শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
মমতা বলেন, ডিসেম্বর মাসের ৯ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে দীঘায় বসবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শিল্পপতি ও বণিকসভাকে নিয়ে ওই বাণিজ্য সম্মেলন। গত মঙ্গলবার নিউ দীঘায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার ‘দীঘাশ্রী’র। নামকরণও তাঁর। সেখানেই এই আয়োজন হবে বলে জানান তিনি। দীঘার ওই কনভেনশন সেন্টারে রয়েছে এক হাজার আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম, ব্যাঙ্কোয়েট, স্টার হোটেল এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা। উদ্বোধনী মঞ্চে মজা করে মমতা বলেছিলেন, এখানে বণিকসভার কর্তারা আসবেন, কনভেনশন করবেন, আলাপ আলোচনা করবেন এবং থাকবেন। সঙ্গে সমুদ্র ফ্রি। সায় দিয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরাও। ওইদিনই হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, পর্ষদের তত্ত্বাবধানে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে সিমেন্ট কারখানা সহ যে সমস্ত বিনিয়োগ আসছে, তার মউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান করা হবে নতুন এই কনভেনশন সেন্টারে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস নাগাদ বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন হয়। এ বছর তা হচ্ছে না, হবে সামনের বছর। পরবর্তী বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের আগাম প্রস্তুতি হিসেবেই দীঘায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী ও বণিকসভাদের নিয়ে ডিসেম্বরে হবে ওই বাণিজ্য সম্মেলন। সমুদ্রনগরী দীঘাকে দেশের অন্যতম পর্যটন গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই অঙ্গ হিসেবে সেখানে গড়ে উঠেছে সাত কিলোমিটার লম্বা মেরিন পাথ। বিশ্ব বাংলা ফাউন্টেন, দীঘা গেট, সঙ্গে আলোয় মুড়ে পর্যটক উপযোগী করা হয়েছে সমুদ্রতট। শুরু হয়েছে আকাশপথে চপারের মাধ্যমে কলকাতার সঙ্গে দীঘার যোগাযোগ। সেই উড়ান আরও বাড়ানোর উদ্যোগের সঙ্গেই সি-প্লেন চালানোর চিন্তাভবনাও শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, দীঘায় এখন সারা সপ্তাহ ধরেই পর্যটকদের ঢল। নতুন করে ৬০টির বেশি স্টার হোটেল তৈরি হচ্ছে। ওল্ড ও নিউ দীঘার মাঝে ‘লারিকা গ্রুপের’ একটি হোটেল অধিগ্রহণ করেছে পর্যটন দপ্তর। সেটিও যাতে দ্রুত চালু করা যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম শুরু হয়েছে বলে মমতা জানান। তিনি বলেন, পুরীর মতোই দীঘাকেও সাধারণ পর্যটন স্থলের সঙ্গেই ধর্মীয় পর্যটনস্থল হিসেবে উপস্থাপিত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। দীঘার মেরিন পথে থাকা জগন্নাথদেবের মন্দিরকে নবকলবরে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। এবারের দীঘা সফরে মমতা নিজেও সেই এলাকা পরিদর্শনে যান। জগন্নাথদেবের পুরনো মন্দির লাগোয়া পাঁচ একর জমিতে তৈরি হবে নতুন দেবালয়। সংস্কার হবে পুরনো মন্দিরেরও। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, মন্দিরের জন্য প্রয়োজনীয় জমির কাগজপত্র কাল, শুক্রবার তৈরি হয়ে যাবে। এরই পাশাপাশি তাজপুর থেকে দীঘা পর্যন্ত সমুদ্রতট বরাবর যে মেরিন ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে, তাও আগামী জুন মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে মমতা জানিয়েছেন।