শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ দুই প্রার্থীই। এদিন সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজকমলদা আমার নিজের দাদার মতো, ওনাকে নিয়েই আমরা সবাই মিলে কাজ করব। একইভাবে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গেও আলোচনা করব। আমরা আশা করছি সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের জবাব দিতে পারব। অন্যদিকে, দেবজিৎবাবু বলেন, সবারই আশা-আকাঙক্ষা থাকে। আর তা না মিটলে রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে আলোচনার মাধ্যমেই সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নামব।
বিজেপি সূত্রে খবর, জেলার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য রাজকমল পাঠকের পাশাপাশি রাজ্য নেতা স্বপন পাল, রাজকুমারী কেশরী সহ আরও কয়েকজন নেতা দৌড়ে ছিলেন। নেতৃত্বের একাংশ স্থানীয়দের প্রার্থী করার দাবি জানিয়েছিল। রাজ্য নেতৃত্ব তাঁদের আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু, তারপর আচমকা প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় হুগলি আসনে প্রার্থী হিসাবে দল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ জেলার প্রার্থীপদের দাবিদাররা। তাই এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন হংসেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেওয়া বা পার্টি অফিস থেকে প্রথম প্রচারের সময়ে ওই সমস্ত নেতৃত্ব বা তাঁদের অনুগামীরা গরহাজির ছিলেন।
অন্যদিকে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর দৌড়ে ভাস্কর ভট্টাচার্য, কৃষ্ণা ভট্টাচার্য, রামকৃষ্ণ পাল সহ বেশ কয়েক জন নেতা ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই দল ওই আসনে রাজ্য যুব মোর্চার নেতা দেবজিৎ সরকারকে প্রার্থী করে। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন ওই সমস্ত নেতা সহ তাঁদের অনুগামীরা। তাই প্রার্থী জেলা কার্যালয়ে এলেও তাঁরা হাজির হননি। যদিও বিষয়টি এখনই প্রকাশ্যে জেলার নেতারা কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য নেতা বলেন, সারা বছর ধরে আমরা পরিশ্রম করে দলের ভিত তৈরি করব। আর দলের নির্দেশে বাইরে থেকে কেউ উড়ে এসে আমাদের সাজানো বাগান থেকে ফসল তুলে নিয়ে যাবে বারবার এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি দলকে জানিয়েছি তাঁরা প্রত্যুত্তরে কী জানান তা দেখার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।