কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১৭ সালে এক সংশোধনীর মাধ্যমে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিসেস কমিশন আইন ১৯৯৭’-এ একটি ধারা (১০সি) যুক্ত করে রাজ্য সরকার। সেই ধারা অনুযায়ী গভর্নমেন্ট-এইডেড এবং গভর্নমেন্ট স্পনসরড স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের দূর-দূরান্তে বদলি করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ। মামলাকারীদের দাবি, কেউ হয়তো চাকরি করছেন কলকাতায়। তাঁকে হঠাৎ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কাকদ্বীপে। আবার কাউকে মেদিনীপুর থেকে বদলি করা হচ্ছে মালদহ বা মুর্শিদাবাদে। অর্থাৎ, ঘরের কাছের স্কুল কিংবা যেখানে কাজে যোগ দিয়েছিলেন সেখান থেকে বহু বহু দূরে। তাই সংশ্লিষ্ট আইনের ধারাটিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে সহকারী শিক্ষকদের সংগঠন ‘সেকেন্ডারি টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (স্টিয়া)’। তাদের আইনজীবী হিসেবে এদিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন প্রতীক ধর। সঙ্গে ছিলেন শারদ সিংহানিয়া। রাজ্য সরকার তথা স্কুল সার্ভিস কমিশনের হয়ে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত এবং কুণাল চট্টোপাধ্যায়। সওয়াল করতে গিয়ে বারবারই বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বদলির বিরোধিতা করা শিক্ষকদের আইনজীবীকে।
যদিও প্রতীক-শারদরা একাধিকবার বলেন, ‘আমাদের আর্জি একটাই। আইনে নতুন রুল যুক্ত হওয়ার আগে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নিয়োগকর্তা ছিল স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কমিটি। এবং সেই নিয়োগপত্রে কোথাও বদলির কথা উল্লেখ নেই। নতুন রুল এসেছে ২০১৭ সালে। তাই তারপর যাঁরা কাজে যোগ দিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে বদলির নিয়মটি কার্যকর হোক।’ বাস্তবিকই আগে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষমতা ছিল স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কমিটির হাতে। কিন্তু বর্তমানে সেই দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
সহকারী শিক্ষকদের জবাব শুনে বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল সাফ জানান, নিয়োগ কর্তা যেই হোক, তা নিয়ে আপত্তি তোলার অধিকার নেই। বিচারপতি মাহেশ্বরীরও মন্তব্য, ‘সরকার চাইলে নতুন রুল আনতেই পারে। তাছাড়া এভাবে শিক্ষকদের সংগঠন আবেদন কেন করেছে? বদলির ক্ষেত্রে যদি নির্দিষ্ট কারও প্রকৃতই অসুবিধা থাকে, তাহলে তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে আদালতে আবেদন করতেই পারেন। কিন্তু এভাবে জোটবদ্ধ হয়ে কেন? আবেদন খারিজ।’ ‘স্টিয়া’র পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অনিমেশ হালদার। পরে তিনি বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব, যাতে জোর করে বদলি নির্দেশ কার্যকর না করা হয়। প্রয়োজনে রিভিউ পিটিশনও করা হতে পারে।’