শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
১০ মার্চ লোকসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরদিন থেকেই আয়কর দপ্তর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয়। পুলিসের তৈরি ফ্লাইং স্কোয়াডও অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আয়কর দপ্তর, পুলিস মিলে বাজেয়াপ্ত করেছে ৫ কোটি ১৯ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। পুলিস শুক্রবার কলকাতা থেকে উদ্ধার করেছে ৭০ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতা থেকে ওয়াসিম খান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৮৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিস। এছাড়াও কলকাতা থেকে বিভিন্ন সময়ে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১১ লক্ষ, ১৩ লক্ষ, ৩০ লক্ষ টাকা। মোট দু’কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে কলকাতা থেকে। এছাড়াও আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাট থেকে ভালো অঙ্কের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এই সব বাজেয়াপ্ত টাকা হল কালো টাকা। টাকার উৎস খুঁজছে এখন আয়কর দপ্তর। তারা যত টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে, তা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিচ্ছে। একজন প্রার্থী ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারেন। গত লোকসভা ভোটে অনেক প্রার্থী তত টাকা খরচ করতে পারেননি। রাজনৈতিক দলের টাকা খরচের ক্ষেত্রে কোনও সীমা নেই। গত লোকসভা নির্বাচনে গড় হিসেব করে কমিশন দেখেছে, ভোটারের মাথাপিছু খরচ হয়েছিল ছ’টাকা। এবার তা বাড়ে কি না, সেদিকে নজর রাখছে কমিশন। এবার টাকা খরচের ক্ষেত্রে খুবই কড়াকড়ি। নির্বাচন কমিশন জেনারেল অবজারভার বা পুলিস অবজারভার রাজ্যে এখনও না পাঠালেও খরচের উপর নজরদারি করতে পাঠিয়ে দিয়েছে এক্সপেন্ডিচার অবজারভার। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে দু’জন এক্সপেন্ডিচার অবজারভার পাঠানো হয়েছে।
এবার প্রার্থীদের হলফনামায় সম্পত্তির হিসেব দেওয়ার ক্ষেত্রে ফরম্যাটও পরিবর্তন করা হয়েছে। ‘ফর্ম ২৬’ জমা দিতে হচ্ছে প্রার্থীদের। সেখানে রাজ্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, সম্পত্তির পরিমাণ যেমন দিতে হবে, তেমনি দিতে হবে বিদেশের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব। যা আগে দিতে হতো না। প্রার্থীর উল্লেখিত সম্পত্তির সঙ্গে লোকসভা কেন্দ্রের খরচের আনুপাতিক হিসেবের দিকে বিশেষ নজর দেবে কমিশন। এবারের ভোটে জাতীয় স্তরের কয়েকটি রাজনৈতিক পার্টি দল ভাঙানোর খেলায় বহু টাকা খরচ করছে বলে আগে থেকে রাজ্যের শাসকদল অভিযোগ করেছে। আবার বিরোধী দলও শাসকদলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছে।
কালো টাকার মতো বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারেও অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ পর্যন্ত ৯৮টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে ২৯৫টি। বোমা উদ্ধার হয়েছে ৬১টি। মদ উদ্ধার হয়েছে ২০৮৭ লিটার, দেশি মদ ৩৫৬ লিটার। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্ট এবং কালো টাকা উদ্ধারের হিসেব দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।