কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
আর জি করে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে তথ্যপ্রমাণ লোপাট কীভাবে হলো, তার উপর ভর করেই সিবিআই তদন্তে এগতে চাইছে। এই তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে, খুন ও ধর্ষর্ণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা যে হয়েছে, সেটা প্রমাণ করা সহজ হবে। পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাটে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে, কে বা কারা খুনে জড়িত রয়েছে এবং মূল চক্রীটা কে! আর কী উদ্দেশ্যে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, তাও বেরিয়ে আসবে। খুলে যারে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের জট।
এই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ক্ষেত্রে তদন্তকারীদের প্রথম থেকে ভাবাচ্ছিল ঘটনাস্থল। সেমিনার রুম ঘটনাস্থল নয়, পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ, ডিজিটাল নথিসহ বিভিন্ন ঘটনাক্রম মিলিয়ে দেখার পর তা বুঝতে পারছেন তদন্তকারীরা। তাহলে কোথায় ঘটনাটি ঘটল, তার খোঁজ শুরু হয়। এই বিষয়ে জানতে হাসপাতালের একাধিক জনকে ডাকা হয়। তাঁরা সকলেই জানিয়ে যান, ঘটনাস্থল ওই ভবনের সেমিনার রুম নয়, তার উপরে কোনও একটি তলা হলো প্রকৃত ঘটনাস্থল। সেই ফ্লোর চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়। সিবিআই দাবি করেছে, ওই জায়গার কাছে তারা পৌঁছে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিকবার ওই জায়গায় গিয়েছে তারা। জায়গা ম্যাপিং করা হয়েছে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ওই জায়গাকেই ইঙ্গিত করছে। অর্থাৎতরুণীকে কোথায় খুন করা হয়েছে, তার হদিশ পেয়ে গিয়েছে এজেন্সি। ওই ঘরে যে বা যাঁরা হাজির ছিলেন, তাঁদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। ওই ফ্লোর ও ঘরের টাওয়ার ডাম্প থেকে বেশ কিছু মোবাইল নম্বর চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটি ঘরে কয়েকজনের অবস্থানও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। সেখানে অভয়ার মোবাইলের লোকেশেনও ছিল। তদন্তের স্বার্থে ওই জায়গার কথা এখনই প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না তদন্তকারীরা। সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোনের গ্রাহকদের হ্যান্ডসেট ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য গিয়েছে। সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। সমস্ত কিছু মিলে গেলে নতুন স্কেচ ম্যাপ তৈরি হবে। তবে প্রশ্ন উঠছে, ডিজিটাল এভিডেন্স দিয়ে আসল ঘটনাস্থল যদি প্রমাণ করা না যায়, তাহলে কী করবে সিবিআই? সেমিনার হল ‘শ্যাডো প্লেস অফ অকারেন্স’, সিবিআইয়ের এই তত্ত্ব জোর ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।