শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাজু দেবনাথ। বাড়ি বারাসতের দত্তপুকুর হাটখোলার কালীবাড়ি এলাকায়। রবিবার রাতে তাকে বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করে বেলঘরিয়া থানার পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, বছর দু’য়েক আগে সে নিজেকে সাব-ইনসপেক্টর পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করায় তাহেরপুর থেকে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিল। কিন্তু, ছাড়া পাওয়ার পরেও বন্ধ হয়নি ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারণার কারবার। সোমবার তাকে বারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাকে সাতদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগের শীর্ষে এখন বরানগর। এই থানার দক্ষিণেশ্বর এলাকা থেকে রাজর্ষি ভট্টাচার্য নামে এক ভুয়ো আইপিএসকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। গ্রেপ্তার হয়েছিল কৃষাণু মণ্ডল নামে এক ভুয়ো সিবিআই অফিসারও। এই অঞ্চলেই ধরা পড়েছে অনিরুদ্ধ দত্ত নামে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক ভুয়ো ইনসপেক্টর। সিঁথি থেকে সিবিআইয়ের এক ভুয়ো কৌঁসুলিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিস। সবকটি ঘটনাই ঘটেছে সাম্প্রতিককালে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর বাড়ি বেলঘরিয়ায়। তিনি বি-কম পাশ। বছরখানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজুই তরুণীকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। পুলিস কর্তার তরফে ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ আসায় ‘অ্যাপসেপ্ট’ করে নেন তরুণী। তারপর আলাপ শুরু। বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা। রাজু তাঁকে জানায়, সে বিয়ে করবে। তরুণীও রাজি হন। তারপর বিভিন্ন অছিলায় রাজু কয়েক দফায় তাঁর থেকে মোট তিন লক্ষ টাকা নেয়। শুধু টাকা নয়, কিছু গয়নাও নিয়েছে বলে অভিযোগ। কয়েকদিন আগে সে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তখন তরুণী সাফ জানিয়ে দেন, তিনি আর টাকা দিতে পারবেন না। তখন রাজু আইপিএসের ক্ষমতা দেখিয়ে তরুণীকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। এরপরই ওই তরুণীর সন্দেহ হয়। রবিবার বেলঘরিয়া থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ‘আইপিএস’ নাম শুনেই থানার অফিসাররা প্রথমে হকচকিয়ে যান। পরে তদন্ত চালাতে গিয়ে জানা যায়, ওই আইপিএস আসলে ভুয়ো, প্রতারক!
বারাকপুরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার (সাউথ) অজয় প্রসাদ বলেন, তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে নিজেকে আইপিএস অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিল। তিন লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ পেয়েছি।