আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
অন্যদিকে, গুলিবিদ্ধ আদিত্যবাবুকে প্রথমে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোম হয়ে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়েছে। এদিন চুঁচুড়া হাসপাতালে দলের ওই নেতার চিকিৎসার খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন বাঁশবেড়িয়ার বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। কলকাতার নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। দিলীপবাবু ও তপনবাবু বলেন, ঘটনার পেছনে যেই থাক, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। পুলিসের কাছে আমরা আবেদন করেছি, দ্রুত হামলাকারীদের খুঁজে বের করা হোক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হলে দল রেয়াত করবে না। বাঁশবেড়িয়ায় আদিত্যবাবুর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা রাজা চট্টোপাধ্যায় বলেন, সোনা শীলের কর্মকাণ্ড ও পুরসভায় তাঁর স্ত্রী’র একনায়কতন্ত্র নিয়ে আদিত্যদা মুখ খুলেছিলেন। এটা তারই প্রতিশোধ নেওয়া হল। দিন কয়েক আগেই সোনা শীলের ঘনিষ্ঠ দু’জনকে পুলিস জমি কেনার নামে টাকা তছরূপের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল। তা নিয়ে ওই নেতার বিরুদ্ধে দলের ভাবমূর্তি খারাপ করার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ ধামাচাপা দিতে এই খুনের প্রচেষ্টা বলে আমাদের সন্দেহ। এদিন আমজনতার ক্ষোভ আছড়ে পড়তেই অরিজিতাদেবীর আর খোঁজ মেলেনি। সোনা শীলও গত কয়েকদিন ধরেই ঘরছাড়া বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি। জেলা পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূলের যে অফিসে সোনা শীল বসতেন, সেখান থেকে সিসি ক্যামেরা হার্ডডিস্ক সহ কিছু নথি পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে।
বাঁশবেড়িয়াতে আমজনতার ক্ষোভের আঁচ নেতাদের উপরে আছড়ে পড়ার রেওয়াজ আছে। ২০১৯ সালে বাঁশবেড়িয়ার তৃণমূলের এক দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার বাড়িতে আমজনতা দফায় দফায় হামলা করেছিল। সেই সময় তাঁকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়। এবারেও পরিস্থিতি সেই দিকেই গড়াচ্ছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের ঘটনার সঙ্গে সোনা শীলের যোগ আছে কি না, তা প্রমাণ সাপেক্ষ। কিন্ত ওই নেতাকে কেন্দ্র করে গত প্রায় একবছর ধরে বাঁশবেড়িয়ার রাজনীতিতে সমস্যার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ওই নেতাকে সাসপেন্ডও করে। কিন্তু তখন সোনাবাবু নিজেই দাবি করেছিলেন, তিনি তৃণমূলের সদস্যই নন।