শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
শহরের উপরে বড় বিপত্তি আসতে চলেছে, তা কলকাতা পুর প্রশাসন জানলেও ধ্বংসলীলা যে এমন ভয়ঙ্কর হবে, সেটা আঁচ করতে পারেননি অনেকেই। যদিও আগাম সব ব্যবস্থাই প্রশাসনের তরফে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ঝড়ের ঝাপটায় সেই ব্যবস্থাপনাও উড়ে গিয়েছে। পুরসভার আমলাদের কথায়, এত বড় দুর্যোগের মুখোমুখি গত কয়েক বছরে শহরের বুকে হয়নি। তাই সব কিছু স্বাভাবিক করতে সময় তো লাগবেই।
যদিও ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও মানুষ পরিষেবা না-পেয়ে আর ধৈর্য রাখতে পারেননি। এদিন সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েন অনেকেই। পুলিস ও পুরসভা কলকাতাকে পুরনো চেহারায় ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু সাধারণ মানুষের অভিযোগ, জল-আলো ছাড়া আর কতটা সময় কাটানো যায়? চারপাশে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে। কোথায় শর্ট সার্কিট হয়ে রয়েছে, কেউ বুঝতে পারছেন না। তাই এদিন সকাল থেকে বেহালা থেকে বালিগঞ্জ, যাদবপুর থেকে গড়িয়া, ই এম বাইপাস সংগ্ন উত্তর পঞ্চান্নগ্রাম, রুবি সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা এবং উত্তর কলকাতার বেশ কিছু অংশে স্থানীয় মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয় রাস্তা অবরোধও। কোথাও কোথাও হাতে লেখা পোস্টার ও বালতি নিয়েও মানুষকে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে।
রাস্তার কলে ছিল দীর্ঘ লাইন। সেখানেও দেখা গিয়েছে, জল নিয়ে মারপিট করতে। দু’দিন কেটে গেলেও রাস্তার উপরে পড়া গাছগুলির মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশও কেন কেটে সাফাই করা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। যদিও এদিন নিজে রাস্তায় নেমে গাছ কেটে পরিষ্কার করার ব্যাপারে জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কলকাতার পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি হরিশ মুখার্জি রোডে কাজ পর্যবেক্ষণ করার সময় বলেন, শহরের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এবং পুরসভার কর্মীরা কাজ করছেন। অন্তত সাড়ে তিন থেকে চার হাজার গাছ পড়ে গিয়েছে, সময় তো একটু লাগবেই। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুর, যাদবপুর, বাঘাযতীন, দেশপ্রিয় পার্ক, ই এম বাইপাস লাগোয়া একাধিক এলাকা, বেহালার শখেরবাজার, ঠাকুরপুকুর, শকুন্তলা পার্ক, বেলেঘাটা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এদিনও গাছের গুঁড়ি কেটে সরানো যায়নি।