কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
গত বছর ২৬ মার্চ ছ’বছরের একরত্তি শিশুটি আবাসনের সিঁড়ি দিয়ে নামছিল। তখনই অলোককুমার সাউ তাকে তুলে নিয়ে যায়। নৃশংস ধর্ষণের পর চিৎকার থামাতে মাথায় হাতুড়ি মারে এবং গলা টিপে তাকে খুন করে অলোক। পুলিস এবং লালবাজারের গোয়েন্দারা তার ফ্ল্যাটে রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের পিছন থেকে উদ্ধার করেছিল শিশুর বস্তাবন্দি দেহটি। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল তিলজলা থানা এলাকা। কলকাতা পুলিস দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে। সে কথা অবশ্য বৃহস্পতিবার উল্লেখ করেছেন বিচারকও। দ্রুত চার্জশিট পেশের জন্যই যে ১৮ মাসের মধ্যে সাজা ঘোষণা সম্ভব হল, সে কথাও বলেন তিনি।
এদিন সকালে থেকেই এই রায় শুনতে আলিপুর জজ কোর্ট চত্বরে বহু মানুষ ভিড় জমান। কোর্ট চত্বরে ছিল কড়া পুলিসি প্রহরা। ভিড় ছিল আইনজীবীদেরও। ফাঁসির সাজা শুনেও অবশ্য হেলদোল দেখা যায়নি ওই যুবকের মধ্যে। সকালে শুধু সে জানিয়েছিল, ‘আমি অতীতে কোনও অপরাধ করিনি। কোনও সাজার নজিরও নেই। তাই আমাকে যেন কম সাজা দেওয়া হয়।’ এর তীব্র বিরোধিতা করে দুই সরকারি কৌঁসুলি শিবনাথ অধিকারী ও মাধবী ঘোষ বলেন, ‘যে অপরাধ অলোককুমার সাউ করেছে, তাতে মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনও শাস্তি আশাই করা যায় না। আমরা চাই, এই সাজা যেন একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।’ এরপরই বিচারক তাঁর সাজার কথা ঘোষণা করেন।