শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
এদিন দুপুরে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী রুপালি বিশ্বাসের সমর্থনে হওয়া জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি সাধারণ মানুষ ও দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ বলেন, নরেন্দ্র মোদিকে কেউ বিশ্বাস করবেন না। তিনি এক নম্বর মিথ্যাবাদী মানুষ। যতগুলি প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন তার কোনওটিই পূরণ তিনি করতে পারেননি। এরপরই তিনি মিসাইল প্রসঙ্গ তোলেন। অন্যদিকে, অসমের প্রসঙ্গ তুলেও কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করতে ছাড়েননি অনুব্রত। তিনি বলেন, আমার জানা নেই মোদির দাদু অসম কিনে রেখেছেন কিনা। মোদির বাবা ও দাদু জমিদার ছিলেন কিনা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে এদিন অনুব্রত বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী পাঞ্জাবি, কোট কিনতেই ব্যস্ত। দেশের থেকে বিদেশেই তিনি বেশি সময় কাটান। তিনি বলেন, এবার আর নরেন্দ্র মোদির বেনারস থেকে জেতার ক্ষমতা নেই।
বাম জমানার চরম সন্ত্রাসের দিনগুলির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, যখন জাতীয় কংগ্রেস করতাম তখন সিপিএম কর্মীরা আমাদের লোকেদের বুড়ো আঙুল কেটে নিয়েছিল। প্রতি রাতে আমাদের দলীয় কর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগানো হতো। আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। রাজনীতির ময়দান থেকে পিছু হটতে কখনও শিখিনি। দলীয় কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধিতে এদিন অনুব্রতের মুখে শোনা যায়, আমরা মচকাবো তবু ভাঙব না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের একসঙ্গে লড়াই করতে ডাক দেন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা। বলেন, এ রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বের প্রথম স্থান অধিকার করেছে। সাত বছরে তৃণমূলের সরকার যা করে দেখিয়েছে, ৩৪ বছরের বাম সরকার তা করতে পারেনি।
এদিন বিরোধীদের পায়রার সঙ্গে তুলনা করে অনুব্রত বলেন, পায়রারা আসে দু’একটি দানা শস্য খায়, আবার চলে যায়। তারা কখনও বেশি সময় ধরে থাকতে পারে না। তাই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে একটি ভোটও নয়। নোটবন্দি, জিএসটি, বেকার সমস্যা সহ একাধিক ইস্যুকে তুলে ধরে কার্যত বিজেপিকে রাজনৈতিক ময়দানে এদিন কোণঠাসা করেন অনুব্রত মণ্ডল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থীর গুলি করে মারার নিদান প্রসঙ্গে বলেন, ও একটা পাগল। ওর মাথাটা গরম হয়ে যাওয়ায় চুল নেই। তাই কী বলবে ঠিক করতে পারছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী কার বুকে গুলি মারবে, সেটা নিজেরা বুঝুক।
এদিনের জনসভায় ছিলেন নদীয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর, নদীয়া জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ড, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সংসদ সদস্য তাপস মণ্ডল, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রুপালি বিশ্বাস, রানাঘাট উত্তর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সমীরকুমার পোদ্দার সহ স্থানীয় নেতা নেতৃত্বরা।