গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
পাণ্ডুয়ার বিধায়ক রত্না দে নাগের উদ্যোগে জখম রূপম বল্লভকে এদিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। আরেক জখম শিশু সৌরভ চৌধুরীকে সোমবার রাতেই কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। পাশাপাশি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত গৃহবধূ রীতা বল্লভকে মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতে পেশ করেছিল পুলিস। স্থানীয় বিক্ষোভের আশঙ্কায় সোমবার গ্রেপ্তার করার পর তাঁকে অন্য একটি থানার হেফাজতে রাখা হয়েছিল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁকে তিনদিনের পুলিস হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এই ঘটনায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত রীতার দ্বিতীয় স্বামীর হদিশ এখনও মেলেনি। এদিন আদালতে যাওয়ার পথে রীতা অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, নিজের সন্তানকে খুন করতে চাইব কেন? আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমিও চাই, পুলিস সঠিক তদন্ত করুক। নেতাজিপল্লির বাসিন্দা প্রবীণা পূর্ণিমা দাস বলেন, একজন দশ বছরের নিরপরাধ শিশুর মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। প্রকৃত অপরাধী গ্রেপ্তার হোক, রাজনীতি বন্ধ হোক। ছটফটে বাচ্চাটার কথা ভুলতে পারছি না। মনে হচ্ছে, বুকে পাথর চেপে বসে আছে। মৃত শিশুর মামিমা বর্ষা মিস্ত্রি বলেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই। পাণ্ডুয়া থানার পুলিস জানিয়েছে, বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত চলছে। রীতা বল্লভকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সোমবার সকালে বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল শান্ত নেতাজিপল্লি। বিস্ফোরণে মারা যায় দশ বছরের রাজ বিশ্বাস। সে বর্ধমান থেকে মামার বাড়ি নেতাজিপল্লিতে এসেছিল। বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার শরীর। তার সঙ্গে আরও দুই শিশু জখম হয়েছিল। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ছন্দে ফেরেনি তিন্না গ্রামের নেতাজিপল্লি। মঙ্গলবার দুপুরেও শোকের স্পষ্ট ছাপ পল্লির প্রায় ঘরে ঘরে দেখা গিয়েছে। একটি নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যু ও দু’জন শিশুর গুরুতর জখম হওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না বাসিন্দারা। সেইসঙ্গে এক সন্তানহারা মায়ের বিলাপ আরও শোকাচ্ছন্ন করে রেখেছে নেতাজিপল্লিকে।