নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দীঘার কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি ২০২৬ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকেই চালু হবে। বৃহস্পতিবার বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর এবং রাজ্যের অর্থদপ্তরের প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র। সমুদ্রের নীচ দিয়ে যে কেবল পরিষেবা চালু হবে, তা রাজ্যের তথ্য-প্রযুক্তি পরিষেবার চেহারা বদলে দেবে বলে দাবি করেছিল রাজ্য সরকার। অমিতবাবু বলেন, ২০২০ সালে রাজ্য সরকার তথ্যপ্র-যুক্তি নীতি প্রণয়ন করে। তারই অন্যতম অংশ ছিল ব্রডব্যান্ড নীতি। ২০২১ সালে রাজ্য সরকার ডেটা সেন্টার নীতি আনে। এরপর ২০২৩ সালে আসে কেবল ল্যান্ডিং পলিসি। এই নীতির অন্যতম লক্ষ্য তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলার বাতাবরণ বদলে দেওয়া এবং দেশি ও বিদেশি লগ্নি আনা। এই পরিষেবা চালু হলে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের পাশাপাশি স্টার্ট আপ সংস্থাগুলির আরও উন্নয়ন সম্ভব হবে। এরাজ্যে কেবল এবং ইন্টারনেট সংক্রান্ত যে সমস্যাগুলি আছে, সেগুলি যেমন কমবে, তেমনই কেবল সংক্রান্ত খরচও কমবে বলে দাবি করেছেন অমিতবাবু।
এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জানান, নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে ১১টি ডেটা সেন্টার চালু করার হবে। এর মধ্যে সাতটি সেন্টার ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নির্মিত এই ভ্যালিতে ইতিমধ্যেই জমি নিয়েছে ৪১টি সংস্থা। এখানে ২০০ একর জমি রাখা হয়েছিল শিল্পের জন্য। সবটুকুই বিভিন্ন শিল্পসংস্থার হাতে চলে গিয়েছে। পাশাপাশি যেসব সংস্থা এখানে চালু হবে, তার অনুসারী শিল্পের চাহিদাও বাড়বে বলে দাবি করেছেন অমিতবাবু। তাঁর দাবি, টিসিএসের মতো সংস্থা ২০ একর জমিতে যে নতুন অফিস চালু করতে চলেছে, সেখানে আরও ১৬ হাজার কর্মসংস্থান হবে। প্রসঙ্গত, কলকাতায় তাদের বর্তমান ক্যাম্পাসটিতে ৫০ হাজার কর্মী কাজ করেন। অমিতবাবুর দাবি, রাজ্য সরকার তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের উপর গুরুত্ব দেওয়ারই ফলেই এই বিনিয়োগ।