গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এনবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে নিগমের হাতে ১৪টি এসি বাসের মধ্যে মাত্র তিনটি এসি বাস চলছে। যেগুলি শিলিগুড়ি-কলকাতা রুটে চালানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাতে বর্তমানে এই এসি বাসের পরিষেবা চালু নেই। অথচ একসময় কোচবিহার-শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার-শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ-বালুরঘাট সহ একাধিক রুটে এই এসি বাস পরিষেবা চালু ছিল। যা দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ হয়ে রয়েছে। নিগম চাইছে, খারাপ হয়ে থাকা এসি বাসগুলি মেরামত হয়ে এলে ও আগামী দিনে আরও কিছু এসি বাস তাদের হাতে এলে ফের বেশকিছু রুটে এসি বাস পরিষেবা চালু করবে।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, আমাদের কাছে ১৪টি এসি বাস ছিল। তারমধ্যে তিনটি এসি বাস শিলিগুড়ি-কলকাতা রুটে চালানো হচ্ছে। কয়েকটি বাস এসি ছাড়াই চালানো হচ্ছে। বাকিগুলি গ্যারাজে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে এখনও আমাদের হাতে আসেনি। এসি’র রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা রয়েছে। এসি বাস সারানোর জন্য ভালো মেকানিক আমাদের এখানে নেই। কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু তারাও ঢিলেঢালা কাজ করছে। কবে বাসগুলি দেবে তাও বোঝা যাচ্ছে না। মূলত মেকানিকের সমস্যার কারণেই এসি বাস চালাতে পারছি না। তবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি যাতে এসি বাস চালানো সম্ভব হয়। ১২টি বাস আমরা পেতে পারি। তারমধ্যে ন’টি এসি বাস। কিন্তু এই বাসগুলি এখনও আমাদের হাতে এসে পৌঁছয়নি।
উত্তরবঙ্গের লাইফ লাইন বলে পরিচিত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাসের সংখ্যা, কর্মী সংখ্যা কম বলে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যা রয়েছে। ড্রাইভার, খালাসি, কন্ডাক্টর সহ একাধিক পদে কর্মী না থাকায় চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। এদিকে, উত্তরবঙ্গে এসি বাস সারানোর মতো ভালো মেকানিক নেই বলে নিগম সঠিকভাবে তাদের এসি বাসগুলি মেরামত করতে পারছে না। ফলে কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে সেখান থেকে সেগুলিকে সারাই করে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকেও বাসগুলি সারাই হয়ে আসতে দেরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অসহ্য গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করলেও নিগমের এসি বাসে আর কার্যত ওঠা হচ্ছে না যাত্রীদের।