উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
গত সপ্তাহে তৃণমূল প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর থেকেই বাচ্চুবাবুর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। বিভিন্নভাবে এব্যাপারে ইঙ্গিতও দিতে শুরু করেন তপনের বিধায়ক। জানিয়ে দেন, যেখানে ভলোবাসা পাবেন, সেখানেই যাবেন। তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নেতৃত্ব অবশ্য তাঁর মান ভাঙানোর অনেক চেষ্টা কবেছিল। তপন কেন্দ্র থেকে বাচ্চুবাবুর বদলে যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে, সেই কল্পনা কিস্কু বাচ্চুবাবুর বাড়ি গিয়ে প্রণাম করে তাঁর আশীর্বাদ চান। তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। এর মধ্যে কলকাতায় গিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করে আসেন বাচ্চুবাবু। সেদিন অবশ্য বিজেপিতে যোগ দেননি তিনি। মঙ্গলবারই জেলায় এসে তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষ বাচ্চুবাবুর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
বাচ্চু হাঁসদা বলেন, যেখানে বিশ্বাস ও ভরসাটুকুই নেই, সেখানে দলের প্রার্থীর হয়ে ভোটের প্রচার করব, এটা মানতে পারছিলাম না। আমি দলের কোনও দায়িত্বে নেই। তৃণমূল তো বলতে পারবে না যে প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছি আমি। আগামী দিনে সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির হয়ে কাজ করার লক্ষ্যে যোগদান করেছি। সেখানে সম্মান রয়েছে।
বিজেপির হয়ে কি প্রার্থী হওয়ার কোনও আশ্বাস মিলেছে? এই প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। আমি বিজেপির একজন সদস্য মাত্র। দল যা নির্দেশ দেবে, সেভাবে কাজ করব।
বাচ্চুবাবুর দলত্যাগ নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্র বলেন, ২০১১ সালে দলে এসে, সমস্ত ক্ষমতা ভোগ করে, যখন তাঁকে এবার দল টিকিট দিল না, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে চলে গেলেন। এমন সুবিধাবাদীরা দল ছেড়ে গেলে দলের ক্ষতি হবে না। জেলার সাধারণ মানুষ ও তপনের মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে রয়েছেন।