কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছিলেন চিকিৎসক অর্চিষ্মান ভট্টাচার্য ও এক সমাজকর্মী। সমস্ত অভিযোগে পেক্ষিতে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত দাবি করা হয়েছে মামলায়। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলাকালীন রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে প্রধান বিচারপতিকে। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ গুরুতর। উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজের এক আরএমও, সার্জেন, হাউস স্টাফ সহ মোট চারজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রিন্সিপালের রিপোর্টে তার উল্লেখ রয়েছে।’ এছাড়াও উঠে এসেছে বিরুপাক্ষ বিশ্বাসের বদলির প্রসঙ্গও। প্রধান বিচারপতি বলেন, বর্ধমান মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসককে কাকদ্বীপে বদলি করা হয়েছে। মালদহ মেডিকেল কলেজেও একই অবস্থা। ভয়ে অনেকে বাড়ি চলে গিয়েছেন। চরম বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘একজন মহিলা চিকিৎসক বলছেন, নিরাপত্তার জন্য তাঁকে তাঁর বাবা ছুরি দিয়ে হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন! অন্য মহিলা চিকিৎসক আবার পিপার স্প্রে সঙ্গে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যান। এটা চরম বিস্ময়কর। হাসপাতালের ৬০ শতাংশ মহিলা চিকিৎসক বিভিন্ন ভাবে দুর্ব্যবহারের শিকার হন।’
এই মামলায় অ্যাডভোকেট জেনারেলের উপস্থিতি প্রয়োজন বলে মনে করেছে আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। যে অভিযোগ করা হয়েছে তা গুরুতর। এই অভিযোগগুলির মধ্যে একটিও যদি সত্যি হয়, তা মারাত্মক।’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপাতত রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করেছে বেঞ্চ। ২১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।