বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এদিন দেহটি উদ্ধারের পরই পুলিসের দাবি ছিল, বাইরে থেকে খুনের পর খালের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তা ভাসতে ভাসতে খড়কি খাল দিয়ে খেয়াদহতে চলে এসেছে। এক্ষেত্রে জেলা পুলিসের যুক্তি হল, এই খালটি রুবির দিক থেকে কাঠিপোতার ভিতর দিয়ে খেয়াদহতে মিশেছে। কলকাতা পুলিসের আনন্দপুর এলাকায় খুন করে দেহটি প্লাস্টিকে মুড়ে খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিস কর্তাদের আরও দাবি, খুনটি শুক্রবার থেকে শনিবার কোনও সময়ে হয়েছে। সেই কারণে দেহটিতে পচন ধরে গিয়েছে।
সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ-১ ও খেয়াদহ-২ পাশাপাশি দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত। ভেড়ি অধ্যুষিত এলাকা। যদিও অনেক জায়গাতে আইন ভেঙে জলা ভরাট করে কোথাও বাড়ি, কোথাও বাগানবাড়ি তৈরি হয়েছে। এই এলাকায় ভেড়ির দখল ও জমি ভরাট নিয়ে টাকা পয়সার ভাগাভাগির ঘটনায় এক সময় এলাকা অগ্নিগর্ভ থাকত। এখন অবশ্য আগের মতো তা প্রকাশ্যে আসে না। এরমধ্যেই চলতি মাসের প্রথম দিকে খেয়াদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তিহুড়িয়ার বাগানবাড়ির কেয়াটেকার দম্পতির নৃশংসভাবে খুন নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পাকা রাস্তার ধারে সেই বাগানবাড়িতে ঢুকে রবিবার গভীর রাতে প্রদীপ বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী আলপনা বিশ্বাসকে শ্বাসরোধের পর মাথায় ভারি জিনিস মেরে খুন করে আততায়ীরা। এরপর বড় দু’টি ট্রলি ব্যাগের মধ্যে হাত ও পা ভেঙে ঢুকিয়ে রাখে। উদ্দেশ্য ছিল দেহ সহ ট্রলি ব্যাগ দু’টি বাইরে বের করে লোপাট করে দেওয়া। যাতে খুনের ঘটনাটি কেউ বুঝতে না পারে। তা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। রান্নাঘরে ট্রলি ব্যাগ সহ দেহ রেখে গা ঢাকা দিয়েছিল আততায়ীরা। এদিন খেয়াদহ-২ পঞ্চায়েতের নতুনপাড়ায় খণ্ডখণ্ড করা দেহটি যেখানে পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে তিহুড়িয়ায় খুন হওয়া কেয়ারটেকার দম্পতির বাগানবাড়ির দূরত্ব মেরেকেটে পাঁচ কিলোমিটার। এদিন সকাল ৯ টার সময় এক মৎস্যজীবী খালের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পায়। তা দেখতে গিয়ে প্লাস্টিকে মোড়া দু’টি পুঁটুলি তাঁর নজরে আসে। এরপর শোরগোল পড়ে যায়। পুলিসের আধিকারিকরা সেখানে যান। তদন্তকারীদের কথায়, মাঝবয়সি ওই ব্যক্তি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা নন। তবে আনন্দপুর কিংবা ওই সংলগ্ন এলাকার বলে সন্দেহ।