গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
গায়ক পরমেশ্বর বলেন, ‘ভোটের সময় মাস্টারমশাই সনৎ কোলের লেখা গানের একটি অংশ বদলে ‘তৃণমূল’ শব্দটি যোগ করেছিলাম। দেখলাম সকলের পছন্দ হল। অনেকে গাওয়ার জন্য অনুরোধও করছেন। এছাড়া এনআরসি সম্বন্ধে যা জেনেছি তার বিরোধিতা করি আমি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ আমার ভালো লাগে। কিন্তু আমি রাজনীতি করি না।’ দিপালী সাঁতরা নামে এক মহিলা বলেন, ‘তৃণমূল নিয়ে যে গানটা উনি শুনিয়েছেন সেটি খুব ভালো। উনি কোনও রাজনীতি করেন না ঠিকই তবে গানের মধ্য দিয়ে অনেক কিছুই বুঝিয়ে দিয়েছেন আমাদের।’
পরমেশ্বর একটু আপন ভোলা মানুষও বটে। বাজার করতে গিয়ে গান শুরু করেন। তারপর ভুলে যান বাড়ি ফিরতে হবে। শ্রোতারা অনুরোধ করলে একের পর এক শুনিয়ে যান ভক্তিমূলক, রাজনৈতিক আর প্রিয় শিল্পী মহম্মদ রফির গান। শ্রোতার অভাব নেই তাঁর। মানুষটির বয়স এখন ৬২ বছর। দিনমজুর আদিবাসী পরিবারের সন্তান। অষ্টম শ্রেণির পর পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। তারপর গানের পাশাপাশি লাঠি খেলা, আগুনের রিংয়ের মধ্যে দিয়ে ঝাঁপ, বডি বিল্ডিং ও যোগ ব্যায়ামের প্রদর্শনী করতেন। করতে করতে সরকারের গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়ে যান। সঙ্গে নিয়মিত চলত গানের রেওয়াজ। শিক্ষাগুরু বলতে একটি রেডিও। কোনও গান কাগজে লেখেন না। সব মনে রাখেন। চাকরির শেষ সময় পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে অফিস যাতায়াত করতেন। পথে কোনও পরিচিত অনুরোধ করলে সাইকেল থামিয়ে গান শোনাতে দাঁড়িয়ে পড়তেন। ফলে দশটায় অফিস যেতে হলে বাড়ি থেকে বেরতেন অনেক আগে। ২০২২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তারপর ধ্যানজ্ঞান হয়ে দাঁড়ায় গান।
এবারও ঘুরছেন বাজারে, হাটে, মাঠে, চায়ের দোকানে। মন খুলে গান গান। প্রাণ ভরে শোনে মানুষ। এই করতে করতে পরমেশ্বর হয়ে উঠেছেন বেশ জনপ্রিয়।