মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
মেদিনীপুর সংশোধনাগার থেকে এদিন যাদের মুক্তি দেওয়া হল তাদের একজনের নাম র্কীতিচাঁদ গোপ। তার বাড়ি পুরুলিয়ার জয়পুর থানা এলাকায়। আর একজনের নাম গণেশ সহিস। তার বাড়িও পুরুলিয়া। আর পুরুলিয়ার বড়বাজার থানা এলাকার বাসিন্দা অবিনাশ মাঝিও এদের সঙ্গে এদিন জেল থেকে মুক্তি পেল। র্কীতিচাঁদ তখন কলেজে পড়ত। বধূ খুনের ঘটনায় তার জেল হয়েছিল। ২৩ বছর ধরে সে জেলে ছিল। এক সময় সে পুরুলিয়া জেলে ছিল। পরে, তাকে মেদিনীপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। দীর্ঘদিন সে এখানে রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে এই সংশোধনাগারে সে রাইটারের কাজ করত।
এদিন জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর র্কীতিচাঁদের বক্তব্য, ২৩ বছর আমি জেলে ছিলাম। মুক্তি পেয়ে খুব ভালো লাগছে। বাড়ি ফিরে চাষের কাজ করব।
অবিনাশ মাঝি ছিল কাঠের মিস্ত্রি। এছাড়া সে ভালো ছৌনাচ জানত। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে তার এক আত্মীয় খুন হয়। সেই ঘটনায় সে ২০ বছর ধরে জেলে ছিল। এদিন জেল থেকে বেরিয়ে অবিনাশ বলে, জেলের মধ্যে আমি বেশ কয়েকজনকে ছৌনাচ শেখাতাম। অলকানন্দ রায়ের সঙ্গেও আমি দু’বছর কাজ করেছি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ভালো লাগছে।
অন্যদিকে, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে পাশের গ্রামের একজনকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল গণেশ সহিসের বিরুদ্ধে। দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তার যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল। গণেশ বলে, এবার বাড়ি ফিরে চাষবাসের কাজ করব। এদিন তিনজন বন্দি মুক্তি পেলেও জেলের বাইরে পরিবারের লোকজন কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তবে, তিনজনের দাবি, পরিবারের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে।