শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিদিকে বলো’য় টোল-ফ্রি মোবাইল নম্বর এবং ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। তার মধ্যে দলের অভিযোগ মোবাইলেই আসছে। গত এক মাসে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে চার-পাঁচজন সাধারণ মানুষ দিদিকে বলো’য় ফোন করে নাগরিক পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। অথচ, দলের সমস্যা নিয়ে তৃণমূলের লোকজন ২০টির বেশি অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগ মেটানোর জন্য রাজ্য নেতৃত্ব পূর্ব বর্ধমান জেলা নেতৃত্বকেই দায়িত্ব দিচ্ছে। যে বা যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের মোবাইল নম্বরও রাজ্য থেকে জেলায় পাঠানো হচ্ছে। সেই মতো অভিযোকারীদের দলীয় অফিসে ডেকে অথবা ফোন করেই সমস্যা মেটাচ্ছেন জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু, প্রতিদিনই অভিযোগ জমা পড়ায় জেলা নেতৃত্ব বেজায় মুশকিলে পড়ছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই ভাতার থেকে বুথ কমিটি নিয়ে দিদিকে বলো’য় ফোন করে অভিযোগ করেছেন এলাকার কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দলের বুথ কমিটি নেই। তাতে সংগঠনের কাজকর্মের ক্ষতি হচ্ছে। অথচ, নতুন করে কমিটি তৈরি করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ওই ভাতারেই তৃণমূলের একটি পরিবার নিয়ে দিদিকে বলো’য় অভিযোগ করেছেন এলাকার কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই পরিবারের দু’জন নাকি পালাবদল করে একই গ্রাম পঞ্চায়েতে টানা ২০ বছর ধরে প্রধান পদে বসছেন। কেন তাঁরা এতদিন ধরে রয়েছেন, তা নিয়েই অভিযোগ! খণ্ডঘোষ থেকে সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কর্মীদের নিয়েও অভিযোগ জমা পড়েছে। দলের পুরানো তৃণমূলকর্মীরাই দিদিকে বলো’য় ফোন করেছিলেন। তাঁরা অভিযোগে জানিয়েছেন, এখন সিপিএম থেকে যারা দলে এসেছে, তারা পুরানো তৃণমূল কর্মীদের উপর অত্যাচার করছে। তারাই বামফ্রন্ট সরকারের আমলে রাজত্ব করেছে। আবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে তারাই অত্যাচার করছে।
গলসির এক তৃণমূল কর্মী দিদিকে বলো’য় ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘরছাড়া। তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে অন্যত্র থাকতে হচ্ছে। তিনি গ্রামে ফিরতে পারছেন না। দলের নেতারাও তা জানেন। তাঁকে এখন বাইরে বাইরে পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। ওই অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা নেতৃত্ব অবশ্য তাঁর সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন। তাঁর বাড়ি তৈরি করে তাঁকে গ্রামে ফেরাবার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। এক ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন দলের কর্মীরা। তিনি নাকি সকল কর্মীকে নিয়ে চলছেন না। তাই তাঁকে বাদ দিয়ে দলের অন্য কাউকে ব্লক সভাপতি করতে হবে। দিন কয়েক আগে দলের একজন বিধায়কের নামেও দলীয় কর্মীরা দিদিকে বলো’য় ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনিও নাকি দলের সবাইকে নিয়ে ঠিক মতো চলতে পারছেন না। বিষয়টি দেখার জন্য দিদিকে অনুরোধ করেছেন দলের কর্মীরা। এছাড়াও বিভিন্ন ব্লক থেকে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলার বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরেই দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েছে। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে তা সমস্যা মিটছে না। দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর পেয়ে এখন দলের নেতা-কর্মীরাও ফোন করে দিদির হস্তক্ষেপ চাইছেন।
এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি স্বপন দেবনাথকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দেখুন ‘দিদিকে বলো’র মোবাইল নম্বর সবার কাছেই আছে। দলের কর্মীরাও নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের অভিযোগ করছেন। রাজ্য থেকে যে অভিযোগগুলি আমরা জানতে পারছি, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি বিষয়ই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বড় ধরণের কোনও অভিযোগ নেই।