কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
কয়েকদিন আগেই টানা বর্ষণের জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে বহু বাসিন্দাকে। এখনও হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলার অনেক জায়গা প্লাবিত। সেই দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বর্ষণ। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, আরামবাগের খানাকুল, পশ্চিম মেদিনপুরের ঘাটাল, বীরভূমের লাভপুরের পরিস্থিতি আগে থেকেই খারাপ ছিল। এই দফার বৃষ্টিতে সেখানকার হাল আরও ঘোরালো হয়ে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তা আরও কয়েকদিন চললে কী হবে জানি না! বাংলা ভাসছে। পুরো প্রশাসন এখন বন্যা মোকাবিলায় ব্যস্ত। মহালয়ার দিন ভরা কোটাল আছে।’ ডিভিসি-র বেশি মাত্রায় জল ছাড়া নিয়ে এদিনও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘এখনও তারা ২৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে।’ সেচদপ্তর সূত্রে খবর, ডিভিসি মাইথন-পাঞ্চেত থেকে বেশি জল ছাড়ায় প্রভাব পড়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ। এদিন সেখান থেকে ৩৯ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়তে হয়েছে। মুকুটমণিপুরে কংসাবতী, চাণ্ডিলে সুবর্ণরেখা, হিংলোতে অজয় নদীর বাঁধেও জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি। ফলে জল ছাড়তে হচ্ছে।
দুর্গাপুজোর মাত্র সপ্তাহদুয়েক আগে এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। পুজো উদ্যোক্তাদেরও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। স্বাভাবিক নিয়মে ১০ অক্টোবর নাগাদ রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নেয়। এবার পুজো ওই সময়েই। আবহাওয়া অধিকর্তা জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার পুজোর দিনগুলি কেমন যাবে, সেব্যাপারে ইঙ্গিত মিলতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায় ১০০ মিমির বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে ঠিকমতো ত্রাণ ও সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই এদিন নবান্নকে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।