মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
এইচডিএ-র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার হরিশঙ্কর পানিক্কর বলেন, মহিষাদল রাজ ময়দানে মিনি স্টেডিয়াম গড়ার জন্য ডিপিআর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য এজেন্সি নিয়োগ করা হবে। ডিপিআর এর এজেন্সি বাছাইয়ের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে।
এইচডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেডিয়ামের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এখানে ২০০০ দর্শক আসন বিশিষ্ট গ্যালারি তৈরি হবে। এছাড়া থাকবে ক্লাব হাউস, খেলোয়াড়দের জন্য টয়লেট ব্লক বিশিষ্ট আধুনিকমানের ড্রেসিংরুম কাম চেঞ্জরুম, ভিআইপি পার্কিং ব্যবস্থা, নিকাশি, মূল মাঠের পাশে ফেনসিং সহ রাস্তা, মেন গেটে সিকিউরিটি রুম ও টিকিট কাউন্টার এবং দর্শকদের জন্য বড়মাপের টয়লেট ব্লক। ফিফার নিয়ম মেনে উপযুক্ত ড্রেনেজ লেয়ারযুক্ত সবুজ ঘাসের মাঠ গড়ে তোলা হবে। সব মরসুমে ব্যবহারের উপযুক্ত মাঠ গড়ে তোলা হবে।
মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, রাজ ময়দান রাজ্যের বহু কৃতী খেলোয়াড়ের আঁতুড়ঘর। দীর্ঘদিন ধরে মহিষাদলবাসীর দাবি ছিল, এখানে আধুনিকমানের খেলাধুলার চর্চাকেন্দ্র গড়ে উঠুক। এইচডিএ-র চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী রাজ ময়দানে স্টেডিয়াম গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ায় সকলেই খুশি। এই স্টেডিয়াম মহিষাদলের গর্ব হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, শতাব্দী প্রাচীন এই মাঠে রাজ আমল থেকে খেলাধুলার চর্চা শুরু হয়। প্রায় ১০০ বছর ধরে এখানে রাজা সতীপ্রসাদ গর্গ নামাঙ্কিত ফুটবল প্রতিযোগিতা হচ্ছে। কলকাতা ময়দানের বহু নামী ফুটবলার মফস্বলের এই মাঠে সতীপ্রসাদ গর্গ চ্যালেঞ্জ কাপ খেলেছেন। সারা বছর ধরেই এই মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক্সের চর্চা হয়। এই ময়দানের এক প্রান্তে রয়েছে রাইফেল শ্যুটিং গ্রাউন্ড। রাজাদের সময়ে এখানে রাইফেল শ্যুটিং প্র্যাকটিস হত। এখন জেলার এনসিসির শিবির হলে এখানেই রাইফেল প্র্যাকটিস করানো হয় ছাত্রছাত্রীদের। ক্রিকেট ও ফুটবল প্রশিক্ষক বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, রাজ ময়দানকে ঘিরে স্থানীয় খেলোয়াড়রা দীর্ঘদিন ধরে স্বপ্ন দেখতেন, কবে এই মাঠের চেহারা বদলাবে। সারা বছর যাতে খেলাধুলোর অনুশীলন করা যায় সেই ধরনের মাঠের খুব দরকার ছিল মহিষাদলে। আশা করি স্টেডিয়ামের সঙ্গে একটি ভালো মাঠ উপহার পাবে খেলোয়াড়রা।
স্থানীয় ক্রীড়া প্রশিক্ষক লক্ষ্মণচন্দ্র জানা প্রায় দু’দশক ধরে রাজ ময়দানে হলদিয়া, মহিষাদল ও তমলুকের খেলোয়াড়দের অনুশীলন করাচ্ছেন। স্টেডিয়াম গড়ার খবরে তিনি খুশি। তিনি বলেন, এই মাঠ থেকে খেলে তন্ময় অধিকারী, সত্যজিৎ সোরেন, অর্পিতা ঘোষালদের মতো অনেকেই রাজ্য ও জাতীয় স্তরে বড় সাফল্য পেয়েছে। সত্যজিৎ ও অর্পিতা বর্তমানে সাইয়ে রয়েছে। স্টেডিয়ামের সঙ্গে ভালো জিমনাসিয়ামও গড়ে তুলতে হবে। পরিকাঠামোর অভাবে এখানকার ছেলেমেয়েরা জাতীয় স্তরে গিয়ে অল্পের জন্য শীর্ষস্থান দখল করতে পারে না।