ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রথমে বোড় কালীতলার পুজোমণ্ডপে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে বক্তব্য রাখেন। তারপরে তিনি বোড় সর্বজনীনের পুজোমণ্ডপে যান। সেখানেই তিনি বলেন, আগে বাংলায় ১২ মাসে ১৩ পার্বণ ছিল। এখন ৩৬৫ দিনে ৩৬৬ উৎসব বলতে হবে। আমরা এই বাংলায় প্রত্যেকটা পুজো করি দুর্গা, লক্ষ্মী, কালী থেকে জগদ্ধাত্রী, ছটপুজো, সর্বমঙ্গলা কালী সবই করি। আমার বাড়িতেও পুজো হয়। আমি পুজোপার্বণ করতে ভালোবাসি। সেইসঙ্গে আমরা রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দের বাণী মেনে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বাণীও মানি। এরপরেই জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে চন্দননগরের উদ্যোগেকে ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে তিনি বলেন, জগদ্ধাত্রী পুজোতে এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন। যা একটি ঐতিহ্য। তেমনই আরেকটি ঐতিহ্য চন্দননগরে আছে। তা হল এইটি আলোকসজ্জার সৃষ্টিকর্তা। পাশাপাশি আপনাদের শোভাযাত্রা থেকেই আমরা কার্নিভালের প্রেরণা পেয়েছি। আমরা সেটাকে অনেক বড় আকারে করছি। অতি দ্রুত সেটিকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার কাজ শেষ করা হবে। আরও ভালো এবারের শোভাযাত্রা করুন। সেই সঙ্গে শৃঙ্খলা রেখে করুন যাতে তা আরও দৃষ্টিনন্দন হয়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী কপ্টারে এসে কুঠির মাঠে নামেন। সেখান থেকে তিনি ৫০ বছরে পা দেওয়া বোড় কালীতলার পুজোমণ্ডপে যান। সেখানে তিনি জগদ্ধাত্রী প্রতিমার সামনে প্রদীপ জ্বালান। পুরোহিতের সঙ্গে কিছুক্ষণ আলাপচারিতার শেষে বাইরে এসে উপস্থিত জনতার সামনে বক্তব্য রাখেন। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, চুঁচুড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমিত রায়, জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, চন্দননগরের পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর তাঁর সঙ্গে ছিলেন। এরপর তিনি বোড় সর্বজনীনের পুজোতে গিয়েও কিছু সময় বক্তব্য রাখেন। সেখানেই তিনি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে দিয়ে গান গাওয়ান। ইন্দ্রনীলবাবু মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গানই গেয়ে শোনান। তারপরে তিনি ফের হেলিকপ্টার ফিরে যান।