শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
দীর্ঘ মেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে মে মাসের শেষ থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত চারা রোয়া করা যাবে। ৫ শতক বীজতলার জন্য তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি বীজ লাগবে। প্রতি বর্গ মিটারে ৭০০-র বেশি চারা যেন না থাকে। মধ্য ও স্বল্প মেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে জুনের শেষ থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত রোয়া করা যাবে। ৫ শতক বীজতলার জন্য সাড়ে তিন কেজি থেকে চার কেজি বীজ লাগবে। প্রতি বর্গমিটারে ৭০০-৮০০ চারা থাকবে। সুধা পদ্ধতিতে রোয়া করা ধান দেশীয় পদ্ধতির তুলনায় ৭-১০ দিন আগে পাকে। ফলে পরবর্তী ফসল আলু বা সর্ষে ঠিক সময়ে জমিতে বসানো যায়। বীজতলায় ছিপছিপে জল রাখতে হবে। বীজতলা থেকে চারা তোলার অন্তত সাতদিন আগে অন্তর্বাহী কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। বীজতলা থেকে চারা তোলার ৬ ঘণ্টার মধ্যে মূলজমিতে রোয়া করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি ধানের ক্ষেত্রে ৬০দিন, স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি ধানের ক্ষেত্রে বীজতলায় ৩৫-৪০ দিন পর্যন্ত চারা রাখা যেতে পারে। বীজতলায় জৈবসারের সঙ্গে ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি, অ্যাজোটোব্যাক্টর ও পিএসবি যোগ করতে হবে। বিঘায় বীজ লাগে ১ কেজি। বীজতলা চারিয়ে দিতে হবে অর্থাৎ ফাঁকা ফাঁকা করে ফেলতে হবে। বীজতলায় অবশ্যই ফসফরাস ও জিঙ্ক, বোরণ দিতে হবে।
সুধা পদ্ধতিতে ধানের চারার শিকড়ের সংখ্যা বেশি হয়। চারা সুস্থ ও সবল হয়। মূল জমিতে চারা ৫ দিনের মধ্যে ধরে যায়। রোগপোকা কম হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার কৃষি দপ্তরের ব্লক টেকনোলজি ম্যানেজার অরুণাভ সামন্ত জানিয়েছেন, আমরা সুধা পদ্ধতিতে আমন চাষের সুপারিশ করছি। অন্যথায় ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে মুড়ি অঙ্কুর বীজ বোনার জন্য বলছি কৃষকদের। সাধারণ পদ্ধতিতে এক একর জমিতে চাষের জন্য প্রায় ১৫ কেজির মতো বীজ লাগে। কিন্তু ড্রাম সিডারের সাহায্যে বুনলে ৪-৫ কেজি বীজে হয়ে যায়। ড্রাম সিডার প্লাস্টিকের চার মুখ বিশিষ্ট একটি যন্ত্র। এই যন্ত্রের সাহায্যে একজন কৃষক একদিনে সাড়ে সাত বিঘা জমিতে ধানের বীজ বুনতে পারবেন। প্রচলিত পদ্ধতিতে ধানের বীজ বা চারা বুনতে গেলে এক বিঘায় প্রায় ২২০০-২৪০০ টাকা খরচ হয়। সেখানে ড্রাম সিডার যন্ত্রটি ২০০ টাকায় ভাড়া পাওয়া যেতে পারে। তবে বীজ বোনার সময় বৃষ্টি হলে জমিতে ধান এলোমেলো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ড্রাম সিডারে ধানের বীজ বুনতে সমতল জমি হলে সবসময় ভালো। তবে জমিতে ভালোভাবে আগাছা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর মহকুমায় মূলত লালমাটি ও দোঁয়াশ মাটির আধিক্য। কৃষিজমি উঁচু। ফলে এখানে মূলত স্বল্প মেয়াদি ধানের চাষ হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কৃষকরা এমটিইউ-১০১০, গোটরা বিধান, স্বর্ণ ও ললাট প্রজাতির ধানের চাষ করে থাকেন। অনেকে বাংলাদেশের জাত ‘বঙ্গবন্ধু’ চাষ করেন। এছাড়াও কিছু হাইব্রিড ধানের চাষ হয়।
ঘাটাল মহকুমায় কৃষি জমি নিচু হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি ধান যেমন স্বর্ণ ও স্বর্ণ সাবওয়ান, সুগন্ধী ধান হিসেবে ব্ল্যাক রাইস ও বাদশাভোগ চাষ হয়ে থাকে। খড়্গপুর মহকুমার মোহনপুর, পিংলা, নারায়ণগড় এলাকার অনেকটা অংশে বাদশাভোগ ও গোবিন্দভোগ চাষ হয়। এছাড়া শতাব্দী, এমটিইউ-১০১০ এবং স্থানীয় জাত হিসেবে শঙ্কর, শ্যামাশ্রী চাষ হয়ে থাকে। কিছু হাইব্রিড জাতেরও চাষ হয়ে থাকে। সরকারি তরফে ডিআর-৪২ প্রজাতির ধানের বীজ দেওয়া হচ্ছে।