শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
যদিও তাতে কাজের কাজ আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন জাগছে। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের প্রার্থী হিসেবে নিশীথ প্রামাণিকের নাম ঘোষণা হতেই বিজেপির জেলা কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে। পার্টি অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি জেলা সভাপতির গাড়িতেও চড়াও হয় দলের একদল কর্মী। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে রাতেই জেলা সভাপতি মালতী রাভার পৌরোহিত্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দীপক বর্মণকে প্রার্থী করার বিষয়ে প্রস্তাব নেওয়া হয় হলে দলীয় সূত্রের দাবি। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের প্রার্থী জন বারলাকে নিয়েও জেলায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে, গতবারের জেতা আসন দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় পাহাড় ও সমতল জুড়ে চাপা অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং জিএনএলএফ প্রকাশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটদানের আবেদন জানিয়ে গেরুয়া শিবিরকে অক্সিজেন জোগালেও, তার ফায়দা তুলতে ব্যর্থ গেরুয়া শিবির।
অন্যদিকে, শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রার্থী চয়ন সংক্রান্ত ক্ষোভের আঁচ প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। কলকাতায় বিজেপির রাজ্য অফিসে বিভিন্ন জেলার নিচুতলার কর্মীরা চলে আসেন। শীর্ষ নেতৃত্ব না থাকলেও হাতের সামনে তাঁরা যে নেতাদের পেয়েছেন, তাঁদের কাছেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দলের এক রাজ্য সম্পাদক স্বীকার করেছেন, কলকাতার আশপাশ এবং রাঢ়বঙ্গের একাধিক প্রার্থীর নাম নিয়ে আপত্তি রয়েছে। যদিও যতটা সম্ভব তাঁদের বুঝিয়ে সাংবাদমাধ্যমের নাগাল থেকে দূরে রাখার মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছেন কয়েকজন নেতা। বসিরহাটের প্রার্থী সায়ন্তন বসুকে চাইছেন না সেখানকার দলীয় কর্মীরা। এনিয়ে সেখানে পোস্টারও পড়েছে। আবার কাঁথি আসনে পদ্ম শিবিরের প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্করকে বদলে অন্য প্রার্থী দেওয়ার দাবি তুলেছে দলের একাংশ। অাবার যাঁরা টিকিট পেয়েছেন তাঁদের অনেকেই আসন নিয়ে অখুশি। গত দু’বছর ধরে সংশ্লিষ্ট নেতারা যে সব জেলায় পড়ে থেকেছেন, তাঁদের অনেককেই অন্য জেলায় প্রার্থী করা হয়েছে।