শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
কীরকম? বিবেক ওবেরয় যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিকে নামভূমিকায় অভিনয় করছেন সেকথা সকলেরই জানা। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এই ছবিতে ‘সুনো গর সে দুনিয়াওয়ালো’ গানটিকে ব্যবহার করা হয়েছে। পরিচালক মুকুল আনন্দের অসম্পূর্ণ ‘দশ’ ছবিতে ছিল এই গান। ছবি মুক্তি না পেলেও সলমন, সঞ্জয় দত্ত, রবিনা ট্যান্ডন, শিল্পা শেট্টিকে নিয়ে তৈরি গানের ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল এবং সেই গানের ভিডিও বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এখন সমস্যা দুটো। একদিকে গানের কপিরাইট টি-সিরিজের হাতে থাকায় কোনও আইনি জটিলতা হওয়ার কথা নয়। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদির নেক নজরে থাকার জন্যই সলমনও বিষয়টাকে ঘাঁটাবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বলিউডের অন্দরে জোর গুঞ্জন এটাই যে, মুখ না খুললেও মনে মনে বেশ বিরক্ত ভাইজান। তাঁকে নিয়ে শ্যুট করা গান বিনা অনুমতিতে বিবেকের ছবিতে ব্যবহার করাটাই নাকি রাগের কারণ।
‘পি এম নরেন্দ্র মোদি’ ছবি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন আগেই। এই গানটি ছাড়াও ছবিতে ‘১৯৪৭: আর্থ’ এর ‘ঈশ্বর আল্লা’ গানটি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই দুটো গানের জন্য গীতিকার জাভেদ আখতার ও সমীরকে ক্রেডিট দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই বেশ অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন জাভেদ ও সমীর। অন্যদিকে লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই ৫ এপ্রিল মোদির বায়োপিক মুক্তি পাওয়ার কথা। তাই কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ছবির মুক্তি পিছনোর জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। কংগ্রেসের মতে, ভোটের আগে এই ছবির মুক্তি পরোক্ষে ভোটারদের অনুপ্রাণিত করতে পারে। আর সলমন-বিবেক দ্বৈরথের সূত্র খুঁজতে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন গত দশকে। সময়টা ২০০৩-’০৪। সেই সময় সলমন ও বিবেকের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়তে থাকার অন্যতম কারণ ছিলেন ঐশ্বর্য রাই। ঐশ্বর্য ও বিবেক তখন চুটিয়ে প্রেম করছেন। আর ঐশ্বর্যর ভালোবাসা না পেয়ে ভাইজান তখন ‘দেবদাস’। দেড় দশক পর আজ আবার সলমন ও বিবেক পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান হবে নাকি আবার পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটা হবে তা জানতে উৎসুক সকলেই।
নিজস্ব প্রতিনিধি