মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে প্রিয়ার বিয়ে হয়েছিল। শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর নির্যাতন শুরু হয়। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি বাপেরবাড়িতে চলে আসেন। তাঁর সংসার ভেঙে যায়। মাস সাতেক আগে তাঁর সঙ্গে হুগলির তারকেশ্বর থানার চাঁপাডাঙার এক যুবকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দু’জনের মধ্যে ফোনে নিয়মিত কথাবার্তা হতো। প্রিয়ার বাড়িতে যুবকের যাতায়াত ছিল। কিছুদিন আগে দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। প্রিয়াকে তাঁর প্রেমিক এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এমনকী বিয়ে করতেও অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। ঘটনার দিন ফোনে দীর্ঘক্ষণ দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পর প্রিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। মৃতার বাবা উদয় হাজরা বলেন, মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যায় ওই যুবক। আমাদের বাড়িতেও যুবকের যাতায়াত ছিল। সহবাসের পরও মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে প্রেমিক। তার জেরেই মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। এনিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
অন্যদিকে, গলসি থানার ভুরি গ্রামে সাপের কামড়ে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সওকত আলি মল্লিক (৫০)। তিনি সাবমার্সিবল পাম্পের মিস্ত্রি ছিলেন। সোমবার সকালে জমিতে কাজ করার সময় তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালিতে সাপে ছোবল মারে। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।
অন্য একটি ঘটনায় খণ্ডঘোষ থানার বাঁকুড়া মোড়ে গাড়ির ধাক্কায় এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রঞ্জিত পাল (৫৫)। বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর এলাকায় তাঁর বাড়ি। তিনি হাটে জামা-কাপড় বিক্রি করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে রায়না থানার সেহারাবাজার থেকে মোটরভ্যানে চেপে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। বর্ধমান-আরামবাগ রোডে বাঁকুড়া মোড়ের কাছে একটি গাড়ি মোটরভ্যানটিকে ধাক্কা মেরে পালায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেইমতো বুধবার সকালে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে তিনি মারা যান।