Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! সুরাতের মতো অত্যন্ত নিরাপদ আসনেও ১৬.৫৬ লক্ষ ভোটারকে ভোটদানের সুযোগ দেওয়া হল না। পথের সমস্ত কাঁটা সরানো হল ভোটগ্রহণের অনেক আগেই। কংগ্রেস-সহ সব বিরোধী দলের প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন। এ কি কোনও স্বাভাবিক ঘটনা? অথচ, ভারতের সাধারণ নির্বাচনে ব্যয়ের বহর দেখে ধনী দেশগুলিও চমকে যায়। সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজের হিসেব, স্বাধীন ভারত ১৯৫১-৫২ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে খরচ করেছিল সাড়ে ১০ কোটি টাকা। অঙ্কটা বাড়তে বাড়তে ২০১৯-এ ছুঁয়েছিল ৫০ হাজার কোটি টাকা। ভোটের ব্যয়বৃদ্ধির প্রবণতাই বলে দিচ্ছে, এবার গতবারের দ্বিগুণ বা ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করতে চলেছি আমরা! উল্লেখ্য, এবার সেন্ট্রাল ফোর্স নেমেছে প্রায় ৩.৪০ লক্ষ! জনগণের এত টাকার আদ্যশ্রাদ্ধ করার পরেও সুরাতের মতো একটি আসনের বিরোধী প্রার্থীদের আশ্বস্ত করা গেল না কেন? কেন তবে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে এত বজ্রআঁটুনি, দিকে দিকে আধাসেনার বুটের দাপাদাপি দু’মাস ধরে? এই বহ্বারম্ভ কি দিনের শেষে লঘুক্রিয়া প্রসবের নিমিত্ত? 
দেশজুড়ে মোট সাতদফায় সাধারণ নির্বাচন চলছে। প্রথম দু’দফায় অন্তত প্রার্থীদের নিয়ে কোনও ঝঞ্ঝাট হয়নি। তৃতীয় দফার ভোট হল গতকাল, ৭ মে। ওইদিন ৯৪টি আসনের জন্য কয়েক কোটি মানুষের ভোটের লাইনে দাঁড়াবার কথা ছিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল মোদি-শাহের ২৬ আসনের গুজরাত। গত নির্বাচনে সেখানকার সবক’টি আসনই দখল করেন মোদিরা। তার মধ্যে সুরাতে বিজেপির পক্ষে প্রদত্ত ভোট (৭.৯৬ লক্ষ) এবং জয়ের মার্জিন (৫.৪৮ লক্ষ) ছিল চমকপ্রদ। সুরাত আসনটি বহুকাল যাবৎ কংগ্রেসের হাতছাড়া। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই লোকসভায় সুরাতের প্রতিনিধিত্ব করেন পাঁচবার। প্রেস্টিজিয়াস আসনটি বিজেপির দখলে ১৯৮৯ থেকে। সব মিলিয়ে গুজরাতের ভিতরে অন্তত সুরাত আসনটি বিজেপির জন্য শুধু ‘নিরাপদ’ নয়, ‘দুর্ভেদ্য দুর্গ’। তা সত্ত্বেও সুরাতের মানুষকে এবার ভোটের লাইনে দাঁড়াতেই দেওয়া হল না। ভোটগ্রহণের অনেক আগেই আসনটি চলে গেল বিজেপির ঝুলিতে! স্কুটিনিতে বাতিল হয় কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন। ‘হাত’-এর ‘ডামি’ প্রার্থীর লড়াইয়ের সুযোগও খারিজ করে দেন রিটার্নিং অফিসার। বিজেপির বিরুদ্ধে বাকি ছিলেন বিএসপি এবং নির্দল-সহ আটজন। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে, মনোনয়ন ‘প্রত্যাহার’ করে নেন তাঁরাও! অমনি বিজেপির মুকেশ দালালকেই ‘বিজয়ী’ ঘোষণা করা হয়। তাঁকে দ্রুত অভিনন্দন জানান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি। এমনকী, ‘প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম পদ্মটি সুরাতই তুলে দিল’ জানিয়ে আহ্লাদ প্রকাশ করেন দলের রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব। সুরাতের ভোট-পরম্পরা বলে যে, অন্তত সুরাত নিয়ে গেরুয়া শিবিরের কোনও দুশ্চিন্তা ছিল না। তবুও যে কায়দায় মুকেশ দালালের ‘জয়’ নিশ্চিত করা হল তা এক বেনজির দৃষ্টান্ত। 
কিন্তু, ‘পার্টি উইথ আ ডিফারেন্স’কে এভাবে জিততে হল কেন? তাতে মোদির সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতো একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠানেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হল না কি? কোনও কোনও রাজ্যে পঞ্চায়েত/পুরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিছু আসন জয়ের দৃষ্টান্ত নিশ্চয় আছে। সেক্ষেত্রে আসন-প্রতি ভোটার সংখ্যা মাত্র কয়েক হাজার।  তাই বলে লোকসভা আসনেও খাপ পঞ্চায়েতি কারবার, যেখানে ভোটার সংখ্যা গড়পড়তায় ১৫-২০ লক্ষ [ভোটার সংখ্যা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার (লাক্ষাদ্বীপ) এবং সর্বাধিক সাড়ে ৩১ লক্ষ (অন্ধ্রপ্রদেশের মালকাজগিরি)]! 
গণতন্ত্রকে কলা দেখানোর কারবারে অবশ্য এখানেই দাঁড়ি পড়েনি। সুরাতের রেশ মিটতে না মিটতেই সংবাদ শিরোনাম দখল করেছে ইন্দোর। সেখানে ভোট চতুর্থ দফায়। তার আগেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাল বিজেপি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয়কান্তি বামকে ছিনিয়ে নিল তারা। এমনকী, অন্য একাধিক বিরোধী প্রার্থীরও মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সেদিন কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে 
গাড়িতে বসে, নিজের ছবি এক্স-এ পোস্ট করে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় লেখেন, ‘ইন্দোরের কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয় বাম বিজেপিতে স্বাগত!’ জেলাশাসক জানান, কংগ্রেসসহ তিন বিরোধী প্রার্থী ‘নিয়ম মেনেই’ তাঁদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেছেন। উল্লেখ্য, এক বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে গিয়ে মনোনয়ন তুলে নেন অক্ষয়। অথচ, স্কুটিনির দিন তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে অক্ষয়েরই মনোনয়ন খারিজের দাবি তুলেছিল এই বিজেপি। কিন্তু সেই কৌশল ফেল করায় অবশেষে অন্য ছকে খেলে বিজেপি প্রার্থীর যাত্রাপথ সম্পূর্ণ নিষ্কণ্টক করেছে গেরুয়া বাহিনী। প্রতিদ্বন্দ্বিতা দূর, সরাসরি পদ্ম-এ ছাপেরই গ্যারান্টি নেওয়া হল 
হাত-এর প্রার্থীর কাছ থেকে। অর্থাৎ আমদানি 
হল ‘অপারেশন লোটাস’-এর নিউ এডিশন! এতদিন জারি ছিল জনপ্রতিনিধিদের অনৈতিক দলত্যাগের ব্যবসা। এবার বিরোধী দলের প্রতীকে জয়ের স্বাদ গ্রহণের আগেই ‘বধ’ করা হচ্ছে 
কাউকে কাউকে। ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ নির্বাচন কমিশন এর দায় নেবে না কেন? 
লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজনও এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশসহ মন্তব্য করেন, ‘এটা অনৈতিক, হওয়া উচিত ছিল না। ইন্দোরে বিজেপিকে কেউ হারাতে পারবে না, এমন কথা দেওয়ালে লেখা হয়ে যাওয়ার পর এই কাণ্ড ঘটাবার কোনও প্রয়োজন ছিল না।’ উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী থেকে মহাজন জিতেছেন টানা আটবার। আর সেখানেই ৮ লক্ষ মার্জিনে ইন্দোর-জয়ের হুঙ্কার দিয়ে এ কী কাণ্ড ঘটাল বিজেপি! এতে ছিছিক্কার পড়ে গিয়েছে—ঘরে বাইরে সর্বত্র। 
 প্রমাণিত সত্য এই যে, ভোটে জিততে ভোটারদের মন জয় করতে হয়। আমাদের মতো বিপুল জনসংখ্যার এবং গরিব দেশের মানুষের মন জেতার রাস্তা খুব সোজা। তাদের চাহিদা দুটি—পেট ভরা খাবার এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই। তার জন্য জরুরি হল সব পরিবারে অন্তত একজন রোজগেরে মানুষ। অতএব, পরিবার পিছু কমপক্ষে একজনের কাজ চাই। নরেন্দ্র মোদি সেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন। ২০১৪-১৯ টার্মে কথার খেলাপ করার পরেও মানুষ তাঁকে সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু উপর্যুপরি দুটি সুযোগের অপব্যবহার করলেন তিনি। কোটি কোটি মানুষকে খুশি করার পরিবর্তে, তাঁর সরকার আক্ষরিক অর্থেই লাগাতার জ্বালিয়ে মারছে। একবার দীর্ঘ লাইনে দাঁড় করাল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বদলের জন্য। নতুন ২০০০ টাকার নোট বদলের জন্য দ্বিতীয়বারের লাইন জারি আছে এখনও। এছাড়া আধার-যন্ত্রণা তো লেগেই আছে। সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ক্রেডিটের গপ্পো মানুষ ভুলতেই চায়। ব্যাঙ্ক ও অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে কেওয়াইসি আপডেটের ফরমানের বিরাম নেই! তিতিবিরক্ত মানুষের এখন একটাই চাহিদা, ‘ভিক্ষের দরকার নেই বাপু তোমার কুকুর সামলাও!’ বছরে ২ কোটি নতুন চাকরি দেওয়া দূর, ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি (মনরেগা) প্রকল্পটাই বরবাদ করে দেওয়া হয়েছে। মনরেগা নিয়ে বাংলার গরিব মানুষের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা এককথায় চার্চিল-সুলভ নিষ্ঠুরতা। বঙ্গদেশে পঞ্চাশের মন্বন্তরের ভিলেন ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। আর স্বাধীন ভারতে লক্ষ লক্ষ গরিব বাঙালির কাজ ও মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে মোদি সরকার। মোদি হলেন সেই রাষ্ট্রনায়ক যিনি বাঙালির ভিড় দেখলেই বিবেকানন্দ আর রবীন্দ্রনাথের বাণী আওড়ান এবং উসকে দেন নেহরু কর্তৃক নেতাজিকে উপেক্ষার স্মৃতি। এই সরকার ভোটের আঁচ পেলেই হিন্দু বাঙালি উদ্বাস্তুদের লড়িয়ে দেয় কোনও একটি সম্প্রদায় কিংবা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে। 
কিন্তু এবার যেন অতিচালাকের গলায় দড়ি দেখতে চলেছে বাংলাসহ গোটা দেশ। বিজেপির ধুরন্ধরা বুঝতে পারেননি নিশ্চয়, সিএএ নামক খুড়োর কল অসমে এনআরসি কার্যকরের বিভীষিকাময় স্মৃতি ফেরাবে; তাতে সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়ে যাবেন পশ্চিমবঙ্গে নাগিরকত্ব পাওয়া হিন্দু শরণার্থীরাই! মোদি সরকার কী বস্তু, পরিযায়ী শ্রমিকরা চিনে নিয়েছেন করোনা-দিনে। অসংগঠিত শ্রমিকদের মন যে এই সরকারের মিষ্টি কথায় গলেনি, তার প্রমাণ প্রধানমন্ত্রীর পেনশন প্রকল্পের (পিএমএসওয়াইএম) চূড়ান্ত ব্যর্থতা। ইপিএফ পেনশনাররা রীতিমতো নিজেদের প্রতারিত ভেবে নিয়েছেন। তার জন্য বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা দুষছেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই। মোদি একাধিকবার কথা দিয়েও তা সজ্ঞানে খেলাপ করেছেন। ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ যে পার্টির ভোটের ট্যাগলাইন, প্রবীণরা বাধ্য হয়েছেন তারই জুমলার বিরুদ্ধে মানুষকে সজাগ করতে। তাঁরা এই মর্মে লিফলেট বিলি করছেন দেশজুড়ে রাস্তায় নেমে। এই দৃশ্য অভূতপূর্ব! মোদি যাঁদের ‘অন্নদাতা’ বলেছিলেন, সেই কৃষকদের বিদ্রোহের কাহিনি সারা দুনিয়ার চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। বিলকিস বানো থেকে মণিপুর এবং আইনসভায় মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের নামে ধড়িবাজি মিলিয়ে নারীশক্তিও আজ শাসকের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে পড়েছে। 
তাহলে ‘চুপচাপ পদ্মে ছাপ’টা দেবেন কারা? কোনও সংশয় নেই, এই প্রশ্নই পেড়ে ফেলছে মোদি-শাহদের। প্রতিটি জনসভায় কী মোদি, কী শাহ, কী যোগী, কী নাড্ডা—কোনও মুরুব্বিই আর আক্রমণের পজিশনে নেই—সবাই ব্যস্ত কাঠগড়ায় দাঁড়ানো অভিযুক্তের মতোই আত্মপক্ষ সমর্থনে! তাঁদের শরীরী ভাষা এবং মুখের কথা থেকে হঠাৎই উধাও যাবতীয় কনফিডেন্স! তাই সদর দরজা হাটআলগা থাকতেও, খিড়কি দিয়ে গৃহপ্রবেশের খেলায় সুরাত, ইন্দোরে দাঁড়ি টানায় সায় নেই গেরুয়া শিবিরের। খেলাটা ইতিমধ্যেই টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গান্ধীনগর অব্দি, যেখানে প্রার্থী স্বয়ং অমিত শাহ। না ভুল পড়েননি, তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ‘সেনাপতি’। তাঁর গান্ধীনগরেও প্রদর্শিত হল বিরোধী প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর জাদু!
08th  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
একনজরে
রবিবার পুরুলিয়া শহরে কার্যত জনজোয়ারে ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোড শো চলার মাঝেই কোথাও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট মেয়েকে আদর করলেন, কোথাও আবার বৃদ্ধাকে ...

লোকাল ট্রেনে বিনা টিকিটে সফর করার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। প্রযুক্তির যুগে কাউন্টারের দীর্ঘ লাইন এড়িয়ে মোবাইল কিংবা বিকল্প উপায়ে ট্রেনের টিকিট কাটার সুযোগ রয়েছে। ...

বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এক নার্সকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিলেন। প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু পরে বিয়ের জন্য জোর দিতে থাকেন শালু তিওয়ারি নামে ওই নার্স। ...

বছর দশেক আগে মণিপুরে ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলতে গিয়েছিলেন। মারাত্মক চোট পান বাঁ হাঁটুতে। বহু চিকিৎসাতেও কোনও কাজ হয়নি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস
১৪৯৮ - ভাস্কো ডা গামা প্রথম ইউরোপীয়, যিনি আজকের দিনে জলপথে ভারতের কালিকট বন্দরে উপস্থিত হন
১৫০৬- ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মৃত্যু
১৬০৯ - শেক্সপিয়ারের সনেট প্রথম প্রকাশিত হয় লন্ডনে। প্রকাশক ছিলেন থমাস থর্প
১৮৫৪ - বিশিষ্ট বাঙালি ব্যবসায়ী,সমাজসেবী ও দানবীর মতিলাল শীলের মৃত্যু
১৮৬৭ - মহারানি ভিক্টোরিয়া আজকের দিনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে রয়াল অ্যালবার্ট হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৩২- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের মৃত্যু
১৯৩২ - ইয়ারহার্ট প্রথম মহিলা ‍যিনি একক উড্ডয়নে আটলান্টিক পাড়ি দেন
১৯৪৭ - বিশিষ্ট কবি প্রবন্ধকার ও শিশুসাহিত্যিক প্যারীমোহন সেনগুপ্তর মৃত্যু
১৯৫২ – প্রাক্তন ক্যামেরুনিয়ান ফুটবলার রজার মিল্লার জন্ম
১৯৭৪ - চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৮৩ - এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম প্রকাশিত হয় সায়েন্স ম্যাগাজিনে
১৯৮৬ - বাংলা ভাষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রতিষ্ঠিত
২০১৯ - বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক অদ্রীশ বর্ধনের মৃত্যু
২০১৯ -  লেখক, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক অদ্রীশ বর্ধনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৩ টাকা ৮৪.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৩ টাকা ১০৭.৭১ টাকা
ইউরো ৮৯.২৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  May, 2024

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে, ২০২৪। দ্বাদশী ২২/৩৩ দিবা ৩/৫৯। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৪/৫৮/২৩, সূর্যাস্ত ৬/৭/৫৩। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৯ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩২ গতে ৪/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৪/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৩ মধ্যে।   
৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে, ২০২৪। দ্বাদশী দিবা ৩/১৭। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০ গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩০ গতে ৪/১২ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ২/৫২ গতে ৪/৩১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৩ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।
১১ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কালকের ফল
পাঞ্জাব ২১৪-৫ : হায়দরাবাদ ২১৫-৬ (৪ উইকেটে জয়ী হায়দরাবাদ) কলকাতা-রাজস্থান ম্যাচ বৃষ্টির ...বিশদ

07:30:00 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস ১৪৯৮ - ভাস্কো ডা গামা প্রথম ইউরোপীয়, যিনি ...বিশদ

07:28:09 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। বৃষ: প্রেম-প্রণয় যোগ আছে। মিথুন: সৃজনশীল কর্ম থেকে কিছু ...বিশদ

07:25:32 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (পঞ্চম দফা): শুরু হল ভোটগ্রহণ 
একে একে চারটি দফা শেষ হয়েছে। আজ, সোমবার লোকসভা নির্বাচনের ...বিশদ

07:13:26 AM

আইপিএল: বৃষ্টির জেরে পরিত্যক্ত হয়ে গেল রাজস্থান-কেকেআর ম্যাচ

19-05-2024 - 11:07:24 PM

আইপিএল: টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত কেকেআরের (বিপক্ষ রাজস্থান) ২০-র বদলে খেলা হবে ৭ ওভারে

19-05-2024 - 10:46:11 PM