আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
রঘুনাথপুর বিধানসভাটি সাঁতুড়ি, নিতুড়িয়া, রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লক ও রঘুনাথপুর পুরসভা নিয়ে গঠিত। বর্তমানে বিধানসভার সব ব্লকে বিজেপির সংগঠন থাকলেও সাঁতুড়ির সংগঠনই মজবুত। বিধানসভার ২০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে সাতটিতে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। তার মধ্যে সাঁতুড়িতেই বিজেপির হাতে চারটি পঞ্চায়েত। শক্তিশালী সংগঠন থাকতেও ব্লকের বিজেপি নেতাদের অহংকারই দলের ভরাডুবি ঘটিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
সাঁতুড়ি ব্লকে ছয়টি পঞ্চায়েতের মধ্যে চারটি রয়েছে বিজেপির দখলে। পঞ্চায়েতে সমিতির ১৩ সদস্যর মধ্যে ৫ জন সদস্য বিজেপির। মানুষের রায়ে বাঁকুড়ার সংসদ সদস্য সুভাষ সরকার লোকসভায় ব্যাপক লিড পান। কিন্তু দুই বছরে মোহভঙ্গ, মানুষ ফের দিদির উন্নয়নে শামিল।
এবার রঘুনাথপুর বিধানসভা আসনটি তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। রঘুনাথপুর ১ ব্লকে বিজেপি লিড পায় ৬৪২৩ ভোট, রঘুনাথপুর শহরে ২৪২০ ভোট এবং নিতুড়িয়া ব্লকে ৫৫১ ভোট। তৃণমূল একমাত্র সাঁতুড়িতে ৪০৭১ ভোটে লিড পেয়ে লড়াই দেয়।
সাঁতুড়ির মানুষের বক্তব্য, লোকসভায় লিড পাওয়ার পর বিজেপি নেতারা ধরে নিয়েছিল বিধানসভায় অনায়াসে জিতে যাবে। শুধু তাই নয়, দখলে থাকা পঞ্চায়েতগুলিতে ১০০ দিনের কাজের কারচুপি সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। বিজেপি নেতারা সংগঠন ও পদের মহিমায় ধীরে ধীরে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে দলকে ভরাডুবির পথ দেখিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালিতোড়া অঞ্চলের এক বিজেপি নেতা বলেন, লোকসভার পর থেকে ব্লক এলাকার দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতার কয়েকজনের গোষ্ঠী তৈরি করে একছত্র আধিপত্য চালিয়ে গিয়েছে। কোথাও কোনও অভিযোগ করলেই শুনতে হয়েছে, আমাদের সঙ্গে নাকি তৃণমূলের যোগ রয়েছে। কেউ কেউ তো ভোটের আগেই নিজেকে বিধায়ক ভাবতে শুরু করেছিল। ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নামে ঢালাও প্রচার করত। প্রার্থী ঘোষণার পর সেই সব নেতাদের টিকিও দেখতে পাওয়া যায়নি। ফলে নিচুস্তরের অনেক বিজেপি কর্মী ভোটের আগে বসে যান। ভোটের ফলাফল এমটাই হওয়ার ছিল।
বিষয়টি নিয়ে সাঁতুড়ির বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অরূপ আচার্য বলেন, ভোটের ফলাফল যে এমন হবে সত্যি জানা ছিল না। এর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাঁতুড়ি ব্লক তৃণমূল সভাপতি রামপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, লোকসভায় ভাঁওতা দিয়ে বিজেপি ভোট নিয়েছিল। মানুষ বুঝতে পেরেছে, কারা দেয় ভাষণ আর কারা রেশন। তাই ভাষণবাজ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।