গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাসিন্দা অমিত কুমারের আত্মীয় এই আবাসনে থাকেন। চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া এই যুবক দিন চারেক আগে কলকাতায় তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে আসেন। কয়েকদিন পর তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। এই আবাসনেই থাকেন নবম শ্রেণির ছাত্র তানিশ। তাঁদের বাড়িও বালিয়ায়। অমিতের সঙ্গে ওই কিশোরের পরিচয় ছিল আগে থেকেই। হরিদেবপুরের এই আবাসনের মধ্যে স্কুটি চালাচ্ছিলেন অমিত। পিছনে বসেছিল তানিশ। মাঝেমধ্যে তাঁরা বাইরে যাচ্ছিলেন স্কুটি নিয়ে। আবার ফিরেও আসছিলেন। বৃষ্টি এসে যাওয়ায় আবাসনের ভিতরেই স্কুটি চালাচ্ছিলেন অমিত। বিশাল বড় এই আবাসনে একাধিক ব্লক রয়েছে। প্রতিটি ব্লকের আলাদা নাম। আবাসনের পথ, ব্লক অমিতকে চিনিয়ে দিচ্ছিল ওই কিশোর। হঠাৎ করে বৃষ্টির বেগ বেড়ে যাওয়ায় ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। নিজেদের ব্লকে ঢোকার জন্য বাঁদিকে ঘোরার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তা করতে পারেননি অমিত। স্কুটির হ্যান্ডেল লক হওয়ায় গাড়ির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন অমিত। সোজা স্কুটিটি নিয়ে তাঁরা গিয়ে পড়েন পুকুরে। চিৎকার করলেও কোনও লাভ হয়নি। আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীরা অবশ্য পুকুরে কিছু একটা পড়ার শব্দ শুনতে পান। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন, সম্ভবত কিছু ভেঙে জলে পড়েছে। তাঁরা এসে একটি স্কুটি পুকুরে দেখতে পান। সেখান থেকেই অনুমান করা হয়, কিছু একটা ঘটেছে। খবর দেওয়া হয় থানায়। হরিদেবপুর থানার ওসি সুভাষ অধিকারী টিম নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে পৌঁছন ওই আবাসনে। টর্চের আলো পুকুরে ফেলা হলেও প্রাথমিকভাবে কিছু বোঝা যায়নি। তখন ডাকা হয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সদস্যদের। তাঁরা তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করেন দু’জনকে। বাইকটি তোলা হয় জল থেকে। প্রাথমিকভাবে পুলিস জেনেছে, স্কুটির হ্যান্ডেল লক হওয়ার কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।