শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের গোড়ায় অসমের নওগাঁও পুলিশ স্টেশনে এক মহিলা রাজেন গোহেনের বিরুদ্ধে তাঁকে এবং তাঁর ননদকে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ করেন। এফআইআরও দায়ের করা হয়। যার ভিত্তিতে নওগাঁও থানার পুলিশ তদন্তও শুরু করে। তাঁদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে রাজেন গোহেন এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার মোড় ঘুরে যায় এক মাস পেরনোর আগেই। অভিযোগকারিণী মহিলা লিখিতভাবে জানান, তিনি ‘ভুল করে’ এহেন অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি রাজেন গোহেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেও নেন। কিন্তু মামলাটি আদালতে বিচারাধীন ছিল। রাজেন গোহেনের ছেলেও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছিলেন, অভিযোগকারি গতকাল গুয়াহাটি হাইকোর্ট অভিযোগকারিণীর অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়ের প্রসঙ্গটি তুলে রেলের বিদায়ী রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজেন গোহেনকে ক্লিন চিট দিয়ে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছিল, অসমের নওগাঁও কেন্দ্রের চারবারের সংসদ সদস্য গোহেনের টিকিট প্রাপ্তি এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকের পর জেপি নাড্ডা জানিয়ে দিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট লোকসভা আসনে দলের প্রার্থী হচ্ছেন বিজেপির বিধায়ক রূপক শর্মা।
প্রসঙ্গত, মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার সময় রাজেন গোহেন নিজেই জানিয়েছিলেন, নির্দোষ প্রমাণিত না হলে তিনি ভোটে লড়তে চান না। কিন্তু আদালতে ক্লিনচিট মেলার পরেও তাঁকে কেন দলীয় প্রার্থী করল না বিজেপি? দলের অন্দরের খবর, আদালতে ক্লিনচিট পেলেও যে অভিযোগ রাজেন গোহেনের বিরুদ্ধে উঠেছে, তা অ্যন্ত গুরুতর। লোকসভা নির্বাচনে রেলের বিদায়ী রাষ্ট্রমন্ত্রীকে টিকিট দিলে এই ঘটনাকেই নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম ইস্যু করবে বিরোধীরা। যা বিজেপির পক্ষে স্বস্তিদায়ক হবে না। সবথেকে বড় কথা, রাজেন গোহেনকে টিকিট না দিলে বিরোধীদের কাছে একটি বার্তাও দেওয়া যাবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির।