শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত কয়েকটি নির্বাচনের মতো এবারও বিরোধীদের সব থেকে বেশি অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধেই। তাঁর নানা মন্তব্য নিয়ে তদন্ত করছে নির্বাচন কমিশন। কখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে, কখনও বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবারই ভোটের আগে তিনি গুড়-বাতাসা খাওয়ানো, পাচন দেওয়া, চড়াম চড়াম ঢাক বাজানোর মতো মন্তব্য করেন। এবার তিনি নকুলদানা খাওয়ানোর নিদান দিয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটের সময় তাঁর উপর বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এবারও তাঁর উপর কমিশনের কড়া নজরদারি রয়েছে।
একইভাবে, তৃণমূলকে যত বেশি ভোট দেবেন, তত বেশি ইনাম- এই ধরনের মন্তব্যের জেরে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারিকেও শো-কজ করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক তাঁকে শো-কজের নোটিস পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মন্তব্য করায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহার কাছে ওই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
এদিন বিজেপি’র পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধিদল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের চার নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। ওই চার নেতা হলেন ফিরহাদ হাকিম, অনুব্রত মণ্ডল, জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এই চার নেতাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে বিজেপি’র পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। বিজেপি’র প্রতিনিধিদলে ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। এদিকে, বিজেপি’র এই পদক্ষেপের জবাবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা- বিজেপি নেতাদের এই অবস্থাই হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনও প্রার্থী ঘোষণা করতে পারল না, অথচ অভিযোগ করে যাচ্ছে। ময়দানে লড়াই না করে বিপক্ষের সৈনিককে সরিয়ে দেওয়ার আবদার করছে। অবাস্তব সব দাবি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের অগাধ আস্থা ও শ্রদ্ধা আছে। আশা করি, কমিশন কখনও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করবে না।