শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
কাশ্মীর ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান কী? তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ইস্তাহারে আমরা আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। তবে আমরা চিরকালই কেন্দ্রীয় সরকারের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা নীতির সমর্থক। কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে নিজের উপলব্ধির কথাও এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে ভাগ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, হবে না বলে কোনও কিছু নেই। জঙ্গলমহল আর পাহাড় একসময়ে অশান্ত ছিল। এখন কিন্তু সেখানে শান্তির বাতাবরণ। আমার মতে, কাশ্মীরের মানুষের আবেগকে মর্যাদা দিয়ে সঙ্গে নিতে হবে। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা না বললে, আপনারা কেউ জানতে পারতেন না। কান্দাহার কাণ্ডের সময় আমি প্রথম বলেছিলাম, আমায় পাঠানো হোক। আমি যেতে চেয়েছিলাম। এবার কাশ্মীর প্রসঙ্গে বলছি, কেউ না পারলে, আমি গিয়ে থাকব, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলব। ইতিবাচক মনোভাব রাখি, নেতিবাচক নয়।
এদিন এক প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল সুপ্রিমো দাবি করেন, তাঁর মোবাইলে আড়ি পাতা হচ্ছে। বলেন, আমার মোবাইল ট্যাপ করা হয়েছে। প্রমাণ রয়েছে আমার কাছে। প্রতিটি এসএমএস আর ফোন কলে নজর রাখা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলতে পারছি না। মমতার কথায়, এটা গণতন্ত্র! জাতীয় স্তরের বহু নেতার ফোনেও আড়িপাতা চলছে। একটা ভয়ের পরিবেশ, আতঙ্ক। লোকসভা নির্বাচনে দলের টিকিট থেকে ব্রাত্য থাকা বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানিকে এদিন টেলিফোন করে কুশল বিনিময় করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা নিজেই তা জানিয়েছেন। বলেন, আদবানিজিকে ফোন করেছিলাম। প্রবীণ রাজনীতিবিদ, ওঁনার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক। কী কথা হল আদবানিজির সঙ্গে? মমতার জবাব, উনি বললেন, আপনি ফোন করেছেন, ভালো লাগল। আদবানিজি টিকিট না পাওয়ায় তিনি যে ব্যক্তিগতভাবে ব্যথিত, মঙ্গলবারই তা নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন বলেন, প্রবীণ এই সব রাজনীতিবিদ দেশের সম্পদ। মুরলী মনোহর যোশিজি, মনমোহন সিংজি, দেবগৌড়াজি, শারদ পাওয়ারজি—এঁরা সব দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। তবে সবার চেয়ে সিনিয়র আদবানিজি। তাঁকে টিকিট দেওয়া না দেওয়াটা অবশ্য বিজেপি’র সিদ্ধান্ত।