ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
চলতি বছরে শহরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো গিয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ শহরতলির অবস্থা সবথেকে উদ্বেগের, দাবি বিভাগীয় কর্তাদের। বিভাগের এক শীর্ষকর্তা বলেন, যত দিন এগচ্ছে, পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যাচ্ছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যেখানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আড়াই হাজারের মতো, নভেম্বরের সাত দিনেই তা আরও ১০০ বেড়েছে।
এই অবস্থার মধ্যেই প্রচারের ঘাটতির একটি দিক নজরে এসেছে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের। গত বছর প্রচারের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ওয়ার্ডপিছু একটি করে হ্যান্ড মাইক কিনে দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা এই হ্যান্ড মাইক নিয়ে প্রচার করবেন। প্রতিদিন চলবে এই প্রচার। কাউন্সিলাররা অন্তত দু’-তিনদিন ওই প্রচার ভ্যানের সঙ্গে থাকবেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই হ্যান্ড মাইক নিয়ে কোনও প্রচারই হয়নি। পুরকর্মীরা এই কাজে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র। পাশাপাশি, তিনি বলেন, কাউন্সিলারদের দিক থেকেও তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যায় নি। এভাবে যদি প্রচারের কাজকে গুরুত্ব দেওয়া না হয়, তাহলে দিনে দিনে সমস্যা বাড়বেই। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের কথায়, এই হ্যান্ড মাইক দেওয়া হয়েছিল ছোট ছোট গলিতে ঢুকে মশারোধী প্রচারের জন্য। অটোয় মাইক বেঁধে প্রচারের থেকেও হ্যান্ড মাইককে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ডেপুটি মেয়র।
মুখ্য পতঙ্গবিদ ডঃ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, এবছর ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ হল, গত বছর আগস্ট থেকে অক্টোবর—যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছিল, এবার তার দ্বিগুণ বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে একাধিক কারণও। পুজোর মরশুমে ডেঙ্গু বেড়েছে। সেই সময়ে পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলা থাকলেও প্রচারের অভাবে অনেকেই সেখানে যাননি। দ্বিতীয়ত, মণ্ডপের বাঁশে জল জমে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেড়েছে। পুজো কমিটিগুলিকে বারবার বলা সত্ত্বেও কাজ হয়নি। জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা যে সব জায়গায় আবর্জনা সাফ করে মশার আঁতুড়ঘরগুলি নষ্ট করে দিচ্ছেন, স্থানীয় মানুষের একাংশ আবার সেই জায়গাতেই আবর্জনা ফেলে মশাদের স্বাগত জানাচ্ছে। মানুষ যদি সচেতন না হয়, তাহলে ডেঙ্গুর মশার লার্ভার বিনাশ করা সহজ হবে না, দাবি দেবাশিসবাবুর।