটিকে সাধারণ মানুষ মুক্তির শ্বাসের মতো গ্রহণ করল: আর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘটা নেই, আর অর্ডিন‌্যান্স নেই এবং নেই কিছু নড়বড়ে সরকারি স্কিমের বেপরোয়া সূচনা।  বিশদ

18th  March, 2019
আধাসেনা নামিয়ে কি ভোটযুদ্ধে
মমতাকে ঘায়েল করা যাবে?

শুভা দত্ত 

রাজ্যে ভোটের হাওয়া গরম হচ্ছে। জেলায় জেলায় শাসক এবং বিরোধী—দুই শিবিরের প্রচারও একটু একটু করে গতি পাচ্ছে। মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রার্থীদের অনেকেই নেমে পড়েছেন জনসংযোগে। দেওয়াল লেখাও চলছে জোরকদমে। ভোটপ্রার্থীদের সমর্থনে পোস্টার ব্যানার দলীয় পতাকাও দেখা দিতে শুরু করেছে চারপাশে।  
বিশদ

17th  March, 2019
তীব্র জলসঙ্কট হয় মানুষের কারণে
খেসারত দিতে হবে মানুষকেই 
মৃন্ময় চন্দ

নদী বিক্রি? আজব কথা, তাও কি হয় সত্যি? ছত্তিশগড় তখনও নয় স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজ্য, কুলকুল করে বয়ে চলেছে ‘শেওনাথ’ নদী। ১৯৯৮ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকার ২৩ কিমি দীর্ঘ ‘শেওনাথ’ নদীটিকে ৩০ বছরের লিজে হস্তান্তর করল স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে।  বিশদ

16th  March, 2019
সংরক্ষণের রাজনীতি, রাজনীতির সংরক্ষণ 
রঞ্জন সেন

আগে ব্যাপারটা বেশ সহজ ছিল, সিপিএম, সিপিআই মানেই শ্রমিক-কৃষক- মধ্যবিত্তদের দল, কংগ্রেস উচ্চবিত্তদের দল, বিজেপি অবাঙালি ব্যবসায়ী শ্রেণীর দল। এই সরল শ্রেণীবিভাগ এখন অচল। বাম আমলে আমরা দেখেছি, টাটাদের মতো শিল্পপতিরাও বামেদের বেশ বন্ধু হয়ে গেছেন।   বিশদ

16th  March, 2019
একনজরে
কোপেনহেগেন, ২৭ মার্চ (এপি): সুইডেনে বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হলেন পাঁচজন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্টকহোম শহরের উত্তরপশ্চিম প্রান্তের একটি শিল্পতালুকে। সুইডেন পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। ...

বিএনএ, রায়গঞ্জ: গত পাঁচ বছরে জেলার উন্নয়নে কী কী কাজ করেছেন তার ফিরিস্তি নিয়ে দোরে দোরে ঘুরছেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বাম সংসদ সদস্য মহম্মদ সেলিম। এদিকে বিরোধীরা আওয়াজ তুলেছে, সংসদ সদস্য তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য কাজই করেননি। সৎসাহস থাকলে সেনিয়ে শ্বেতপত্র ...

 নয়াদিল্লি, ২৭ মার্চ (পিটিআই): পলাতক হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির প্রত্যর্পণ মামলায় সহযোগিতা করার জন্য বুধবারই লন্ডন উড়ে গেল সিবিআই-ইডির একটি যৌথ দল। এই দলে রয়েছেন দু’টি সংস্থারই যুগ্ম-অধিকর্তা পর্যায়ের অফিসার। শুক্রবারই লন্ডনের আদালতে নীরব মোদির প্রত্যর্পণ মামলার শুনানি রয়েছে।  ...

সংবাদদাতা, সিউড়ি: বুধবার সকালে সদাইপুর থানার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে কচুজোড়ের কাছে ষাঁড়মারা জঙ্গল এলাকায় দু’টি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন লরি চালকের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় একজন জখম হয়েছেন। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২৬: ক্রিকেটার পলি উমরিগড়ের জন্ম
১৯৫৪: অভিনেত্রী মুনমুন সেনের জন্ম
১৯৭৫: অভিনেতা অক্ষয় খান্নার জন্ম
১৯৪১: কলকাতা থেকে মহানিষ্ক্রমণের পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বার্লিন পৌঁছালেন 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.১৮ টাকা ৬৯.৮৭ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৩২ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
ইউরো ৭৬.১৯ টাকা ৭৯.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৬২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৪১৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ চৈত্র ১৪২৫, ২৮ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার, অষ্টমী ৪২/২২ রাত্রি ১০/৩৪। মূলা ১১/২২ দিবা ১০/১০। সূ উ ৫/৩৭/৩৩, অ ৫/৪৬/৩১, অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫২ গতে ৩/১৩ মধ্যে, বারবেলা ২/৪৪ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১১ মধ্যে।
১৩ চৈত্র ১৪২৫, ২৮ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার, অষ্টমী রাত্রি ১/২৭/৫৯। মূলানক্ষত্র ১/২৩/৩০, সূ উ ৫/৩৭/৪৬, অ ৫/৪৫/৪৬, অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫২/৫৮ থেকে ৩/১৫/২২ মধ্যে, বারবেলা ৪/১৪/৪৬ থেকে ৫/৪৫/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ২/৪৩/৪৬ থেকে ৪/১৪/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৪১/৪৬ থেকে ১/১০/৪৬ মধ্যে। 
২০ রজব
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। বৃষ: গুরুজনের স্বাস্থ্যোন্নতি। মিথুন: কর্মক্ষেত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

১৯২৬: ক্রিকেটার পলি উমরিগড়ের জন্ম১৯৫৪: অভিনেত্রী মুনমুন সেনের জন্ম১৯৭৫: অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

জয়ের জন্য কোহলিদের ১৮৮ রানের টার্গেট দিল মুম্বই

09:52:00 PM

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ৮২/১ (১০ ওভার) 

08:51:11 PM

বাবুল সুপ্রিয়কে তাঁর গানের কথা বদল করতে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের 

06:17:18 PM

বিতর্কের জেরে এ রাজ্য থেকে সরানো হল কেকেশর্মাকে
বিতর্কের জেরে এ রাজ্য থেকে সরানো হল কেকে শর্মাকে। পশ্চিমবঙ্গ ...বিশদ

06:14:00 PM