শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
গত কয়েক দিন ধরেই বড়বাজারের রংয়ের দোকানগুলিতে একটু একটু করে ভিড় বাড়ছিল। সাধারণ ক্রেতাদের পাশাপাশি ভিড় জমিয়েছিলেন বিভিন্ন জেলার দোকানদাররাও। এদিন সেই ভিড় এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে গিয়েও বার বার থমকে দাঁড়াতে হয়েছে। শুধু রাস্তা নয়, সকাল থেকেই সার দেওয়া দোকানগুলিকে ঘিরে ছিল জমাট ভিড়। বহু ক্রেতাই এসেছিলেন তাঁর বাচ্চাটিকে সঙ্গে নিয়ে। বিক্রেতাদের বক্তব্য, বাচ্চাদের এবারের পছন্দের তালিকায় সুপারহিট ব্যাগ-পিচকারি। বাচ্চারা যেমন পিঠে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যায়, ব্যাগ-পিচকারিও ঠিক তেমনই। এতে ব্যাগে থাকবে রং। সেই রং নলের মাধ্যমে আসবে হাতে থাকা পিচকারিতে। ব্যাগ পিচকারির সঙ্গে এদিনের বাজার জমিয়ে দিয়েছিল ম্যাজিক বেলুন। যা অনেকটা ফুলদানির মতো। একসঙ্গে এক গুচ্ছ বেলুন। সেগুলিতে কোনও হ্যাপা ছাড়াই একসঙ্গে রং ভরা যায়, জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এদিনের বাজারে অনেককেই কার্যত হামলে পড়তে দেখা গিয়েছে রং-বেরঙের বাহারি টুপি, মুখোশ, চুলের দোকানগুলিতে। দোকানদারদের বক্তব্য, রংয়ের বাজারে একটু পুরনো হলেও আজও সমান জনপ্রিয় মাইকেল জ্যাকশন টুপি। কথা হচ্ছিল বাহারি চুলের একটি দোকানের কর্মীদের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, রং থেকে মাথা বাঁচাতে টুপির পাশাপাশি অনেকেই কিনছেন বাহারি চুল। তার কোনওটার রং সোনালি, কোনওটা সাদা, কোনওটা আবার কালো। হাল ফ্যাশানের হাল্কা ‘হাইলাইট’ করা চুলও রয়েছে। শুধু চুলের পরিবর্তে অনেকেই আবার কিনেছেন টুপির সঙ্গে যুক্ত করা চুলের ‘কম্বোপ্যাক’। টুপি-চুল-মুখোশের দাম ঘোরাফেরা করেছে মোটের উপরে ৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।
বড়বাজারের একটি দোকানে কোন রঙের আবির বেশি বিক্রি হচ্ছে জিজ্ঞেস করাতে এক বিক্রেতা বলেন, ভোট-বাজারে রঙের আলাদা অর্থ থাকতে পারে। রং-বাজারে তা নেই। সব ধরনের আবিরই সমানে বিকোচ্ছে। এখানে কোনও বাদ-বিচার নেই। পাশের একটি দোকানে কথা হচ্ছিল কয়েকজন তরুণ ক্রেতার সঙ্গে। কী রঙের আবির কিনলেন, প্রশ্ন করতেই লাল-সবুজ-গেরুয়া— তিন রঙের আবিরই মেলে ধরলেন। বললেন, দোলে আমরা-ওরা নেই। আজ, সব রং মিলে রামধনু তৈরির দিন! এটাই তো দোল উৎসবের তাৎপর্য।