শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
এদিকে, ‘মিশন শক্তি’ নিয়ে অত্যন্ত সতর্কভাবেই তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। চীনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত এক লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আশা করি সব দেশ মহাকাশেও শান্তি বজায় রাখতে আন্তরিক হবে। প্রসঙ্গত, এতদিন এই প্রযুক্তি ছিল আমেরিকা, রাশিয়া ও চীনের কাছে। ভারতে তৈরি অ্যান্টি স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারত মাত্র তিন মিনিটে মহাকাশে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে— জাতীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণার পরই দেশে ও বিদেশে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যাতে এর কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া না পড়ে, তাই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘এই পরীক্ষা কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয়। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতের শক্তি বৃদ্ধিতে কোনও দেশের আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। মহাকাশে আমরা যুদ্ধ চাই না। এই ধরনের মানসিকতাকে সমর্থনও করি না।’ ডিআরডিওর প্রাক্তন প্রধান বিজয় সারস্বত জানিয়েছেন, ২০১২-১৩ আর্থিক বর্ষেই ভারত মহাকাশে অ্যান্টি স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর ক্ষমতা অর্জন করেছিল। কিন্তু, রাজনৈতিকভাবে এই পরীক্ষা চালানোর জন্য অনুমতি মেলেনি। এতদিনে তা সম্ভব হল। ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ডি মাধবন নায়ারও একই সুরে বলেছেন, এক দশক আগেই এই প্রযুক্তি ভারতের আয়ত্বে এসেছিল। ২০০৭ সালে চীন একটি মেয়াদ ফুরানো আবহাওয়া বিষয়ক উপগ্রহকে অ্যান্টি স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করে। তখনই ভারত এই প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম হয়। কিন্তু, কাজ বেশি দূর এগোয়নি। পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে এই বিষয়ে গবেষণার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেছেন, ‘মোদির উৎসাহ ও সাহসী পদক্ষেপের জন্যই আজ এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বের মধ্যে মহাকাশের সুপার পাওয়ার হিসেবে ভারতের আত্মপ্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে।’ ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কে কস্তুরীরঙ্গন তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‘এ এক যুগান্তকারী সাফল্য! মহাকাশ গবেষণায় ভারতের মুকুটে এক নতুন পালক যুক্ত হওয়ার ভারতবাসী হিসেবে আমরা সবাই অত্যন্ত গর্বিত।’