Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। পাঞ্জাব তোমার নয়, সিন্ধ আমাদের দেশে নেই, দ্রাবিড় তোমার নয়, উৎকল নয়, বঙ্গও নয়। কোথায় শাসন করবে আমাদের? কোথা থেকে পাবে শাসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা?’
বহিষ্কারের পর সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে এটাই ছিল মহুয়া মৈত্রের প্রতিক্রিয়া। বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের সরকারকে একটু চাবকে দেওয়া বললেও ভুল হবে না। সুকান্ত ভট্টাচার্য ধার করে বিজেপিকে চিতায় তুলবেন বলেছিলেন তিনি। তাঁর কথা রাখার সময় আসছে। আজ তৃতীয় দফার ভোট। মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, দুই মালদহ। কংগ্রেসি রাজনীতির আদি গড় মালদহ থেকে বেরিয়ে এলেই ভোটের আকর্ষণ আর দলের নামে সীমাবদ্ধ থাকবে না। কারণ, এরপর আসছে চতুর্থ দফা। রাজনীতির ময়দানে একের পর এক আকর্ষক চরিত্রের সমাহার এই দফাতেই। দলের পাশাপাশি তাই গুরুত্ব পাবে চরিত্রও। মহুয়া মৈত্র নিজে, অধীররঞ্জন চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, শত্রুঘ্ন সিনহা... দলবিচারের প্রয়োজন নেই। রংও না। ময়দান কাঁপানোর জন্য এই চরিত্ররাই কাফি। আর যদি খান দুয়েক রাউন্ডে ওয়াকওভার বলতে হয়? সন্দেশখালি তৃণমূলকে সেটাই দিয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাস বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের যে এলাকা... যে ১৬টা পঞ্চায়েত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ বিজেপিকে করে দিয়েছিল, আজ সেই জনপদই গেরুয়া শিবিরের কাঁটা। নরেন্দ্র মোদিরা সুস্বাদু ভেবে মুখে পুরে তো ফেলেছেন, এবার না পারছেন গিলতে, আর না উগরাতে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, বিজেপি নেতার স্টিং অপারেশনের ভিডিও দেখিয়েছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন মাননীয় মোদিজির দলের চরিত্র নিয়ে। এখনও পাঁচ দফা ভোট বাকি। বিজেপি হিসেব কষছে, কীভাবে হবে এই ড্যামেজ কন্ট্রোল? জাতীয় স্তরে সন্দেশখালিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন মোদিজি। এবার আর লুকনোর জায়গা পাচ্ছেন না। একুশের বিধানসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপির কেউ কেউ তাঁকে বুঝিয়েছিল, ২০০ পার নিশ্চিত। ভোটের ফল বেরনোর পর হয়তো তিনি ভেবেছেন, কার ২০০ পারের কথা বলা হয়েছিল? তাঁর? নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? এখন সন্দেশখালি কাণ্ডেও তেমন কয়েকজন নেতার নাম সামনে আসছে। যাঁরা গোটা ব্যাপারটাকে ‘ফ্রেম’ করেছেন বলে অভিযোগ। এঁদের ভরসায় মোদিজি ভোট করেন? তাহলে তো ২০০ আসনও আপনার জন্য আশা করা যায় না। পাঞ্জাব থেকে দ্রাবিড়ভূম, সর্বত্র আপনার আজ মুখ পুড়ছে। তৃণমূলের সঙ্গে জাতীয় স্তরের অন্য রাজনৈতিক দলগুলো যদি বিষয়টাকে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারে, তখন আর বার্নল লাগালেও মুখের রং ফিরবে না। 
দিলীপ ঘোষ রসিকতা এবং আক্রমণ, দুয়েই সিদ্ধহস্ত। প্রচারের শেষ লগ্নে এসে এই ইস্যু তিনি কীভাবে সামাল দেন, সেটাই দেখার। কারণ আগামী সোমবার তাঁর ভোট। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র। বিপক্ষে প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। টিকিট পাওয়ার পর থেকেই প্রচুর ছুটছেন, পরিশ্রম করছেন, ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দিলীপবাবুর নাম ঘোষণার পরই রাজনীতির তাবড় কারবারি নড়েচড়ে বসেছিলেন। কারণ, দিলীপ ঘোষ এতটুকু জমি ছেড়ে দেওয়ার পাবলিক নন। বঙ্গ বিজেপির একাংশের সৌজন্যে ইতিমধ্যেই তিনি বাংলা থেকে সাইড হয়ে গিয়েছেন। দায়িত্বও ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে তিনি খবরে ছিলেন না। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরই অবশ্য দিলীপবাবু ফের শিরোনামে। বাছাই করা কয়েকটা বিতর্কিত মন্তব্য করলেন, আর তাতেই কাজ হাসিল। পোড় খাওয়া রাজনীতিক তিনি। জানেন, কীভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়। সেটাই করেছেন। সেইসঙ্গে মেদিনীপুরে তাঁর ‘মেশিনারি’র সবটা তুলে এনেছেন এই কেন্দ্রে। আর নিচুতলায় আরএসএসের সাপোর্ট তো রয়েইছে। তা বলে কীর্তি আজাদ কি দান ছেড়ে দিয়েছেন? একেবারেই নয়। তার কারণ, এই কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষের চ্যালেঞ্জ প্রচুর—মুখ থুবড়ে পড়া কেন্দ্রের শিল্পনীতি, ১১টি খনির বেসরকারিকরণ, পুনর্বাসন ছাড়াই কেন্দ্রীয় সরকারি জমি থেকে উচ্ছেদ... এই প্রতিটি ইস্যু একটু একটু করে বিজেপির ভোট কমিয়েছে। এমনকী, হিন্দিভাষী বলয়েও। মজার বিষয় হল, কীর্তি আজাদ ওই এলাকাগুলিতেও যথেষ্ট জনপ্রিয়তার ছোঁয়া পাচ্ছেন। হিন্দুধর্ম যে কোনও একটি দলের সম্পত্তি নয়, ঘরে ঘরে গিয়ে শাস্ত্রমতে তার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। বোঝাই যাচ্ছে, রীতিমতো হোমওয়ার্ক করে নেমেছেন আজাদ। ফলে বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ, ভাতার এবং মন্তেশ্বর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল এগিয়ে থাকছে বলাই যায়। লড়াই যা হবে গলসি, দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম এলাকায়। 
হোমওয়ার্ক অবশ্য মহুয়া মৈত্রেরও আছে। উঁহু, ঠিক হল না। সব সময়ই থাকে। তা তাঁকে যত অপ্রীতিকর প্রশ্নের সামনেই ফেলা হোক না কেন। তাই তিনি এথিক্স কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে যান খান তিনেক ব্র্যান্ডেড ব্যাগ হাতে নিয়ে। জানেন, এ নিয়েও চর্চা হবে। আর সেটাই তিনি উপভোগ করবেন। তাঁর স্ট্র্যাটেজি হল, অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। তাই বহিষ্কৃত এমপি হয়েও আত্মবিশ্বাসের এভারেস্টে বসে থাকেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসে হাতেগোনা যে কয়েকজন নিজস্ব মেশিনারিতে ভোট করতে পছন্দ করেন, তাঁদের অন্যতম মহুয়া। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে প্রায় ৩৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। সেটা তাঁর বাড়তি শক্তি। তবে বিজেপি প্রার্থী তথা কৃষ্ণনগরের ‘রানিমা’ অমৃতা রায়ের থেকে বাম-কংগ্রেস জোট তাঁর বেশি চিন্তার কারণ। কেন? প্রথমে আসা যাক অমৃতা রায়ের প্রসঙ্গে। এখানেও দলের বদলে প্রার্থীর চরিত্রটিই কিন্তু বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। একে তো তিনি মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের পরিবারের ব্যাটন উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। আর তার থেকে বড় কথা, আসরে নামামাত্র তাঁকে নিয়ে ‘বিশ্বাসঘাতক বিতর্ক’ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাতে ইন্ধন বাড়িয়েছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে ফোন করে যেই না তিনি দাবি করেছেন, ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা সাধারণের মধ্যে বিজেপি বিলিয়ে দেবে, তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। প্রথম প্রশ্ন উঠেছে, কোনও সরকার আদৌ সেটা পারে কি না। এমনিতেই ১৫ লক্ষ টাকা করে ‘বিলি’র অলীক বোঝা দশ বছর পরও মোদিজির কাঁধ থেকে নামেনি, তার উপর এমন একটা দাবি। ‘রানিমা’র শূন্য কলসিতে তাই ফ্লোটিং ভোটাররা ডুব দিতে নারাজ। এবার আসা যাক বাম-কংগ্রেস ‘জোট’ প্রার্থীতে। সিপিএমের এস এম সাদি গত কয়েকটা ভোটে হেরেছেন। তারপরও কেন তাঁকেই এবার প্রার্থী করা হল? উত্তরটা পরিষ্কার, সংখ্যালঘু ভোট। আর এই সমীকরণে যে ফাঁক নেই, তা প্রমাণ করার জন্য সাদি সাহেব লাগাতার কালীগঞ্জ, পলাশীপাড়ায় পড়ে রয়েছেন। মহুয়ার ভোট যতটা কাটা যায় আর কী। এতে কার সুবিধা হবে? মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র নিশ্চয়ই নয়। সিপিএম জানে, রাজ্যজুড়ে তাদের জয় অধরা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা এবারও প্রায় ১০০ শতাংশ। তাও সাদি সাহেব ‘মনে রাখার’ মতো চরিত্র হয়ে থাকতে চান কৃষ্ণনগরে। আবার ঠিক পাশের কেন্দ্রের আর একটি চরিত্রে অবশ্যই এবার নজর রয়েছে—মুকুটমণি অধিকারী। বিজেপি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে এসেছেন এবং এবার রানাঘাটে লোকসভার প্রার্থী। মতুয়া প্রভাবিত এই কেন্দ্রে মুকুটমণিই আকর্ষণের ভরকেন্দ্রে। প্রচণ্ড গরমেও প্রচুর ছুটছেন, আর পাত ভরে চ্যালেঞ্জ সাজিয়ে দিয়েছেন জগন্নাথ সরকারের সামনে। এমনিতে সিএএ’র বিধি জারি হওয়ার পর নিঃশর্ত নাগরিকত্ব ইস্যুতে রীতিমতো খাবি খাচ্ছে গেরুয়া শিবির। যা ইঙ্গিত, অন্তত ২০ শতাংশ মতুয়া ভোট এবার সুইং করবে। অর্থাৎ, বিজেপি সবটা পাবে না। তার উপর শান্তিপুর, ফুলিয়া, নবদ্বীপের তাঁতশিল্পের জন্য জগন্নাথবাবুর যাবতীয় প্রতিশ্রুতি শুধু প্রচারে থেকে যাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে। প্রথমদিকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর চাপানউতোরে হোঁচট খাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও এখন যুদ্ধক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণে। ফলে বিজেপির জন্য রানাঘাট মোটেও সেফ সিট নয়।
নিরাপদে নেই বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থীও। দাঁড়িপাল্লায় মাপলে রাজনীতির চরিত্র হিসেবে অধীর চৌধুরীকে প্রথম তিনের বাইরে কিছুতেই রাখা যায় না। একদা রবিনহুড জাতীয় কার্যকলাপ, মানুষের পাশে থাকা, রাজনীতিতে তুখোড় উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে গত দু’দশকে যা সঞ্চয় করেছেন, সেটাই ভাঙিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে গত লোকসভা ভোটে তাঁর জয়ের মার্জিন নজরে পড়ার মতো কমেছে—সাড়ে তিন লক্ষ থেকে ৮০ হাজার। এবার যা পরিস্থিতি, তিন প্রার্থীর মধ্যে যে কেউ জিততে পারেন বহরমপুর আসন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্রে ইউসুফ পাঠানকে দাঁড় করিয়ে একটি মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন। তিনি ক্রিকেটার, পরিচিত সেলিব্রিটি এবং সংখ্যালঘু মুখ। ইতিমধ্যেই বহরমপুর শহর লাগোয়া পঞ্চায়েতগুলিতে অধীরবাবুর ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়ে ফেলেছেন পাঠান। এছাড়া বেলডাঙা, রেজিনগর ও নওদা এলাকাতেও ভালোরকম লিড হতে পারে বলে আশা করছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী নির্মলকুমার সাহা। ৩৩ বছর ধরে এলাকায় ডাক্তারি করছেন। একটু খামখেয়ালি হতে পারেন, কিন্তু রোগীদের জন্য প্রণম্য। নিখরচায় বহু গরিব রোগীর অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করে থাকেন। শুধু রোগীর নিরিখে বিচার করলেই লাখ খানেকের কাছাকাছি ভোট তিনি নিশ্চিত ধরে রেখেছেন। বহরমপুর শহরে যদি তিনি লিড নিয়ে নেন, অধীর চৌধুরী তাহলে তিন নম্বরে চলে গেলেও অবাক হওয়ার থাকবে না। অর্থাৎ, ভাঙবে অধীর মিথ।
সেদিক থেকে আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহা এবার বেশ নিশ্চিন্ত। প্রথমেই ‘বাঙালি বিরোধী’ বলে পরিচিত ভোজপুরি গায়ক পবন সিংকে প্রার্থী করেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিজেপি। তারপর অনেক জল ঘোলা করে সেই সুরিন্দর সিং আলুয়ালিয়াকে গেরুয়া টিকিট দেওয়া হয়েছে। কুলটি ও আসানসোল দক্ষিণ এলাকায় ভালোরকম লড়াই হলেও পাণ্ডবেশ্বর, বারাবনি, জামুড়িয়া ও আসানসোল উত্তর বিধানসভা অঞ্চলে আলুয়ালিয়াকে ‘খামোশ’ করে দেওয়া যাবে বলেই আশাবাদী শত্রুঘ্ন। 
চতুর্থ দফায় আর একটি জেলায় নজর থাকবে—বীরভূম। শতাব্দী রায় মানুষের জন্য কাজ করেন, পাবলিকের পাশে দাঁড়ান, কেন্দ্রে পড়েও থাকেন। তাই বীরভূম কেন্দ্রে তাঁকে ঘিরে অনিশ্চয়তা তৃণমূলে কম। অসিত মালও বোলপুর আসন নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিন্তায় রাখেননি। কিন্তু ফিল্ম জগতের পরিচিত নায়িকা এবং সমীহ করার মতো রাজনীতিক হওয়া সত্ত্বেও কি শতাব্দী বা অসিত মাল এই ভোটের চরিত্র হয়ে উঠতে পেরেছেন? উত্তর হল, না। বীরভূমের রাজনীতিতে রাঙা মাটির রং যেমন থাকে, তেমনই থাকে একটা মেঠো গন্ধ। তার মিশেলেই গড়ে ওঠে চরিত্র। সেই চরিত্র উন্নয়ন হয়ে পথে দাঁড়িয়ে থাকে, চড়াম চড়াম শব্দে ঢাক বাজায়, আবার ভোটের দিন গৃহবন্দি থেকেও দলকে নিশ্চিত করে। প্রায় তিন বছর জেলে অনুব্রত মণ্ডল। পঞ্চায়েত ভোট তাঁকে ছাড়াই হয়েছে। এবার লোকসভা ভোটও। তাঁর মেঠো রাজনীতি, ভোট মেশিনারি এবং সাদামাটা অথচ বিপক্ষের গায়ে জ্বালা ধরানোর মতো বাক্যবাণ। কেউ মাঠে ময়দানে তাঁর ‘লেগাসি’ খুঁজছেন। কেউ বলছেন, বেশ হয়েছে। এটাই হওয়ার ছিল। অর্থাৎ, অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমে নেই, কিন্তু আছেন। ইতিতে হোক, বা নেতি। অনুব্রত বুঝিয়ে চলেছেন, তাঁর চরিত্রটিকে কাল্পনিক আখ্যা দেওয়ার সময় এখনও আসেনি।
07th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
একনজরে
ভোটের মুখে শুরু হয়েছে রাস্তা তৈরির কৃতিত্ব নিয়ে কাড়াকাড়ি। প্রচারে গিয়ে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ দাবি করেছিলেন, আমডাঙা বিধানসভার কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্করগাছি মোড় থেকে সন্তোষপুর মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি তাঁর তহবিলের টাকায় তৈরি। ...

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে ঠান্ডা পানীয় তৈরিতে দেদার ব্যবহৃত হচ্ছে মাছ, মাংস সংরক্ষণের বরফ! বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর শহর সহ প্রত্যেকটি ব্লকের বাজারগুলিতে থাকা মিষ্টি ও ঠান্ডা ...

প্রায় আট বছর পর রিয়েল এস্টেট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। ওই পদে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তকে নিয়োগ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার রিয়েল স্টেট সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল ‘রেরা’ গঠন করেছিল। ...

রাজেশ্বরা প্যাটেল, রামরতন রাম, রামসুন্দর দাস, রামবিলাস পাসোয়ান। এঁরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময়ে বিহারের হাজিপুর লোকসভার আসনের সাংসদ। কাকতালীয় হলেও এঁদের সবার নামে রয়েছে দুই হিন্দু দেবতার উল্লেখ। রাম অথবা শিব। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯০: ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা ও গণপ্রজাতন্ত্রী ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী হো চি মিনের জন্ম
১৯০৮: লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: ভারতের অগ্রণী শিল্পপতি ও টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজী টাটার মৃত্যু
১৯১৩: ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডির জন্ম
১৯২২: বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী অমর পালের জন্ম
১৯৩৪: ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত ভারতীয় লেখক রাসকিন বন্ডের জন্ম
১৯৩৮: অভিনেতা গিরীশ কারনাডের জন্ম
১৯৫৮: ঐতিহাসিক স্যার যদুনাথ সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: চলচ্চিত্র অভিনেতা  নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকীর জন্ম
১৯৯৭: বাংলা তথা ভারতীয় নাট্যজগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব শম্ভু মিত্রের মৃত্যু
২০০১: প্রথম অ্যাপল রিটেইল স্টোর উদ্বোধন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৩ টাকা ৮৪.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৩ টাকা ১০৭.৭১ টাকা
ইউরো ৮৯.২৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪। একাদশী ২২/১০  দিবা ১/৫১। হস্তা নক্ষত্র ৫৫/৪৩ রাত্রি ৩/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৮/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/৭/২০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৪ গতে ৯/২২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ২/৩৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১০/২৮ গতে ১২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/২২ গতে ৫/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৬ মধ্যে। 
৫ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪। একাদশী দিবা ১/২৪। হস্তা নক্ষত্র রাত্রি ৩/৫।সূর্যোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২২ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে ও ১০/৩৪ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৬ মধ্যে। 
১০ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ০ রানে আউট হেড, হায়দরাবাদ ০/১ (০.১ ওভার), টার্গেট ২১৫

05:30:00 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদকে ২১৫ রানের টার্গেট দিল পাঞ্জাব

05:26:00 PM

আইপিএল: ২ রানে আউট আশুতোষ, পাঞ্জাব ১৮৭/৫ (১৮.১ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

05:15:41 PM

আইপিএল: ৪৯ রানে আউট রুশো, পাঞ্জাব ১৮১/৪ (১৭.২ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

05:11:16 PM

আইপিএল: ২ রানে আউট শশাঙ্ক, পাঞ্জাব ১৭৪/৩ (১৬ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

05:03:15 PM

আনন্দপুর স্কুল মাঠের সভামঞ্চে এসে পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

04:56:00 PM