শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
অন্যদিকে, বিভিন্ন দল থেকে নেতা-নেত্রী ভাঙিয়ে আনার খেলায় বিজেপি এই মুহূর্তে ব্যস্ত। স্থানীয় স্তরে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাই গেরুয়া শিবিরের আঞ্চলিক নেতৃত্ব রীতিমতো সতর্ক হয়ে ভাষণ দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্য কমিটির এক নেতা বলেন, অলিখিতভাবে জেলাগুলিকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। বিজেপিতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বিরোধী দলের এমন নেতা-নেত্রী সম্পর্কে মেপে কথা বলতে হবে। অতীতে এই ইস্যুতে রীতিমতো বেকায়দায় পড়তে হয়েছে বলে আগাম সতর্কতা হিসেবেই এই ব্যবস্থা। উদাহরণ দিতে গিয়ে ওই নেতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং একসময়ে ‘ভাগ মুকুল ভাগ’ স্লোগান তুলেছিলেন। যিনি এই মুহূর্তে বিজেপির অন্যতম মুখ। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক মিটিংয়ে অর্জুন সিংয়ের গুন্ডাগিরি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। যিনি এই মুহূর্তে জোড়াফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন। স্বভাবতই আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এমন কোনও মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে, যা আগামীদিনে বিরোধীর হাতে অস্ত্র তুলে দেবে।
যদিও রাজ্য কমিটির আরেক সদস্য ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নতুন করে পায়ের মাটি শক্ত করতে চাইছে। তাই অন্য দল থেকে একাধিক নেতা-নেত্রী আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। এটা একটা ভাঙা-গড়ার প্রক্রিয়া। অসম, ত্রিপুরাতেও একই কায়দায় বিজেপি নিজের সংগঠন বিস্তারে সফল হয়েছে। মূল কথা হল সাফল্য। আমরা আশাবাদী, এই মুহূর্তে গোটা দেশে বিজেপির পক্ষে যে হাওয়া বইছে, তা থেকে বাংলায় লোকসভা ভোটে আশাতীত সাফল্য মিলবে। তিনি বলেন, রাজ্য পার্টির তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, দলের সাংগঠনিক পাঁচটি জোনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, আদিত্যনাথ যোগীকে ভোটের প্রচারে নিয়ে আসার জন্য। ন্যূনতম ১৫টি বড় মিটিং করার আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও অমিত শাহের দপ্তর এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি।